এ বছর সারা বিশ্বে শরণার্থীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০১৫ সালেও সে প্রবণতা বজায় থাকবে৷ ইউরোপকে দুর্গে পরিণত করা চলবে না, আবার সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেওয়াও সম্ভব নয়, বলে ব্যার্ন্ড রিগার্ট-এর মত৷
বিজ্ঞাপন
২০১৪ সালে ইউরোপে যত শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী এসেছেন, ১৯৪৫ সাল যাবৎ তা আর দেখা যায়নি৷ সিরিয়া, ইরিট্রিয়া, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইউরোপ অভিমুখে পলায়ন করেছেন৷ ভূমধ্যসাগর, এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূ-সীমান্ত পার হওয়ার প্রচেষ্টায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ পূর্বনির্ধারিত কোটার উদ্বাস্তু হিসেবে ইউরোপে না এলে, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা না করে উপায় নেই – এবং তা শুধু ইউরোপে পৌঁছানোর পরেই করা যায়৷ অর্থাৎ ‘অ্যাসাইলাম'-এর আবেদন দাখিল করার আগে উদ্বাস্তুদের আগে বেআইনিভাবে ইউরোপে ঢুকতে হবে – এ এক আজব পরিস্থিতি৷
মানুষপাচারকারীরাই সাধারণত সেই বেআইনি অনুপ্রবেশের ব্যবস্থা করে থাকে৷ যে অপরাধীরা বোটে করে শরণার্থীদের লিবিয়া থেকে ইউরোপ অভিমুখে পাঠায়, শুধুমাত্র তারাই এই বেআইনি ব্যবসা থেকে কোটি কোটি ডলার মুনাফা করে থাকে৷ একটা অসহ্য পরিস্থিতি, এবং তা শুধু ২০১৪ সাল থেকেই নয়: ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বহুদিন আগেই উপলব্ধি করেছেন যে, ইইউ-তে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান এবং শরণার্থী সংক্রান্ত নীতি বদলাতে হবে৷
‘‘ইউরোপ দুর্গ'' ভেঙে দাও?
বিশেষ করে উদ্বাস্তু ত্রাণ সংগঠনগুলির দাবি হলো, ইউরোপকে ‘‘দুর্গ'' বানিয়ে না রেখে, অবাধ অভিবাসনের অনুমতি দাও৷ এই দাবি মানবিক ভাবে বোধগম্য হলেও, রাজনৈতিক ভাবে কার্যকরি করা সম্ভব নয়৷ ইউরোপের অধিবাসীদের মধ্যে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শরণার্থী গ্রহণ করে তাদের সমাজের অঙ্গ করে তোলার প্রস্তুতি – এক কথায় – অনুপস্থিত৷ ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশে ‘‘সমুচ্চ'' বলে অনুভূত রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ক্ষোভ ও প্রতিরোধের সৃষ্টি করেছে৷
কিছু কিছু দেশে বহিরাগত বিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলির জনপ্রিয়তা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে৷ এই পরিস্থিতিতে এ কথা বলে কোনো লাভ নেই যে, সিরিয়ার প্রত্যক্ষ প্রতিবেশিদের তুলনায় ইউরোপ খুব কম উদ্বাস্তুকেই স্থান দিয়েছে৷ লেবাননের প্রতি চতুর্থ বাসিন্দা নাকি আজ একজন উদ্বাস্তু৷ ইউরোপকে সেই পরিমাণ উদ্বাস্তু নিতে হলে তাদের সংখ্যা দাঁড়াত সাড়ে বারো কোটি! বাস্তবিক ইউরোপে স্থান পেয়েছেন সাকুল্যে পাঁচ লাখ উদ্বাস্তু৷ শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটাকে মেনে নেওয়া তো দূরের কথা, তা-কে বর্তমান পর্যায়ে রাখার সদিচ্ছাও আজ ইউরোপে অবর্তমান৷
ইইউ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, ইউরোপে বৈধ অভিবাসনের আরো বেশি সুযোগ দেওয়া আবশ্যক, যা-তে শরণার্থীদের মানুষ পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা করা যায় এবং শরণার্থীরা বিপজ্জনক পন্থায় ইউরোপে আসার চেষ্টা না করেন৷ কিন্তু বৈধভাবে ইউরোপে আসার পন্থা বাড়লে, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, রাশিয়া, ইউক্রেন কিংবা সার্বিয়া থেকে আরো বেশি মানুষ ইইউ-তে আসার চেষ্টা করবেন৷ এই উভয়সংকটের সমাধান কী, তা আপাতত অজ্ঞাত৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গ ২০১৫ সালেও তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন৷ যে সব দেশ থেকে শরণার্থীরা আসছেন, তাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করে থাকে৷ বাদবাকিদের বিনা ব্যতিক্রমে ফেরৎ পাঠাতে হবে৷ সেটা কি খুব ন্যায্য হবে?
জার্মানিতে বাড়ি সমস্যায় অভিবাসীরা
অভিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ তবে বাড়ির সমস্যাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে ধরা যেতে পারে৷এ সমস্যা জার্মানিতে বসবসারত তুর্কিদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়৷ কারণ জার্মানিতে প্রায় ৪০ লাখ তুর্কি আছেন৷
ছবি: Suzheh.sub.ir
অভিবাসী তুর্কিদের সমস্যা বেশি
জার্মানিতে অভিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ এগুলোর মধ্যে বাড়ির সমস্যাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে ধরা যেতে পারে৷ জার্মানিতে অভিবাসীদের মধ্যে তুর্কিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪০ লাখ৷ কাজেই সমস্যাটাও ওদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শীতকালে ঠান্ডায় কষ্ট পায়
তুর্কিদের সাধারণত বাসা ভাড়া দেওয়া হয় পুরনো এলাকায় বহু বছরের পুরনো বাড়িগুলোয়৷ সেই সব বাড়িতে হয়ত দরজা ঠিকমতো বন্ধ হয় না বা জানালা দিয়ে বাতাস ঢোকে বা খানিকটা খোলা থাকে৷ অথবা শীতকালে হিটার কাজ করে না, অর্থাৎ ঠান্ডায় কাটাতে হয়৷ বাড়ির মালিককে কয়েকবার বলেও ঠিক করানো যায়নি৷ এভাবেই জানান তিন দশক আগে তুরস্ক থেকে জার্মানিতে আসা আহমেদ খালিফি৷
ছবি: DW/C. Ruta
বাড়ির অবস্থা অস্বাস্থ্যকর
আহমেদ খালিফির ছেলে আদেলের বাড়িতেও প্রায় একই সমস্যা৷ বাড়িটি ৪০ বছরের পুরনো হওয়ায় খুবই স্যাঁতসেঁতে, অন্ধকার এবং অস্বাস্থ্যকর৷ এ ব্যাপারে অবশ্য বাড়িওয়ালার মাথা ব্যথা নেই, কয়েকবার বলেও কোনো কাজ হয়নি৷
ছবি: DW/C. Ruta
অবশেষে নিজেই দায়িত্ব নেন
আবদাল ১৫ বছর এ বাড়িতে আছেন, কিন্তু একবারও রঙ করা হয়নি৷ আর সেকথা বাড়ির মালিককে কয়েকবার বলায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে তিনি যেন নিজেই এ কাজ করে নেন৷ তাই আবদাল এ কাজ ভালো না জানা সত্ত্বেও নিজেই করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
শীতের কথা ভেবে ভীত
একটি মাত্র ঘর আর সেখানেই বাচ্চাদের নিয়ে থাকেন আলিয়া৷ ঘরে যেসব জিনিসের জায়গা হয় না, সেসব জিনিস স্থান পেয়েছে বাড়ির বারান্দায়৷ কিন্তু শীতের সময় এসব প্রয়োজনীয় জিনিসের কি হবে – তা ভেবে অস্থির আলিয়া৷ এই অবস্থা অবশ্য শুধু আলিয়ার একার নয়৷
ছবি: DW/C. Stefanescu
অভিবাসীদের বেশি সন্তান
অভিবাসীদের বাড়ির বড় সমস্যা৷ তার কারণ, তাঁরা বড় শহরগুলোর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করতে পছন্দ করেন৷ তাছাড়া জার্মানদের তুলনায় অভিবাসীরা কম রোজগার করেন এবং তাঁদের সন্তান সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাড়ি পেতেও অসুবিধা হয়৷ এছাড়া একই ধরণের বাড়ির জন্য জার্মানদের তুলনায় তাঁদের কাছে বেশি ভাড়াও চাওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/ZB
বাড়ির অবস্থা করুণ
অভিবাসীদের বাসস্থান সমস্যা অবশ্য নতুন সমস্যা নয়৷ অভিবাসীরা যেসব এলাকায় থাকেন সেই পুরনো বাড়িগুলোকে ঠিকঠাক না করানোয়, দিনদিন সেগুলি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে৷ এই অবস্থা নিদিষ্ট কোনো শহরে নয়, প্রায় শহরেই এই একই অবস্থা৷
ছবি: Fars
আগুনে পরিবারের আট জনের মৃত্যু
প্রায় চার মাস আগে বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গের বাকনাং শহরে একটি বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন ছিল বিপজ্জনক এবং একথা বারবার মালিককে বলার পরও তা ঠিক করা হয়নি৷ যার ফল হয় মর্মান্তিক৷ ঘর গরম বা পানি গরমের জন্য ব্যবহার করা হতো কাঠের চুল্লি৷ ঐ বাড়িতেই আগুন লেগে একজন তুর্কি মা তাঁর সাত সন্তানসহ মারা যান৷ ছবিতে বাকনাং শহরের কিশোর-কিশোরীরা মৃত পরিবারের প্রতি ফুল আর মোমবাতি দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাড়ি মালিকদের মত
বাড়িওয়ালাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, তুর্কি পরিবারগুলো অনেক বড়, সবসময় হৈচৈ লেগে থাকে এবং তেমন পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন নয়৷ আর সেজন্যই তাঁদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা আপত্তি থাকে বাড়িওয়ালাদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তরুণদের ভিন্নমত
বয়স্ক অভিবাসীরা বাসস্থানের ব্যাপারে যতটা বৈষম্যের শিকার হন বলে মনে করেন, এই প্রজন্মের তুর্কিরা তেমনটা মনে করে না৷ সম্ভবত এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা জার্মান ভাষা ভালো জানার কারণেই এমনটা ঘটছে৷
ছবি: Suzheh.sub.ir
10 ছবি1 | 10
কে থাকবে, কে যাবে
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, তাদের মধ্যে গড়ে ৫০ শতাংশ বাস্তবিক সেই স্বীকৃতি পান৷ তবে শরণার্থীরা কোন দেশ থেকে আসছেন, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে: বর্তমানে সিরিয়া থেকে আসা প্রায় সব উদ্বাস্তুর আবেদন মঞ্জুর হচ্ছে, সার্বিয়া থেকে আসা প্রায় সব আবেদন নাকচ হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে শরণার্থীরা ইইউ-তে প্রবেশ করার আগেই তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখার প্রস্তাবটি আবার আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে, এবং জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের তার পুনরুল্লেখও করেছেন৷
ইইউ-এর সদস্যদেশগুলি বর্তমানেই শরণার্থীদের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে, যদি তারা চলতি ডাবলিন নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করে৷ ডাবলিনের নীতিমালা বলছে, শরণার্থীরা প্রথমে যে দেশে পৌঁছাবে, সেই দেশই তাদের দায়িত্ব নেবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করবে৷ কিন্তু ইটালি, গ্রিস, হাঙ্গেরি এবং অপরাপর দেশ তা মেনে চলে না৷ এ বছর ইটালি হাজার হাজার শরণার্থীকে নথিভুক্ত পর্যন্ত না করে অবৈধ অবস্থাতেই আল্পস পর্বতমালা পার হয়ে উত্তরে যেতে দিয়েছে৷
এভাবেই, বাস্তবিক কত মানুষ যে বেআইনিভাবে ইইউ-তে প্রবেশ করে ইউরোপের জনসমুদ্রে মিলিয়ে যাচ্ছেন, তা কারো জানা নেই৷ ইউরোপীয় শরণার্থী পরিষদের মতে, সরকারিভাবে ইউরোপে শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের যে সংখ্যা দেখানো হয়, বাস্তবিক সংখ্যা তার তিন থেকে চারগুণ৷
অভিবাসী মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় বড় বাধা ভাষা
মানসিক সমস্যায় চিকিৎসকের সাথে ভালোভাবে কথা বলা মানসিক রোগ চিকিৎসার সবচেয়ে জরুরি বিষয়৷ এই চিকিৎসায় রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে ভাষাগত সমস্যা হলে ফলপ্রসু চিকিৎসা বাধাগ্রস্হ হয়৷
ছবি: BPtK
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট-এর হিসেব
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের হিসেব অনুয়ায়ী জার্মানিতে প্রতি তিনজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক বছরে অন্তত দুবার মানসিক সমস্যায় ভোগেন৷ তবে সবাইকেই যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হয় তেমন নয়৷
ছবি: Fotolia/ lassedesignen
রোগী এবং ডাক্তারের সম্পর্ক
যাঁদের কষ্ট বেশি তাঁদের অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷ রোগীর সুস্থ্ হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে ডাক্তার এবং রোগীর মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময়ে ভাষাগত মিলের ওপর৷
ছবি: picture alliance/Klaus Rose
দোভাষী
জার্মান ভাষা খুব কম জানেন বা একেবারেই জানেন না এমন অভিবাসী মানসিক রোগীদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়৷ জার্মান ভাষা জানা পরিবারের কেউ সাথে থাকলেও অনেক সময় সবকিছু ঠিকভাবে বোঝানো সম্ভব হয়না৷
ছবি: DW/M. Witt
শতকরা ৯০ জন!
গেলজেন কির্শেনের গেজাম্ট স্কুলে শতকরা ৯০ জন ছাত্রছাত্রীই অভিবাসী পরিবার থেকে আসা, যাঁরা এক অক্ষরও জার্মান ভাষা জানেনা৷ বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া থেকে ওদের বাবামায়েরা জার্মানিতে কাজ করতে এসেছেন গত বছর৷ দুটি দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য৷
ছবি: DW/S. Auer
উন্নত শিক্ষার বিশেষ ক্লাস
এরই মধ্যে গেলজেন কির্শেন স্কুলের বাচ্চাদের জন্য আলাদাভাবে ভাষা শেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ছাত্রছাত্রীরা যেন তাড়াতাড়ি ভাষা শিখে স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ এবং প্রতিটি ক্লাসে ১৫জন শিক্ষার্থী থাকে-একথা বলেন আখিম এলভার্ট৷
ছবি: DW/S. Auer
সাহায্য সংস্থা ‘স্প্রিন্ট’
এই শূন্যস্থানগুলো কেবল বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দোভাষীই পূরণ করতে পারে৷ রোগী এবং ডাক্তারের দেশের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানা থাকে তাঁদের৷ স্প্রিন্ট-এ এ বিষয়ে ১৮মাস প্রশিক্ষন দেওয়া হয়৷স্প্রিন্ট-এর প্রধান হাইকে টিমেন বলেন, ‘সাধারণ রোগের চেয়ে মানসিক রোগ নিরূপন করা অনেক কঠিন৷’
ছবি: picture-alliance/dpa
আরো বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রাইনার রিস্টার বলেন, কোলোনের মতো বড় শহর যেখানে ৬০,০০০ জার্মান পাসপোর্টধারী তুর্কির বসবাস, সেখানে মাত্র দুজন তুর্কিভাষী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যা মোটেই যথেষ্ট নয়৷