রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা অব্যাহত রাখলে ৫০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এমন তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি জোসেপ বরেল৷
বিজ্ঞাপন
রুশ সামরিক বাহিনীর হামলার পর থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন৷ বড় একটি অংশই আশ্রয় নিচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঁচটি প্রতিবেশী দেশে৷ এরইমধ্যে দেশ ত্যাগ করা ইউক্রেনীয়দের সংখ্যা ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে৷ সামনের দিনে এই সংখ্যা ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷
জোটের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বরেল সোমবার বলেছেন, ‘‘৫০ লাখ শরণার্থীকে গ্রহণ করার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে৷ আমরা ইইউ-র সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করে শরণার্থী গ্রহণকারী দেশগুলোকে সহায়তা দিতে হবে৷...আমাদের আরো বিদ্যালয়, আরো আশ্রয় কেন্দ্র ও সবকিছুই আরো প্রয়োজন হবে৷’’
এদিকে সোমবার পোল্যান্ড জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারির পরে ইউক্রেন থেকে ১০ লাখ শরণার্থী দেশটির সীমান্ত অতিক্রম করেছেন৷ শুধু সোমবার সকালেই এসেছেন ৪২ হাজার৷
যেভাবে ধ্বংসস্তূপ হচ্ছে ইউক্রেন
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার দুই সপ্তাহ হতে চলেছে৷ রুশ সৈন্যরা বিভিন্ন শহর ঘিরে রেখে অবিরাম বোমাবর্ষণ করছে৷ তাতে সাজানো-গোছানো একটি দেশ কিভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Serhii Nuzhnenko/REUTERS
ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত
কিয়েভের কাছের ইরপিন শহরের ছবি এটি৷ রাশিয়ার বোমাবর্ষণে একটি আবাসিক এলাকার একাংশ একেবারে বসবাসের অযোগ্য৷
ছবি: Serhii Nuzhnenko/REUTERS
গ্রামেও মৃত্যু-আতঙ্ক
কিয়েভের কাছের গ্রাম হাতনে৷ সেখানেও চলছে রুশ সেনাদের হামলা৷ ছবিতে শেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি৷ বাড়ির পাশের মাটিও শেলের আঘাতে চৌচির৷
ছবি: Serhii Nuzhnenko/REUTERS
ভাঙা সেতু
কিয়েভ অঞ্চলের বুখা শহরের একটি ব্রিজ ভেঙে দিয়েছে রুশ সেনারা৷ যোগাযোগ ব্যবস্থারও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে চলমান যুদ্ধে৷
ছবি: Maksim Levin/REUTERS
স্কুল ধ্বংস
ঝিতোমিরের এই জায়গাটায় কয়েকদিন আগেও একটা স্কুল ছিল৷ সেই স্কুল বোমার আঘাতে শুধুই ধ্বংসস্তূপ৷
ছবি: Viacheslav Ratynskyi/REUTERS
ফিটনেস সেন্টারের বেহাল দশা
রুশ হামলাল লক্ষ্য ছিল কিয়েভের এক টিভি টাওয়ার৷ কিন্তু লক্ষ্যচূত হয়ে শেল গিয়ে পড়েছে এক ফিটনেস সেন্টারে৷ ধ্বংসস্তূপে জ্বলছে আগুন৷
ছবি: Umit Bektas/REUTERS
স্মৃতি সংরক্ষণ
চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঝিতোমির শহর৷ ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই আরেক ভবনের ধ্বংস হওয়ার মুহূর্ত মোবাইলে ধরে রাখছেন এক নারী৷
ছবি: Viacheslav Ratynskyi/REUTERS
ধ্বংস রোধের কঠিন লড়াই
কিয়েভের কাছের আরেক গ্রাম চাইকি৷ স্থানীয় কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে রুশ হামলায়৷ হামলার পর আগুন নেভানোর জন্য লড়ছেন এক দমকলকর্মী৷
ছবি: Serhii Nuzhnenko/REUTERS
চেমিনিভের আবাসিক এলাকা
চেমিনিভের আবাসিক এলাকাগুলো এখন প্রায় জনশূন্য৷ ওপরের ছবিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন৷
ছবি: Roman Zakrevskyi/REUTERS
রক্ষা পেলো পুলিশ
খারকিভের একটি থানা অল্পের জন্য বেঁচে যায় শেলের আঘাত থেকে৷ পাশের এক ভবনে শেল আঘাত হানায় ভবনটির এখন এই অবস্থা৷
ছবি: Press service of the Ukrainian State Emergency Service/Handout/REUTERS