ইউরোপীয় বাঁধাকপিতে চড়ে ইকোলাই এবার থাইল্যান্ডে
১২ জুন ২০১১যে ইকোলাই নামের আতঙ্কের ভাইরাস জার্মানিতে ৩৩ জনের মৃত্যুর কারণ ঘটিয়েছে আর অসুস্থ করে বিছানায় ফেলে রেখেছে হাজার তিনেক মানুষকে, সেই ইকোলাই-এর দেখা মিলেছে দূর প্রাচ্যের থাইল্যান্ডেও৷ নিম্ন স্যাক্সনির একটি বিশেষ খামার থেকে আসা বিন স্প্রাউটস -এ জার্মান বিজ্ঞানীরা ইকোলাইকে খুঁজে বের করেছেন সম্প্রতি৷ যদিও সমস্যার সমাধান এখনও হয়ে ওঠেনি৷
থাইল্যান্ডে ইউরোপ থেকে রপ্তানি হয়ে পৌঁছানো বাঁধাকপি আর অ্যাভোকাডোর মধ্যে সেই ঘাতক ইকোলাই পৌঁছে গেছে শনিবারেই৷ থাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক এ খবর নিশ্চিত করে বলেছে, ইউরোপ থেকে আসা অ্যাভোকাডোতে আগেই পাওয়া গিয়েছিল ইকোলাই৷ কিন্তু বাঁধাকপির ব্যাপারটা নতুন৷
যদিও থাই কর্তৃপক্ষ তেমন আতঙ্ক সৃষ্টি হতে দেয়নি জন সাধারণের মধ্য৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইকোলাই পাওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছে, আপাতত তিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চায় এই ভাইরাসের তেজ কতটা৷ তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে৷ অর্থাৎ বন্ধ করা হতে পারে ইউরোপীয় সব্জির আমদানি৷ বিশেষ করে জার্মানির তো বটেই৷
তবে ইকোলাই ভাইরাসের অনেক রকম ধরণ আছে বলেও জানিয়েছে থাইল্যান্ড৷ তার মধ্যে সবগুলিই যে ঘাতক নয়, সে খবর সাধারণ্যে প্রচার করা হয়েছে৷ এদিকে জার্মানিতে কিন্তু ইকোলাই নিয়ে দুর্ভাবনা আর দুশ্চিন্তার কোন শেষ নেই এখনও৷ লোয়ার স্যাক্সনির বিন স্প্রাউটের মধ্যে থেকে এই ভাইরাসকে খুঁজে পেলেও একে কী করে সামলানো যেতে পারে, সে বিষয়ে কোন পথের দিশা দেখছেন না জার্মান বিজ্ঞানীরা৷ গবেষণা চলছে, বাড়ছে এই ভাইরাসটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই