ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার নতুন নভোচারী দল
২১ মে ২০০৯দীর্ঘ এক বছর ধরে নানা রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ৮৪০০ জনেরও বেশি প্রার্থীর মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয়েছে ছয় নতুন নভোচরীকে৷ পাঁচ পুরুষ নভোচারীর মধ্যেও একজন ইটালির৷ নাম লুকা পারমিটানো৷ আছেন ব্রিটেনের টিমোথি পিক, ডেনমার্কের আন্দ্রেয়াস মগেনসেন আর ফ্রান্সের থমাস পেসকেট৷
ইএসএ-র হিউম্যান স্পেসফ্লাইট বিভাগের পরিচালক সিমোনেটা দি পিপো প্যারিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে-ফল আমরা পেলাম তাতে আমি গর্বিত৷ আমাদের সব প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে এই ফল৷ আমরা যে শুধু অত্যন্ত যোগ্য মহাকাশচারীদের একটি দলকে পেলাম তাই নয়, যে-সব ইউরোপীয় দেশ মহাকাশে মানুষ প্রেরণ ও মহাকাশ অনুসন্ধান কার্যক্রমে জোর সাহায্য সহযোগিতা দিচ্ছে, তাদেরও প্রতিনিধিত্ব পাওয়া গেছে'৷
পরিচালক সিমোনেটা আরো বলেন, নির্বাচিত নভোচারীরাই হলেন ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষকদের আগামী প্রজন্ম৷ তাঁদের সামনে রয়েছে দারুণ এক নভোচারী জীবন৷ কোন একদিন বিশ্বব্যাপী গবেষণা উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাঁরা চাঁদে গিয়ে পৌঁছবেন এবং ফিরে আসবেন আবার ধরিত্রীর বুকে৷
ইএসএ-র মহাপরিচালক জঁ জাক দোরদাঁ বলেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস-এর পর চাঁদই হবে পরবর্তী পদক্ষেপ৷ তিনি বলেন, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০২০ সালে চাঁদে নতুন এক মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে৷ সেই মিশনে ইউরোপীয় নভোচারীরা যাতে স্থান পান তার জন্য তিনি সব রকমের চেষ্টা চালাবেন, বলেন ইএসএ-র মহাপরিচালক৷
নির্বাচিত জার্মান নভোচারী ৩২ বছর বয়স্ক পদার্থ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্যার্স্ট-এর জন্ম বাদেন ভ্যুরটেমবার্গ রাজ্যে৷ ছেলেবেলা থেকেই মহাকাশের রহস্য তাঁকে হাতছানি দিয়েছে৷ তিনি বলেছেন, ‘ আমার দাদু ছিলেন হ্যাম অপারেটর৷ আমার বয়স যখন ছয় বছর, তিনি আমার কথা পাঠিয়ে দেন মহাকাশে'৷
আলেকজান্ডার গ্যর্স্ট জার্মানির কার্লসরুহে শহর আর নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করছেন৷ ২০০৫ সাল থেকে তিনি হামবুর্গে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন৷
ইএসএ-র নির্বাচিত ছয় নভোচারী আগামী দেড় বছর ধরে প্রশিক্ষণ নেবেন৷ ২০১৩ সাল নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন তাঁরা৷
প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার