1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের অর্থনীতি

৩০ এপ্রিল ২০১৩

অচলাবস্থা কাটিয়ে ইটালিতে সরকার গঠিত হওয়ায় ইউরোপে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে৷ সরকারি ব্যয় কমানোর বদলে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য চাপও বাড়ছে৷

ছবি: Reuters

ইউরো এলাকার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি ইটালিতে শেষ পর্যন্ত সরকার গঠিত হয়েছে৷ সে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটা-র অঙ্গীকার পুঁজিবাজারকে বেশ আশ্বস্ত করেছে৷ ফলে ইউরোপের পুঁজিবাজার সপ্তাহের শুরুতে এক ধাক্কায় বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷ ইউরোর বিনিময় মূল্যও বেড়ে গেছে৷ চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমাতে পারে, এমন সম্ভাবনার দিকেও নজর রাখছে বাজার৷

বিভিন্ন কারণে এই মুহূর্তে ইউরোপের দেশগুলির অবস্থান কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে৷ এতকাল সরকারি ব্যয় কমিয়ে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাড়তি সরকারি পদক্ষেপের দাবি দুর্বল হয়ে উঠছিল৷ এই প্রশ্নে ইউরো এলাকার দেশগুলি দুটি শিবিরে ভাগ হয়ে যাচ্ছে৷ একদল সরকারি ব্যয় সঙ্কোচনের মাধ্যমে সমস্যার মূলে আঘাত করার পক্ষে৷ অন্য দল সব ভুলে আপাতত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কাজকেই প্রাধান্য দিতে চান৷ তাদের দাবি, প্রবৃদ্ধি ছাড়া সংকটের সমাধান সম্ভব নয়৷

ইটালির নতুন প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটাছবি: Reuters

প্রথম দলে রয়েছে জার্মানির নেতৃত্বে কিছু দেশ৷ দ্বিতীয় দলে মূলত সংকটগ্রস্ত দেশগুলি৷ নতুন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইটালি, অন্যদিকে ফ্রান্সের সরকার ব্যয় সঙ্কোচনের বিরুদ্ধে আরও কড়া অবস্থান নিচ্ছে৷ জার্মানি অবশ্য এখন কিছুটা নমনীয়তা দেখাচ্ছে৷ এর অন্যতম কারণ হলো, চলতি বছর ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও ইটালি তাদের বাজেট ঘাটতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না – এমনটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ তাছাড়া কোনো অবস্থাতেই ফরাসি-জার্মান ঐক্য ভাঙতে চায় না বার্লিন৷ ফ্রান্সের সমাজতন্ত্রী সরকার কট্টর নীতি বর্জন করে শিল্প ও বাণিজ্য জগতের প্রত্যাশা পূরণের কথা বলছে৷ আইএমএফ-ও সুর বদলে আর কড়া ব্যয় সঙ্কোচন নীতির কথা বলছে না৷ ফলে সব মিলিয়ে ইউরোপে কিছুটা গতি আসতে পারে বলে মনে হচ্ছে৷

ইউরোপের সংকটগ্রস্ত দেশগুলির বর্তমান পরিস্থিতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ আসলে যে সব দেশ বেলআউটের উপর নির্ভরশীল, তাদের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা নেই৷ যেমন গ্রিসের সংসদ ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ১৫,০০০ সরকারি পদ তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা আর থাকছে না৷ সাইপ্রাসের জন্যও ব্যয় সঙ্কোচনের আরও সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করে রয়েছে৷ শর্ত পূরণ করতে না পারলে এই সব দেশের পক্ষে ইউরো এলাকায় থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে৷

এসবি /জেডএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ