1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান মাদুরোর

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধী পক্ষের নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ৷ তারা মাদুরোর প্রতি শিগগিরই নির্বাচন দেবার আহ্বানও জানিয়েছে৷ সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন মাদুরো৷

Venezuela Caracas Rede Nicolas Maduro
ছবি: picture-alliance/AP/A. Cubillos

ইউরোপের যে দেশগুলো মাদুরোবিরোধী অবস্থান নিয়েছে সেগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন ও স্পেন ছাড়াও রয়েছে পর্তুগাল, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস৷ তবে ইটালি এখনো সে পথে পা বাড়ায়নি৷ রাশিয়া ইউরোপের দেশগুলোর এমন অবস্থানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘‘অনধিকার চর্চা''৷

গুয়াইদোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবার পর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘শিগগিরই নির্বাচনের ঘোষণা দিন৷ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক হতে হবে৷''

ভেনেজুয়েলার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যেন সাহায্য পাঠানো যায়, সে চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেরেমি হান্ট এর কিছু পরই টুইটারে লেখেন যে তিনি আশা করেন, ‘‘এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয়ের অবসান ঘটবে৷''

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘‘ভেনেজুয়েলার জনগণের নিজেদের মতামত বাধাহীন ও গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রকাশের অধিকার রয়েছে৷''

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জাপানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,‘‘হুয়ান গুয়াইদোকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, যেন তিনি  যত দ্রুত সম্ভব দেশটিতে একটি স্বাধীন, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেন৷'' 

এদিকে স্প্যানিশ টেলিভিশন সেক্সটা ব্রডকাস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাদুরো এই চাপে ‘নতি স্বীকার করবেন না' বলে জানিয়েছেন৷

‘‘কেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি দেশকে বলবে যে, সে দেশে নির্বাচন করতে হবে, যেখানে দেশটিতে এরই মধ্যে একটি নির্বাচন হয়েছে? তাদের সমর্থিত ডানপন্থিরা জেতেনি বলে?'' প্রশ্ন তোলেন মাদুরো৷

‘‘তারা আমাদের একটি বড় সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে,'' মন্তব্য করেন তিনি৷

ইউরোপের আগে যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও কয়েকটি ল্যাটিন দেশ গুয়াইদোকে আগেই সমর্থন দিয়েছে৷ ৩৫ বছর বয়সি গুয়াইদো তেলসমৃদ্ধ দেশটির সমাজবাদী নেতা মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা, একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

 মাদুরোর আমলে তেলনির্ভর ভেনেজুয়েলা কঠিন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে৷ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এবং খাদ্য ও ঔষধের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে৷

গত কয়েক বছর ধরে মাদুরোবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আসা পপুলার উইল পার্টির সদস্য গুয়াইদো গত ২৩ জানুয়ারি এক সমাবেশে নিজেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করেন৷

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ২ কোটি ডলারের সাহায্য দিতে চেয়েছে৷ কিন্তু মাদুরো তা ঢুকতে দিতে নারাজ৷ গুয়াইদো ব্রাজিল ও কলম্বিয়া সীমানা দিয়ে এসব সাহায্য ঢুকতে দেবার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)     

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ