1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারলেন না জনসন

২৩ আগস্ট ২০১৯

ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত জার্মানি ও ফ্রান্সের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেও ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদলের আশ্বাস আদায় করতে পারলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন৷

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ
ছবি: Reuters/G. Fuentes

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ব্রেক্সিটের প্রশ্নে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিয়ে আসছেন৷ এমনকি ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত বিচ্ছেদের সময়সীমা বাড়ানোরও ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি৷ চূড়ান্ত পর্যায়েও ব্রিটেনকে কোনো ছাড় দিতে চান না তিনি৷ তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার প্যারিসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনার পর মাক্রোঁ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রস্তাব মেনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে ব্রিটেনের সঙ্গে আরও এক মাস আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হলেন৷ তবে মাক্রোঁ একইসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে ব্রিটেন কোনো বড় ছাড় পাবে না৷ বিচ্ছেদ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য আর সময় নেই৷

মাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর জনসন বলেন, আইরিশ সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এড়াতে সমাধানসূত্র প্রস্তুত রয়েছে৷ তবে তিনি এমন দাবি করে এলেও এখন পর্যন্ত সেই সূত্র বিষয়ে তেমন কিছু জানান নি৷ বিচ্ছেদ চুক্তির মাধ্যমেই ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বার করতে তিনি বদ্ধপরিকর, বলেন জনসন৷ তাঁর মতে, বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই কাজে প্রবল উৎসাহ পাচ্ছেন৷ মাক্রোঁ তাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে কোনো সমাধানসূত্রের ক্ষেত্রে ইইউ-র একক বাজার ও আইরিশ দ্বীপের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে৷

এদিকে বৃহস্পতিবার ম্যার্কেলও আবার জানিয়ে দিয়েছেন, যে ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করার আগে নির্ধারিত এক মাসের মধ্যে ব্রিটেনকে আইরিশ সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্য বিকল্প পেশ করতে হবে৷

অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল' নীতিতে ব্যর্থ হয়ে জনসন লন্ডনে ফিরে ব্যর্থতার দায় ইউরোপীয় নেতাদের উপর চাপাতে পারবেন না৷ ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সি নামের প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুজতবা রহমান তাঁর টুইট বার্তায় লেখেন, ‘‘তারা বরিসকে বলছেন, তুমি বার বার বলছো, বিকল্প রয়েছে৷ তোমরা ব্রিটিশরা যা দুই বছরে পারো নি, তা পেশ করতে এখন ৩০ দিন সময় পাবে৷''

বৃহস্পতিবার প্যারিসের এলিসে প্রাসাদে মাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার সময় জনসন এক মুহূর্তের জন্য টেবিলের উপর পা তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন৷ তবে নিজের ভুল বুঝে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেন৷ ফরাসি ভাষায় দক্ষ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মাক্রোঁকে তাঁর ভাষাতেই বার বার সম্বোধন করে কিছুটা উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন৷

এসবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ