1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘স্মার্ট বর্ডার সিস্টেম’

১০ জুন ২০১২

একের পর এক সংকট সত্ত্বেও গন্তব্য হিসেবে ইউরোপের আকর্ষণ কিন্তু কমছে না৷ অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে৷

Ein Beamter der daenischen Polizei stoppt am Donnerstag (12.05.11) am deutsch-daenischen Grenzuebergang Pattburg einen Pkw. Daenemark hatte Mittwoch (11.05.11) angekuendigt wieder an der Grenze zu Deutschland sowie an den Faehr- und Flughaefen zu kontrollieren. Weil es sich dabei um Zollkontrollen und nicht um Personenkontrollen handele, sei die Massnahme aber im Einklang mit den Schengenregeln, beteuerte Integrationsminister Soeren Pind in Bruessel. "Die Zollbeamten werden tun, was sie immer getan haben; nach Drogen und Waffen suchen, schauen, ob es eine merkwuerdige Anzahl von Personen in merkwuerdig aussehenden Autos gibt". (zu dapd-Text) Foto: Tim Riediger/dapd
ছবি: dapd

সীমানা সুরক্ষার প্রচেষ্টা

শেঙেন ভিসার কল্যাণে ইউরোপের অনেক দেশের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সীমানায় নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ আর নেই৷ ফলে ইউরোপের বহির্সীমানায় কড়াকড়ি অনেক বেশি৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সীমান্তে অপরাধের ঘটনা কমে নি৷ অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশ করার চেষ্টাও করে অনেকে৷ সেই চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকের অপমৃত্যু ঘটে৷ বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ এমন অপ্রিয় ঘটনা এড়াতে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে৷ চালু করা হচ্ছে ইউরোপীয় সীমানা নজরদারি ব্যবস্থা – যার পোশাকি নাম ‘ইউরোপীয় বর্ডার সারভেলেন্স সিস্টেম' বা ‘ইউরোসুর'৷

ইউরোপীয় কমিশনের অভ্যন্তরীণ কমিশনার সেসিলিয়া মালস্ট্রোম গত বছর নতুন প্রযুক্তি চালু করার সময়ে বলেছিলেন, ‘‘এর জন্য আমাদের এক কার্যকর ব্যবস্থা চালু করতে হবে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ইউরোপীয় মন্ত্রিপরিষদ ও ইউরোপীয় তথ্য সংরক্ষণ দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই আমি৷''

প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

জাতীয় ও ইউরোপীয় স্তরে যে ডেটাব্যাংক বা তথ্যভাণ্ডার রয়েছে, সেগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত করে নতুন একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করাই আসল চ্যালেঞ্জ৷ ইউরোপের বহির্সীমানায় নজর চালানোর জন্য ড্রোন ও স্যাটেলাইট ব্যবস্থারও উন্নতি করতে হবে৷ গোটা ব্যবস্থাকে স্থায়ী রূপ দিতে ‘ইউরোসুর' একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷ সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় স্তরেই সীমানা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব চূড়ান্ত রূপ পাবে৷

গ্রিসের সীমান্ত এলাকাছবি: picture-alliance/dpa

‘ইউরোসুর'এর পাশাপাশি আরও দুটি সমান্তরাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে৷ ‘স্মার্ট বর্ডার সিস্টেম' শিরোনামের আড়ালে প্রচলিত প্রক্রিয়াকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা৷ ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম' বা ইএসএস'এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বহিরাগতদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ সেইসঙ্গে ‘রেজিস্টার্ড ট্রাভেলার প্রোগ্রাম' বা ‘আরটিপি'র মাধ্যমে সেই সব বিদেশিদের ইউরোপে দ্রুত প্রবেশের অধিকারের গ্যারেন্টি দেওয়া হবে, যারা স্বেচ্ছায় নিজেদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পরীক্ষার অনুমতি দিতে প্রস্তুত৷ ইউরোপীয় কমিশনের দাবি, ‘স্মার্ট বর্ডার সিস্টেম'এর আওতায় এমন সব পদক্ষেপের মাধ্যমে একদিকে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আরও মজবুত করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে বহিরাগতদের যাতায়াতের উপর কড়া নজর রাখা যাবে৷

পরিকল্পনায় ত্রুটি

আপাতদৃষ্টিতে এই পরিকল্পনাকে অত্যন্ত ইতিবাচক মনে হওয়াটা স্বাভাবিক৷ কিন্তু জার্মানির সবুজ দলের ঘনিষ্ঠ ফাউন্ডেশন এই পরিকল্পনার খুঁটিনাটি দিকগুলি খতিয়ে দেখেছে৷ তাদের হয়ে ব্রিটেনের নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘স্টেটওয়াচ' এবিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যার নাম ‘বর্ডারলাইন'৷

রিপোর্টের অন্যতম লেখক বেন হেস ‘স্মার্ট বর্ডার সিস্টেম'এর বেশ কিছু দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন৷ যেমন ভূমধ্যসাগরে অবৈধ শরণার্থীদের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে৷ তবে বাস্তবে কি তা হবে? তিনি বললেন, ‘‘কীভাবে শরণার্থীদের উদ্ধার করা হবে, এই পরিকল্পনায় কোথাও তার উল্লেখ নেই৷ উদ্ধার করতে পারলেও তারপর তাদের নিয়ে কী করা হবে, তাও স্পষ্ট নয়৷ এর বদলে তাদের ফেরত পাঠানোর অভিযানের উল্লেখ করা হয়েছে৷ ইউরোপের সীমানা থেকে সব শরণার্থীদের দূরে রাখাই যেন মূল উদ্দেশ্য৷ আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত নীতির সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার কোনো সামঞ্জস্য নেই৷''

সামগ্রিক সমাধানসূত্রের প্রচেষ্টা

বায়োমেট্রিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বর্ডার সিস্টেম' সেই সব বহিরাগতদেরও চিহ্নিত করতে পারবে, যারা বৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করলেও ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ফিরে যায় নি৷ ‘বর্ডারলাইন' রিপোর্ট অনুযায়ী, এটা করতে গেলে যে বিশাল তথ্যভাণ্ডার ও আয়োজনের প্রয়োজন, তা বাস্তবে চালু রাখা কঠিন৷ প্রতি বছর প্রায় ১০ কোটি মানুষ ইইউ দেশগুলিতে প্রবেশ করে৷ তাদের প্রত্যেকের হদিশ রাখা দুরূহ কাজ৷ তার উপর ইউরোপের বিশাল বহির্সীমানায় প্রতিটি ডিঙি নৌকা চিহ্নিত করতে যে প্রযুক্তি, লোকবল ও আয়োজনের প্রয়োজন, তার বিশাল ব্যয়ভার কে বহন করবে, পরিকল্পনায় তার কোনো উল্লেখ নেই৷

এই ব্যবস্থায় ইউরোপে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের উঁচু মানও বজায় রাখা কঠিন হবে৷ ‘স্টেটওয়াচ'এর সমালোচনার মূল ভিত্তি হলো, বেসরকারি সংস্থাগুলি মোটা মুনাফার লোভে বড় প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার জন্য তদ্বির করে চলেছে৷ ফলে ইউরোপের বহির্সীমানার সুরক্ষার নামে বিশাল ব্যয়ভার চাপতে চলেছে বাজেটের উপর৷ তবে বিষয়টি চলতি বছরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উত্থাপিত হলে তখন দুর্বলতাগুলি সবার চোখে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: রেচেল গেসাট / সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ