1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে ম্যার্কেল

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়েছে বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷ সংকটে থাকা ইউরো অঞ্চলের জন্য আরো বেশি সহায়তার আশ্বাস চীনা প্রধানমন্ত্রীর৷

চীন সফরে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: Reuters

আলোচিত চীন সফর শেষে এটিকে সফল বলেই মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তবে একইসাথে চীনে বিরাজমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ তিন দিনের সফরের শেষ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের শহর গুয়াংঝুতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে, এই সফরের মধ্য দিয়ে জার্মান-চীন সম্পর্কে ‘বেশ অগ্রগতি হয়েছে'৷

এই সফরে ম্যার্কেল চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাউ এবং প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাউ এর সাথে বৈঠক করেন৷ এছাড়া দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব এবং গুয়াংডং প্রদেশের নেতা ওয়াং ইয়াং এর সাথে বৈঠক করেছেন জার্মান শীর্ষ নেতা৷ চীনা গণমাধ্যমে ম্যার্কেলের সফর সম্পর্কে মন্তব্য করা হয় যে, ‘এটি অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলার সময়ে বিশ্বের দুই উৎপাদনশীল শক্তির ঐক্যবদ্ধ অবস্থান'৷

ছবি: dapd

যাহোক, ম্যার্কেল আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইউরোপের ঋণ সংকট মোকাবিলায় আরো বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে চীন৷ এছাড়া চীনের বাজার ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো বেশি প্রবেশাধিকারের সুযোগ চেয়েছেন ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মানি এবং ইউরোপের বাজারে চীনা প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার রয়েছে৷ বিনিময়ে আমরাও চাই যে, চীনের বাজারে চীনা প্রতিষ্ঠানসমূহের যেমন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, আমাদেরকেও সমান সুযোগ দেওয়া হবে৷''

চীনা প্রধানমন্ত্রীও ইউরোপের বাজারে আরো বিনিয়োগ এবং ইউরো অঞ্চলের সংকট কাটাতে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন৷ ম্যার্কেলের সফরের পরদিন চীনের দক্ষিণাঞ্চলের রপ্তানি নির্ভর প্রদেশ কুয়াংডং গিয়ে জিয়াবাউ বলেন, ‘‘এখন ইউরোপ ঋণ সংকটে ভুগছে এবং আমাদের জাতীয় স্বার্থেই অবশ্যই ইউরোপের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বিবেচনা করতে হবে৷ একদিকে, আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে ইউরোপ৷ আর অন্যদিকে, প্রযুক্তি আমদানির জন্য আমাদের বৃহত্তম উৎস ইউরোপ৷ তাই ইউরোপের বাজারকে স্থিতিশীল করতে সহযোগিতার অর্থ দাঁড়ায় আমাদের নিজেদেরই কল্যাণ৷ তাই আমাদের সব মহলকেই এটি বুঝতে হবে৷''

ইউরোপের মন্দাবস্থা কাটাতে গৃহীত তহবিল ইএফএসএফ এবং ইএসএম এর জন্য সহায়তা প্রদান করেও ইউরো অঞ্চলের সংকট কাটাতে অংশগ্রহণের কথা চীন বিবেচনা করছে বলে উল্লেখ করেন জিয়াবাউ৷ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জার্মান-চীন বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬৯ বিলিয়ন ডলার৷ এ বছর সেটা বেড়ে ২০০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছবে বলেও মন্তব্য করেন ওয়েন জিয়াবাউ৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ