1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো সংকট

৩১ অক্টোবর ২০১২

সংকট সত্ত্বেও স্পেন, ইটালি ও গ্রিসের মধ্যে সংহতি দেখা যাচ্ছে৷ ইউরো এলাকাকে অটুট রাখা প্রয়োজন, বলছেন স্পেন ও ইটালির নেতারা৷ গ্রিস’কে নিয়ে রয়ে গেছে অনিশ্চয়তা৷

ছবি: DW

স্পেন, ইটালি ও গ্রিসের নেতারা পরস্পরের প্রতি সংহতি দেখাচ্ছেন৷ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়োনো রাখই জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর দেশের বেলআউট'এর প্রয়োজন হবে না৷ জার্মানি শুরু থেকেই এই কথা বলে আসছিল৷ ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি'ও বেলআউট'এর প্রসঙ্গ দূরে সরিয়ে রাখতে চান৷ অথচ কিছুকাল আগে পর্যন্ত মন্টি চাইছিলেন, স্পেন বেলআউট'এর আবেদন করে বাজারকে শান্ত করুক৷ সোমবার দুই নেতা বলেছেন, সংকটের এই সময়ে ইউরো এলাকাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে৷ স্পেন ও ইটালি সংকট থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বলেও দুই নেতা মন্তব্য করেন৷ তবে বাজারের আচরণে কিছুটা বিরক্ত তাঁরা৷ মন্টি অভিযোগ করেছেন, বন্ড বাজারে ইটালিকে অস্বাভাবিক মাত্রায় সুদ গুনতে হচ্ছে৷

দুই নেতা আরও বলেন, গ্রিসকেও যাতে অভিন্ন মুদ্রার কাঠামোয় ধরে রাখা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ এদিকে গ্রিস সব শর্ত মেনে পরবর্তী কিস্তির আন্তর্জাতিক সাহায্য পাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার ফলে সপ্তাহের শুরুতে বাজারের অবস্থা ছিল বেশ বেহাল৷ অ্যামেরিকায় ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি'র কারণেও আন্তর্জাতিক স্তরে পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে৷ স্পেন সহ ইউরোপের অর্থনীতির পড়তি সূচক, সরকারি কোষাগারে কর বাবদ আয়ে ঘাটতির মতো কারণেও বাজারে দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে৷

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়োনো রাখই (মাঝে) ও ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি (বামে)ছবি: Reuters

সবাই জানে, গ্রিসকে আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে৷ তবেই তারা পরবর্তী কিস্তির আন্তর্জাতিক সাহায্য পাবে৷ কিন্তু ইসিবি, ইউরোপীয় কমিশন ও আইএমএফ'এর প্রতিনিধিরা নতুন একটি সম্ভাবনার কথা বলে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছেন৷ তারা বলছেন, সম্ভবত গ্রিসের ঋণভারের একটা অংশ মকুব করতে হতে পারে৷ জার্মানি সরাসরি এর বিরোধিতা করেছে৷ তাদের মতে, ঋণ বা গ্যারেন্টি একটি বিষয়, কিন্তু করদাতাদের অর্থ দিয়ে তৈরি তহবিল থেকে অন্যের ঋণ মেটানো একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা বে-আইনি৷ ইসিবি'ও এই প্রশ্নে কোনো লোকসান মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ এর মধ্যে অবশ্য পরবর্তী প্যাকেজ নিয়ে একটা রফার আশা দেখা যাচ্ছে৷ মঙ্গলবারই আন্তর্জাতিক পাওনাদারদের সঙ্গে গ্রিসের একটি বোঝাপড়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও সামারাস বলেছেন, ব্যয় সংকোচের উদ্দেশ্যে তাঁর সরকার নতুন যে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আগামী বাজেট সম্পর্কেও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷ ফলে পরবর্তী কিস্তির সহায়তার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে৷ সামারাস বলেন, গ্রিস ইউরো এলাকায়ই থাকবে এবং সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে৷ কোনো কারণে এই বোঝাপড়া ব্যর্থ হলে গ্রিস অরাজকতার মধ্যে পড়বে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও সামারাসছবি: Reuters

জার্মানি ও ফ্রান্স গ্রিসের অর্থনৈতিক সমস্যা মেটাতে এক সার্বিক সমাধানসূত্র নিয়ে আলোচনা করছে৷ দুই দেশের অর্থমন্ত্রীরা মঙ্গলবার বলেন, প্রথমত গ্রিস ইউরো এলাকায়ই থাকবে, নভেম্বর মাসেই তা নিশ্চিত করতে হবে৷ তারপর সেদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতেও স্পষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে বলে তাঁরা মনে করেন৷

এদিকে আয়ারল্যান্ড'এর ব্যাংকিং ক্ষেত্রের সংকটের প্রশ্নে জার্মানি বলেছে, সে দেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করা যেতে পারে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে বলেন, ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরাও আয়ারল্যান্ড'কে ‘স্পেশাল কেস' হিসেবে বিবেচনা করছে৷ নিয়ম অনুযায়ী আয়ারল্যান্ড তার পুরানো ঋণভার নিয়ে ইউরোপীয় উদ্ধার তহবিল ইএসএম'এর দ্বারস্থ হতে পারে না৷ তবে সংকট কাটাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ ফলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পথে নতুন করে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, ইউরো এলাকার স্বার্থেই তা নিশ্চিত করতে চায় জার্মানি৷ ক্ষুদ্র দেশ আয়ারল্যান্ড'কে সহায়তা করার ক্ষমতাও রয়েছে এই তহবিলের৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ