1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে ম্যার্কেল

২ ফেব্রুয়ারি ২০১২

ইউরো এলাকার সংকট কাটার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল’এর চীন সফরেও বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

ম্যার্কেল আর জিয়াবাওছবি: picture-alliance/dpa

ইউরোপের আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সময় যদি কেউ সহায়তা করতে পারে, তা হল চীন – অনেক হিসেব-নিকেশ করে বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই এই পূর্ববাণী করে রেখেছেন৷ আমরা জানি, গ্রিস সহ ইউরো এলাকার একাধিক দেশের সংকট সামলাতে গত বছর ইএফএসএফ নামের যে অস্থায়ী তহবিল গঠন করতে হয়েছিল, এবছরের গ্রীষ্মেই তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ তার জায়গায় আসছে ইএসএম নামের স্থায়ী তহবিল৷ এই তহবিলে যত অর্থ জমা পড়বে, বাজার ততই শান্ত হবে বলে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ ইউরোপের ভিতরে একমাত্র জার্মানিরই সেই অঙ্ক বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে, যদিও ম্যার্কেল নানা কারণে তা চাইছেন না৷ চীনের বিশাল বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার থেকে সামান্য অর্থ যদি এই তহবিলে জমা করা যায়, তাহলে ইউরোপের খুবই উপকার হবে৷ বেইজিং অবশ্য এতকাল অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ইউরোপের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এসেছে৷ ম্যার্কেল তাঁর সফরে চীনের মনোভাব বদলানোর চেষ্টা করছেন৷

চীনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: picture-alliance/dpa

চীনের প্রতিক্রিয়া

ম্যার্কেল'এর সঙ্গে আলোচনার পর চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বলেন, ইউরোপের ঋণ সংকটের ক্ষেত্রে তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়ে তাঁর দেশ ভাবনা-চিন্তা করছে৷ অর্থাৎ ইএফএসএফ বা ইএসএম'এ অংশ নেওয়ার প্রশ্নে চীন কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে৷ তবে কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কের কথা এখনই শোনা যাচ্ছে না৷ চীন বরাবরই এই সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ'এর আরও বেশি অংশগ্রহণ দেখতে চাইছে৷ ইউরোপে সরাসরি হস্তক্ষেপের বদলে তারা আইএমএফ'এর মাধ্যমে সহায়তা করতে চায়৷ ওয়েন বলেন, সামগ্রিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে চীনের অবশ্যই একটি ভূমিকা রয়েছে৷

চীনের সমালোচনা

চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও ম্যার্কেল'এর সামনেই কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন, সবার আগে ইউরোপীয় দেশগুলিকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাতে হবে৷ তাছাড়া এই সংকট গোটা বিশ্বের অর্থনীতির জন্য কতটা ক্ষতিকর, তাও ইউরোপকে বুঝতে হবে৷ চীনও এর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারে না৷ তাই ইউরোপকে বেশ কিছু কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে, বলেন ওয়েন৷ ম্যার্কেলও এই সমালোচনা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ ইউরোপকে একদিন চীনের চোখরাঙানি দেখতে হবে, এমনটা কেউ ভাবতে পেরেছিল?

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ