ইউরোপে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ কর্মীর বেশ চাহিদা রয়েছে৷ ফলে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে৷ সম্প্রতি বার্লিনে একটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে৷
বিজ্ঞাপন
সারা বিশ্ব থেকে আসা তরুণদের ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলছেন রাফায়েলা রাইন৷ তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ক্যারিয়ার ফাউন্ড্রি৷ এমন পেশার চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘চাহিদা প্রচুর৷ আপনি যদি বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোর দিকে তাকান, দেখবেন সবাই ডিজিটাল হতে চায়, অনলাইনে উপস্থিত থাকতে চায়৷ সেটা করতে হলে তাদের এমন কর্মী চাই, যাঁরা জানেন কীভাবে ডিজিটাল হতে হয়, কীভাবে দারুণ একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা যায়৷''
ক্যারিয়ার ফাউন্ড্রিতে ৪০ জন কর্মী কাজ করেন৷ আরেকজনের সঙ্গে মিলে বছর চারেক আগে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন রাইন৷ তাঁরা শুধু অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেন৷ বছরে কয়েক হাজার কোর্স করানো হয়৷ অ্যাপল ও ব্যাংক অফ অ্যামেরিকার মতো প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের জন্য ক্যারিয়ার ফাউন্ড্রিতে কোর্সের ব্যবস্থা করে৷ রাফায়েলা রাইন বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, জার্মানরা নতুন কোনো আইডিয়াকে প্রথমে অদ্ভুতভাবে নেন৷ শুরুতে কিছুটা নেতিবাচক ভাব দেখায়৷ তাঁরা মনে করেন, এটা সফল হবে না৷ তিনি পুরুষ কিংবা নারী যে-ই হোন না কেন, আপনি এরকম প্রতিক্রিয়া পাবেন৷ আমরাও এমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছি৷ ফলে যারা ২০১৩ কিংবা ২০১৪ সালে আমাদের এখানে বিনিয়োগ করেনি, তারা এখন তাদের ভুল বুঝতে পারছে৷''
১৪ লাখ মানুষের দেশে স্টার্ট-আপদের রমরমা
হয়তো তার ক্ষুদ্র জনসংখ্যাই ভবিষ্যৎমুখী স্টার্ট-আপের ক্ষেত্রে এস্টোনিয়াকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্থান করে দিয়েছে৷ ডেলিভারি রোবট থেকে শুরু করে এআই-চালিত ভাষা অ্যাপ, সব কিছুই আছে এস্টোনিয়ার স্টার্ট-আপ রেঞ্জে৷
ছবি: Starship Technologies
স্টারশিপের কাজ হবে...
...চিঠিপত্র বিলি করা! ভ্যানে করে এসে পিৎসা দিয়ে যাওয়া, কিংবা পার্সেল ডেলিভারি করা, কিংবা পিয়ন এসে চিঠি দিয়ে যাওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না৷ স্টারশিপ টেকনোলজিস কোম্পানিটির স্রষ্টা হলেন স্কাইপের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা৷ কেম্পানির ট্যালিন, লন্ডন, ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া ও হামবুর্গে অফিস আছে৷ সেখানে ডমিনো’স পিৎসা কোম্পানি আর হার্মেস লজিস্টিক কোম্পানি স্টারশিপ টেকনোলজিস-এর ডেলিভারি রোবটটি পরীক্ষা করে দেখছে৷
ছবি: Starship Technologies
এ ধরণের স্টার্ট-আপে যারা বিনিয়োগ করে থাকে
‘ফান্ডারবিম’ কোম্পানিটির বয়স চার বছরও নয়৷ ইতিমধ্যেই সে ইউরোপের সেরা ‘ফিনটেক’ কোম্পানি – অর্থাৎ টেকনোলজি কোম্পানির অর্থ লগ্নিকারী সংস্থা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে৷ ‘ফান্ডারবিম’ স্টার্ট-আপের মুখ্য কার্যালয় হলো ট্যালিনের টেলিস্কিভি ক্রিয়েটিভ সিটিতে, যেখানে ‘লিংভিস্ট’ ভাষা অ্যাপ বা লিফ্ট৯৯-এর মতো স্টার্ট-আপের অফিস৷
ছবি: Julia Köppe
বিজ্ঞানী থেকে ভাষাতত্ত্ববিদ
মাইট ম্যুন্টেল উদ্যোগী পুরুষ৷ এস্টোনিয়ার মানুষ; সুইজারল্যান্ডের ‘সার্ন’-এ পার্টিকল ফিজিসিস্ট হিসেবে কাজ করার সময়েই তাঁর মাথায় আসে যে, হিগস-বোসন কণিকা আবিষ্কার করার জন্য তিনি যে লগারিদমগুলি ব্যবহার করেছেন, সেগুলি দিয়ে ফরাসি ভাষাও শেখা যেতে পারে৷ আজ তিনি ভাষাশিক্ষার অ্যাপ লিংভিস্টের বিকাশে যে ৪০ জন বিজ্ঞানী সংশ্লিষ্ট, তাদের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন৷
ছবি: Lingvist
স্টার্টআপ ওয়াল অফ ফেম
মানে ‘ওয়াক অফ ফেম’ আর ‘হল অফ ফেম’-এর মাঝামাঝি কিছু একটা! স্টার্টআপ সেক্টরে এস্টোনিয়ার উত্থানের শুরু স্কাইপ দিয়ে, মাইক্রোসফ্ট যা ২০১১ সালে ৮৫০ কোটি ডলার দিয়ে কেনে৷ স্কাইপের প্রতিষ্ঠাতারা তারপর ট্রান্সফারওয়াইজ, স্টারশিপ টেকনোলজিস ও অন্যান্য স্টার্টআপ শুরু করেছেন৷ সাধে কি আর তাদের ‘এস্টোনিয়ান মাফিয়া’ বলা হয়ে থাকে! এস্টোনিয়ায় প্রতি এক লাখ বাসিন্দা পিছু স্টার্টআপের সংখ্যা হলো ৩১, যা ইউরোপে তৃতীয়৷
ছবি: DW/B. Bathke
হালফ্যাশনের প্রযুক্তি, কিন্তু চেহারাটা সে আমলের
‘ই-ড্রাইভ রেট্রো’ খনিজ তেলে চলা পুরনো আমলের ভিন্টেজ গাড়িগুলিকে পুরোপুরি ব্যাটারি-চালিত গাড়িতে পরিণত করার ক্ষমতা রাখে৷ এ ধরনের গাড়ি এখন বিশ্বব্যাপী লাক্সারি কার মার্কেটের একটা বড় অংশ দখল করতে চলেছে৷
ছবি: DWE/B. Bathke
ফ্ল্যাটের সবজি!
মহাকাশযানের সবজিও বলা যেতে পারে, কেননা, এস্টোনীয় বংশোদ্ভূত মাটিয়াস লেপ নভোচররা তাদের মহাকাশযানে যেভাবে টবে সবজির চাষ করেন, তা দেখে পৃথিবীর ইট-কাঠ-পাথরের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য একই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করার প্রেরণা পান৷ ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ‘ক্লিক অ্যান্ড গ্রো’ কোম্পানি সাড়ে তিন লাখের বেশি টবের বাগান ও খামার বিক্রি করেছে৷
ছবি: Click & Grow
আশ্চর্য ব্যাটারি?
স্কেলিটন টেকনোলজিস বলে থাকে, তারা নাকি ‘এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম ও গ্র্যাফিন-ভিত্তিক সুপারক্যাপাসিটেটর’-এর ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃস্থানীয়৷ এ ধরনের ব্যাটারি অনেক বেশি শক্তি দেয়, রিচার্জ করতে খুব কম সময় লাগে ও বহুদিন ধরে কাজ করে৷ স্কেলিটন টেকনোলজিস কেম্পানি ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এসা-কে ব্যাটারি সরবরাহ করে থাকে; তাদের গবেষণা চলে ট্যালিনে, ব্যাটারি উৎপাদনের কাজ হয় জার্মানিতে৷
ছবি: Skeleton Technologies
7 ছবি1 | 7
আইটির উপর প্রশিক্ষণ দিতে বার্লিনে সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছে৷ প্রতিষ্ঠাতা টম বাখেম নিজে একজন সফল স্টার্টআপ উদ্যোক্তা ছিলেন৷
শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়া প্রায় নিশ্চিত, কেননা, ইউরোপজুড়ে আইটি পেশাজীবীদের চাহিদা রয়েছে৷ টম বাখেম বলেন, ‘‘বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে মিলে আমরা লেখাপড়ার বিষয় ঠিক করি৷ ফলে বাস্তব জীবনের বিষয়গুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকে৷''
বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম কোড৷ অনেক স্টার্টআপ ও ইন্টারনেট উদ্যোক্তার সঙ্গে কাজ করছে তারা৷ বিশ্ববিদ্যালয়টি ডিজিটাল পাইওনিয়ারদের একটি কমিউনিটি গড়ে তুলতে চায়৷ টিউশন ফি প্রতিমাসে সাড়ে সাতশ' ইউরো৷
সেখানে পাঠদানের ভাষা ইংরেজি৷ তিন বছর পড়ার পর শিক্ষার্থীরা ব্যাচেলর ডিগ্রি পান৷ ১২টি কোম্পানি কোডের সঙ্গে যুক্ত৷ ফলে অনেক প্র্যাকটিক্যালের সুযোগ আছে৷
প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল৷ কিন্তু মাত্র ৮৮ জনকে নেয়া হয়েছে৷ ভবিষ্যতের ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে তাদের অ্যাপ আর ওয়েবসাইট সম্পর্কে সবকিছু জানতে হবে৷
প্রতিষ্ঠাতা টম বাখেম স্টার্টআপ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজে কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন৷ তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভের আশা করছেন না তিনি৷
আইটি ট্রেনিংয়ের গুরুত্ব প্রতিদিনই টের পান রাফায়েলা রাইন৷ বিভিন্ন কোম্পানি রাইনের কাছে ওয়েব ডিজাইনারের খোঁজ করে৷ নিজের প্রকল্প নিয়ে তিনি এতটাই আশাবাদী যে, প্রশিক্ষণ শেষে যাঁরা চাকরি পাবেন না তাঁদের ফি ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন রাইন৷
বিশ্বের সবচেয়ে সফল ১০টি স্টার্টআপ
বিলিয়ন ডলার ক্লাবের তালিকায় উবার, এয়ার বিএনবিসহ যেসব স্টার্টআপ আছে, তাদের মূল্যমান কত, কবে এগুলোর প্রতিষ্ঠা হয়েছে, কে প্রতিষ্ঠাতা– জানতে পারবেন এই ছবিঘরে৷ তথ্য নেয়া হয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এ বছরের প্রতিবেদন থেকে৷
ছবি: picture alliance /abaca/D. van Tine
উবার
মূল্যমান ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ২০০৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) ট্রাভিস ক্যালানিক৷ উবার হলো বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপ৷ কোনো গাড়ির সেবা পেতে স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয় উবার৷
ছবি: picture alliance/dpa/Imaginechina/Da Qing
ডিডি চুঝিং
ডিডি কুয়াইদি আবার ডিডি চুঝিং নামেও পরিচিত৷ এটি চীনের সর্ববৃহৎ গাড়ি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান৷ ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এর মূল্যমান ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সিইও ওয়েই চেং৷
ছবি: picture-alliance /MAXPPP/VCG
শাওমি
শাওমি কর্পোরেশনের সদরদপ্তর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে৷ বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ স্মার্টফোন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান এটি৷ এর মূল্যমান ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ২০১০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এর সিইও জুন লেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Wu Hong
এয়ারবিএনবি
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টার্টআপ কোম্পানিটি মূলত একটি সোশ্যাল ওয়েবসাইট৷ কোথাও বেড়াতে বা কাজে গেলে এয়ারবিএনবিতে মানুষ থাকার জায়গা খোঁজে৷ ১৯০টি দেশের ৩৪ হাজার শহরে এটি কাজ করে৷ প্রতিষ্ঠাতা সানফ্রান্সিস্কোর ব্রায়ান চেস্কি, জো গেবিয়া এবং নাথান ব্লেচারজিক৷ এর মূল্যমান ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
ছবি: Imago/STPP
স্পেসএক্স
স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশন বা স্পেসএক্সের সদরদপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হাওথ্রোনে৷ এটি মহাকাশ যান, রকেট উৎক্ষেপণ– এই সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও নকশা তৈরি করে৷ ২০০২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ প্রতিষ্ঠাতা এলোন মাস্ক৷ এর মূল্যমান ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
ছবি: picture-alliance /dpa/Press Association Images/@alias_Amanada
উইওয়ার্ক
বিভিন্ন পেশার মানুষ এই স্টার্টআপের সাহায্যে একই অফিসে বসে কাজ করতে পারেন৷ উত্তর অ্যামেরিকা, ইউরোপ এবং ইসরায়েলের ২০টিরও বেশি শহরে এটি চালূ আছে৷ এর ভোক্তা হলেন স্টার্টআপ, ফ্রিল্যান্সার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যারা মাসিক ভাড়ায় বিভিন্ন স্থানে এক বা একাধিক অফিসে কাজ করতে পারেন৷ এর মূল্যমান ২০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার৷ ২০১০ সালে নিউইয়র্কে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷
ছবি: WeWork Europe
প্যালানটির
প্যালানটির টেকনোলজিস ইনকরপোরেশন একটি বেসরকারি অ্যামেরিকান সফটওয়্যার এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, যারা মূলত তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন সিআইএ, এফবিআই– এদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণের জন্য৷ এর মূল্যমান ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ২০০৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ (ছবিতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার কার্প)
ছবি: picture-alliance/newscom/A. Lohr-Jones
লুফ্যাক্স
এই স্টার্টআপের পুরো নাম লুজিয়াসুই ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যানশিয়াল অ্যাসেট এক্সচেঞ্জ করপোরেশন লিমিটেড৷ এটি একটি অনলাইন ইন্টারনেট ফিন্যান্স মার্কেট প্লেস, যার সদরদপ্তর সাংহাইয়ের লুজিয়াসুই এ৷ ২০১১ সালে এর পথচলা শুরু হয়৷ এর মূল্যমান ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Imaginechina/Guo Hui
মেইতুয়ান-ডিয়ানপিং
মেইতুয়ান-ডিয়ানপিং চীনের সর্ববৃহৎ ‘গ্রুপ ডিল ওয়েবসাইট’৷ অর্থাৎ এই কোম্পানি আপনাকে কেনাকাটার জন্য ভাউচার, স্থানীয় নানা সেবা, বিনোদনের ভাউচার, যেমন সিনেমার টিকেট এবং রেস্তোরাঁর বুকিং– এসব সেবা দেয়৷ চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ২০১৫ সালে এটির প্রতিষ্ঠা হয়৷ এই কোম্পানির মূল্যমান ১৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
ছবি: picture-alliance/Imagechina/R. Weihong
পিনটারেস্ট
পিনটারেস্ট একটি ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানি, যারা সফটওয়্যার সিস্টেমের নকশা করে, যাতে তথ্য উদঘাটন করা যায় পুরো বিশ্বের ওয়েব থেকে৷ এজন্য তারা ছবি, গিফ এবং ভিডিও ব্যবহার করে৷ এর মূল্যমান ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ২০০৮ সালে সানফ্রান্সিস্কোতে এটির প্রতিষ্ঠা হয়৷