1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে করোনা সার্টিফিকেটের কাজে অগ্রগতি

১২ মে ২০২১

চলতি বছরের গ্রীষ্মেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলিতে ভ্রমণ ও পর্যটন সম্ভব করতে ডিজিটাল করোনা সার্টিফিকেটের প্রস্তুতি চলছে৷ তবে তার আগে অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ের নিষ্পত্তি করতে হবে৷

Bildgalerie 50 Jahre Römische Verträge I Fahnenmasten mit den Flaggen der EU-Staaten wehen vor dem Gebäude des Europaparlaments in Strasbourg
ছবি: Thomas Ruffer/imageBROKER/picture alliance

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা সংকটের কারণে ইউরোপের পর্যটন ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ সরকারি সহায়তা ও ভরতুকি ছাড়া অনেক সংস্থা অস্তিত্বের সংকটে পড়তো৷ ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকায় কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি আশায় পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ গ্রিষ্মের শেষের মধ্যেই ইইউ দেশগুলির প্রায় ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ করোনা টিকা পেয়ে যাবেন বলে ইইউ কমিশন আশা করছে৷ কিন্তু গ্রীষ্মের ছুটির সময় অন্তত সীমিত আকারে পর্যটন সম্ভব করতে হলে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজন৷ ইউরোপীয় কমিশন সেই লক্ষ্যে ইইউ ভ্রমণ সার্টিফিকেট প্রস্তুত করছে৷

সোমবার ইইউ সদস্য দেশের ইউরোপের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ভ্রমণ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন৷ করোনা টিকা, করোনা নিরাময় ও করোনা পরীক্ষায় নেতিবাচক ফলের ভিত্তিতে ইইউ দেশগুলির মানুষের জন্য ডিজিটাল কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট তৈরির কাজ চলছে৷ কিন্তু সেই সার্টিফিকেট বা পাস দেখিয়ে ঠিক কী কী সুবিধা ভোগ করা সম্ভব, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না৷ কোন ধরনের করোনা পরীক্ষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তা নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে৷ ইউরোপে অনুমোদিত করোনা টিকার বাইরে অন্যান্য টিকাগুলির স্বীকৃতি নিয়েও সংশয় রয়েছে৷ সার্টিফিকেটের ডিজাইনও চূড়ান্ত হয়নি৷ জার্মানির ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী টোমাস রোট সব মতপার্থক্য দ্রুত কাটিয়ে তোলার ডাক দিয়েছেন৷ তার মতে, এই ব্যবস্থা শুধু পর্যটনের উপর নির্ভরশীল দেশগুলির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অবাধ চলাচলের সুযোগ আবার সম্ভব করার লক্ষ্যে এটা একটা বড় সংকেত৷

ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস সেফকোভিচ বলেন, গ্রীষ্মের আগেই ইইউ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে৷ তার মতে, বিষয়টিকে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷ আগামী সোমবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তি প্রয়োগের কাজ শুরু হচ্ছে৷ সেফকোভিচ সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলির দ্রুত নিষ্পত্তির ডাক দিয়েছেন৷ আইন ও প্রযুক্তিগত বাধা দূর করার উপরেও জোর দিচ্ছেন তিনি৷ সেফকোভিচ জানিয়েছেন, ইউরোপের বাইরেও এই সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য কিছু দেশকেও এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে৷

মোবাইল ফোনে এমন ডিজিটাল অ্যাপের আইনি বৈধতা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে৷ কিউআর কোডসহ কাগজেও সেটি প্রিন্ট করা সম্ভব হবে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এমন সার্টিফিকেটকে বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করছে৷ ইউরোপের জনপ্রতিনিধিরা সেটিকে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট হিসেবেও স্বীকৃতি দিতে চান না৷ তবে তারা চান, এই সার্টিফিকেট স্বীকৃতি পাবার পর কোনো সদস্য দেশ যেন এককভাবে কোয়ারেন্টাইন বা অন্যান্য বাধা চাপাতে না পারে৷ ইউরোপজুড়ে বিনামূল্যে পিসিআর টেস্ট চালু করার উপরেও জোর দিচ্ছে পার্লামেন্ট৷ বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসেই ইইউ পার্লামেন্টের সঙ্গে সদস্য দেশগুলির বোঝাপড়া চূড়ান্ত করতে হবে৷ সেটা সম্ভব হলে জুন মাসের শেষেই করোনা সার্টিফিকেট চালু হবার কথা৷ 

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ