1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্থিতিশীলতা

২৫ জানুয়ারি ২০১২

ইউরোপের অর্থমন্ত্রীরা অবশেষে ইএসএম নামের একটি স্থায়ী তহবিল গঠন করতে ঐকমত্যে পৌঁছলেন৷ এই পদক্ষেপ বাজারের অনিশ্চয়তা দূর করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রতীকী ছবিছবি: dapd

স্থায়ী তহবিল

গ্রিস সহ ইউরো এলাকার একাধিক দেশের সংকট সামলাতে গত বছর ইএফএসএফ নামের যে অস্থায়ী তহবিল গঠন করতে হয়েছিল, এবছরের গ্রীষ্মেই তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ তার জায়গায় আসছে ইএসএম নামের এই স্থায়ী তহবিল৷ প্রথমে সেখানে ৫০,০০০ কোটি ইউরো জমা পড়ার কথা৷ তবে সংকট সামাল দেবার জন্য এই অঙ্ক যথেষ্ট কি না, আগামী মার্চ মাসে ইউরোপের শীর্ষ নেতারা তা পরীক্ষা করে দেখবেন৷ তার মধ্যে সিংহভাগ দেবে জার্মানি, যদিও এই অঙ্ক আরও বাড়ানোর বিষয়ে সেদেশের কিছুটা সংশয় রয়েছে৷ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল আপাতত স্থায়ী তহবিল গঠনের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন৷ অর্থের অঙ্কের বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান না৷ কিন্তু ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি ও আইএমএফ'এর প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ মনে করছেন, কমপক্ষে ১ লক্ষ কোটি ইউরো জমা না পড়লে ইএসএম বাজারকে স্থায়ীভাবে শান্ত করতে পারবে না৷ এখানে মনে রাখতে হবে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর আগেই ইএসএম চালু করা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য বাজারে স্থিতিশীলতা আনা৷

বাজারকে শান্ত করার প্রচেষ্টা

প্রস্তাবিত এই স্থায়ী তহবিল বাজারের অনিশ্চয়তা দূর করতে কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ এর প্রবক্তারা বলছেন, আসলে ইউরো সংকটের শুরু থেকেই স্পষ্ট সিদ্ধান্তের অভাব দেখা যাচ্ছিল৷ প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে ইইউ নেতারা সেই পথেই এগোচ্ছেন বলে আপাতত মনে হচ্ছে, ইএসএম যার প্রমাণ৷ এই তহবিলে ব্যাংকের জন্যও প্রায় ৮,০০০ কোটি ইউরো মূলধন হিসেবে রাখা হবে৷ ফলে এই তহবিল হবে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী৷ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়র্স যেভাবে ইএফএসএফ-এর রেটিং কমিয়ে দিতে পেরেছিল, ইএসএম-এর ক্ষেত্রে তা করা সহজ হবে না বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে এই প্রসঙ্গে তহবিলের অঙ্কের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ কমপক্ষে ১ লক্ষ কোটি ইউরো জমা না পড়লে তবেই ইএসএম কার্যকরী হাতিয়ার হবে বলে কিছু মহল মনে করছে৷

জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে আইএমএফ'এর প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ (বামে)ছবি: picture-alliance/dpa

কড়া নিয়মের বেড়াজাল

বিপদে পড়লেই কোনো দেশ সহজে ইএসএম থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না৷ এর পূর্বশর্ত হিসেবে কড়া হাতে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে৷ ইএসএম সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ইইউ ভুক্ত সব দেশের সম্মতির প্রয়োজন থাকবে না, ৮৫ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে৷ ফলে ছোট কোনো দেশ বেঁকে বসলেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে থাকবে না, যেমনটা ইএফএসএফ'এর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল৷

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দাওয়াই

আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি বাড়ানো বা মন্দা এড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে৷ তবে এই প্রশ্নেই মৌলিক ও কিছুটা আদর্শগত মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে৷ সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও আইএমএফ'এর প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ'এর আলোচনার পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ ম্যার্কেল বাজেট ঘাটতি কমানো ও সঞ্চয়ের উপর বেশি জোর দিচ্ছেন৷ লাগার্দ বলছেন গোটা ইউরোপ ব্যয় সংকোচ করলে তার ফল হবে ভয়াবহ৷ যাদের সামর্থ্য আছে, তারা ব্যয় না করলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে৷

ম্যার্কেল চান, যে দেশ সংকটে পড়েছে, তাকে একাই তার মোকাবিলা করতে হবে৷ তার পাপের বোঝা বাকিরা নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে না৷ লাগার্দ চাইছেন, এর পাশাপাশি গোটা ইউরো এলাকা সঙ্ঘবদ্ধভাবে সংকটের দায়-দায়িত্ব বহন করুক৷ তাছাড়া সংকট সত্ত্বেও জার্মান অর্থনীতি যেভাবে বিশাল মাত্রায় রপ্তানি করে তার ভিত্তি মজবুত রেখেছে, তার ফলে বাকিদের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে৷ জার্মানির মতো দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়াতে পারলে তবেই বাকিদের কিছুটা উপকার হতে পারে৷ এই অবস্থান লাগার্দ'এর একার নয় – ফ্রান্স, ইটালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেকেই প্রায় একই সুরে কথা বলছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ