1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
উদ্ভাবনফ্রান্স

ইউরোপে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রান্সের ‘জার্মান পিৎসা'

১০ জুলাই ২০২৪

অ্যালসেশিয়ান কুকুরের কথা প্রায় সবাই জানে৷ ফ্রান্সের সেই অঞ্চলের একটি পদ ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও বিশ্বের অনেক প্রান্তে এখনো অজানা থেকে গেছে৷ পিৎসার মতো দেখতে সেই পদের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে৷

DW Euromaxx | Sendung vom 27.04.2024 | Flammkuchen aus dem französischen Elsass
ছবি: DW

ফ্রান্সের তার্ৎ ফ্লঁবে-কে ইটালির পিৎসার জবাব হিসেবে গণ্য করা হয়৷ আলসাস প্রদেশের সেই পদের স্থানীয় নাম ফ্লামেক্যুশে৷ তার্ৎ ফ্লঁবে তৈরির সময়ে সঠিক উপাদান অত্যন্ত জরুরি৷ সেই সঙ্গে আরেকটি বিষয় আরো গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু কাঠের চুলায় সেটি প্রস্তুত করা হয়৷

‘ল্য তিগ্র' রেস্তোরাঁর মালিক জফ্রোয়া ল্যবোল বলেন, ‘‘তার্ৎ ফ্লঁবে এমন এক পদ, যা সকলে মিলে খায়৷ ছয় জন লোকের সঙ্গে ভাগ করে সাধারণত সেটি খাওয়া হয়৷''

ফলে শুরুতেই নানা ধরনের তার্ৎ ফ্লঁবে অর্ডার দেওয়া হয়৷ কিন্তু খাঁটি তার্ৎ ফ্লঁবে কীভাবে তৈরি করা হয়? সেই পদ পরিবেশনের ঐতিহ্যই বা কী রকম? একে একে সেই বিষয়গুলি জানা যাক৷

ফ্রান্সের পূর্বে আলসাস অঞ্চলের স্ট্রাসবুর্গ শহরে যাওয়া যাক৷ অতীতে বার বার সেই এলাকা হাতবদল হয়েছে৷ কখনো জার্মানি, কখনো ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে থেকেছে আলসাস৷ ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে সেটি ফ্রান্সেরই অংশ৷ সেখান থেকেই তার্ৎ ফ্লঁবে-র উৎপত্তি৷ অ্যামেরিকায় পদটি ‘জার্মান পিৎসা' হিসেবে পরিচিত৷ ‘ল্য তিগ্র' নামের রেস্তোরাঁয় কাঠের ওভেনে চিরায়ত পদ্ধতিতে সেই পদ প্রস্তুত করা হয়৷ জফ্রোয়া বলেন, ‘‘আগুন তার্ৎ ফ্লঁবে-র মধ্যে স্মোকি স্বাদ আনে এবং মচমচে সোনালী করে তোলে৷ গ্যাস বা ইলেকট্রিক ওভেন ব্যবহার করলে পদটি কখনোই এমন সোনালী হলুদ রং পেতো না৷''

হাতে মাখা ময়দার তাল দিয়ে জফ্রোয়া ল্যবোল গোটা প্রক্রিয়া শুরু করেন৷সেই তালের জন্য আমাদের ময়দা, পানি, বিয়ার, সাওয়ার ডো, ইস্ট, সূর্যমুখী ফুলের তেল এবং লবণ লাগে৷

খেয়াল করলে বোঝা যাবে, পাউরুটির তালের জন্যও প্রায় একই উপকরণ লাগে৷ অতীতে অনেক গ্রামে মানুষ সপ্তাহে একবার পাউরুটি তৈরির জন্য মিলিত হতেন৷ কারণ গ্রামে প্রায়ই একটাই মাত্র ওভেন থাকতো৷ পাতলা তার্ৎ ফ্লঁবে তাপমাত্রা পরীক্ষার কাজে সাহায্য করতো৷ সেটি খুব দ্রুত প্রস্তুত হয়ে গেলে রুটিকে অপেক্ষা করতে হতো৷

ফ্রান্সের ‘জার্মান পিৎসা’

04:13

This browser does not support the video element.

কিন্তু ‘ল্য তিগ্র' রেস্তোরাঁর মাখনের তালে কেন বিয়ার যোগ করা হয়? জফ্রোয়া বলেন, ‘‘বিয়ার যোগ করলে বেশি ইস্টের প্রয়োজন হয় না৷ তাছাড়া ময়দার তালে বিশেষ এক স্বাদ যোগ হয়৷''

জফ্রোয়া সেই ময়দার তাল পাতলা করে বেলে নেন৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবার বেলার পর সেই তাল প্রায় দুই মিলিমিটার পুরু হয়৷ দ্বিতীয়বারের পর সেটা মাত্র এক মিলিমিটার হয়ে যায়৷ এভাবে আমরা তার্ৎ ফ্লঁবে খুব দ্রুত প্রস্তুত করতে পারি৷ ওভেনের তাপমাত্রা অনুযায়ী এক বা দেড় মিনিট সময় লাগে৷''

তার্ৎ ফ্লঁবের ভিত্তি হলো এক ক্রিম৷ ডিমের কুসুম, লবণ, স্টার্চ, গোলমরিচ এবং জায়ফল একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে পরিমাণ মতো ক্রেম ফ্রেশ ও কোয়ার্ক যোগ করা হয়৷ সেই ক্রিম বেলে নেওয়া ময়দার তালের উপর সমানভাবে মাখনো হয়৷ তার উপর শুধু আলসাস অঞ্চলের চিরায়ত পিঁয়াজ ও বেকনের ছোট টুকরো ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ জফ্রোয়া ল্যবোল মনে করেন, ‘‘এটা আসলে খুব সহজ এক পদ৷ আসলে সেটি গ্রামাঞ্চল থেকে, চাষিদের কাছ থেকে এসেছে৷ সবাই মিলে সেই পদ ভাগ করে খেতো৷ সামাজিক অবস্থান যেমনই হোক না কেন, আলসাসের সব স্তরের মানুষই এই পদ খেতে ভালোবাসে৷''

একবার ওভেনে ঢোকানোর পর সবকিছু খুব দ্রুত গতিতে চলে৷ ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মিনিট পরই সেটি মচমচে হয়ে ওঠে৷

ঐতিহ্য অনুযায়ী কাঠের পাতলা তক্তার উপর তার্ৎ ফ্লঁবে পরিবেশন করা হয়৷ আধুনিক হাইজিনের বিধির সঙ্গে সেই ঐতিহ্য খাপ না খেলেও তাতে সেখানকার মানুষের কিছুই এসে যায় না৷ বরং সবাই মিলে হাতে করে সেই পদ ভাগ করার রীতিই বেশি গুরুত্ব পায়৷

ইয়েন্স ফন লাখার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ