1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে তুরস্কের ভবিষ্যৎ

ক্রিস্টফ হাসেলবাখ/এসবি১৩ জুন ২০১৩

তুরস্কে সাম্প্রতিক সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ও পুলিশের কড়া দমন নীতির প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আবার প্রশ্ন উঠছে – তুরস্ক কি আদৌ ইইউ সদস্য হবার যোগ্য?

ছবি: picture-alliance/dpa

সামান্য একটি ঘটনা যে একটি গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিতে পারে, তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ দেখা গেল তুরস্কে৷ ইস্তানবুল শহরের একটি পার্কে প্রস্তাবিত প্রকল্পকে ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে জমে থাকা অনেক ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা৷ তবে কারণ যাই হোক না কেন, পুলিশ যেভাবে কড়া হাতে বিক্ষোভকারীদের দমন করছে, সেই সব দৃশ্য দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷ যে রাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চায়, তার পক্ষে এমন আচরণ মানানসই নয় – এমন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে৷

ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও সব সংসদীয় দল তুরস্কের পুলিশের সমালোচনা করেছে৷ কয়েকজন সাংসদ এমনকি তুরস্কের ইইউ-তে যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন৷ বাকিরা অবশ্য আরও আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছেন৷ ইইউ-র পররাষ্ট্র বিষয়ক কর্মকর্তা ক্যাথরিন অ্যাশটন বলেন, ‘‘গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা তুরস্কে তুলনাহীন হিংসার এত দৃষ্টান্ত দেখতে পাচ্ছি৷ খুব কাছ থেকেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, পেপার স্প্রে, রবার বুলেট প্রয়োগ করা হয়েছে৷ তারা কিন্তু শান্তিপূর্ণ ছিল৷'' তাছাড়া সংবাদ মাধ্যমের উপর সরকারি দমন নীতিরও সমালোচনা করেন তিনি৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়েছেন বটে, কিন্তু ভিন্নমত বন্ধ করতে সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন অ্যাশটন৷ সেইসঙ্গে বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপও জরুরি৷

সামান্য একটি ঘটনা যে একটি গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিতে পারে, তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ দেখা গেল তুরস্কেছবি: Reuters

কিন্তু তুরস্কের সরকারের প্রতি ইউরোপের নীতির প্রশ্নে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিভাজন দেখা যাচ্ছে৷ একদল মনে করে, তুরস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত ঠিকই, কিন্তু সেইসঙ্গে মনে রাখতে হবে এই সরকারই কিন্তু অনেক সংস্কারের কাজ করেছে৷ এখন ইইউ যদি সে দেশের স্থিতিশীলতা বিপন্ন করে, সেটা ঠিক হবে না৷ আরেকদল অবশ্য আরও কড়া মনোভাব দেখতে চাইছে৷ সব পক্ষের উদ্দেশ্যে সংযমের ডাক দেবার বদলে শুধু সরকারের উপরই চাপ বাড়াতে চান তাঁরা৷

সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের যোগদান নিয়ে বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে৷ গত ২০১০ সাল থেকেই অবশ্য আলোচনা প্রায় থমকে গেছে৷ বিশেষ করে রক্ষণশীল সাংসদরা তুরস্ককে পূর্ণ মর্যাদার সদস্য করার বিরোধিতা করে আসছেন৷ তাঁদের মতে, এর্দোয়ান ইউরোপীয় মূল্যবোধের তোয়াক্কা করেন না৷ বর্তমানে আবার তার পরিচয় দেখা যাচ্ছে৷

তৃতীয় একদল সাংসদ তুরস্কের গুরুত্ব খর্ব না করে নতুন এক ফর্মুলার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ নরওয়ে যেমন পূর্ণ মর্যাদার সদস্য না হয়েও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ইইউ-র সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, তুরস্কের ক্ষেত্রেও সেই ‘নরওয়ে মডেল' প্রয়োগ করার পক্ষে সওয়াল করছেন তাঁরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ