ইউরোপে দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক দলগুলি বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয়৷ একাধিক দেশে তারা সরকারে অন্তর্ভুক্ত, কয়েকটি দেশে তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পর্যন্ত আছে৷ জার্মানি ছাড়া ছবিটা দাঁড়ায় এইরকম৷
বিজ্ঞাপন
হাঙ্গেরির ফিদেস
ভিক্টর ওর্বান-এর নেতৃত্বে এই জাতীয়তাবাদি-রক্ষণশীল দলটি নব্বই-এর দশকের শেষ থেকে হাঙ্গেরির রাজনীতিতে তাদের ছাপ রেখে চলেছে৷ ২০১০ সালের নির্বাচনে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, যার বলে ওর্বান রাষ্ট্রকে নতুন চেহারা দিচ্ছেন৷ উদ্বাস্তুদের তথাকথিত বলকান রুটে প্রথম কাঁটাতারের বেড়া লাগান এই ওর্বান৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সমালোচনা করলেও, দেশবাসী ও ভোটারদের কাছে ৫২ বছর বয়সি নেতার জনপ্রিয়তা বেড়েছে বৈ কমেনি৷
পোল্যান্ডে পিস
প্রাভো ই প্রাভিয়েদলিভো বা পিআইস বা পিস পার্টি ওরফে আইন ও ন্যায় দল প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে৷ প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী লেচ কাচিনস্কি ও তাঁর যমজ ভাই ইয়ারোসুয়াভ কাচিনস্কি৷ সেযাবৎ পিস দল ক্রমেই আরো বেশি রক্ষণশীল, আরো বেশি দক্ষিণপন্থি হয়ে উঠেছে৷ ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের নির্বাচনে পিস দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়৷ পিস পার্টির ইইউ সম্পর্কে দ্বিধা আছে৷ তাদের কাছে উদ্বাস্তুদের চেয়ে পোল্যান্ডের মঙ্গলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷
ফ্রান্সের ফ্রঁ নাসিনাল (এফএন)
জঁ-মারি ল্য পেন ১৯৭২ সালে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ তাঁর কন্যা মারিন ল্য পেন-এর নেতৃত্বে ফ্রঁ নাসিনাল বা জাতীয় ফ্রন্ট আজ ফরাসি রাজনীতিতে একটি রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠেছে৷ ২০১৪ সালের ইউরোপীয় নির্বাচনে এফএন দল ২৬ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করে; ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে সেটাই বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ শতাংশে, যা কিনা রিপাবলিকান ও সমাজতন্ত্রীদের চেয়ে বেশি৷
ফ্রঁ নাসিনাল বহুদিন ধরেই – তাদের ভাষায় – ফ্রান্সের ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে; যে সব অভিবাসী আইন ভঙ্গ করছে,তাদের জন্য আরো কড়া শাস্তি চায় এফএন৷ এফএন দল ফ্রান্সকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবমুক্ত করতে চায় ও দেশের শিল্পকারখানা ও কৃষিকে সুরক্ষিত করতে চায়৷
নেদারল্যান্ডসের পার্টাই ফোর ডে ফ্রাইহাইট (পিভিভি)
ফ্রিডম পার্টি বা স্বাধীনতা দল দশ বছরের বেশি সময় ধরে ওলন্দাজ সংসদে উপস্থিত; আসনসংখ্যার বিচারে পঞ্চম৷ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গের্ট উইল্ডার্স৷ সর্বাধুনিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, পিভিভি প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেতে পারে, যা কিনা তারা ২০১২ সালে যা পেয়েছিল, তার প্রায় তিনগুণ৷ ৫২ বছর বয়সি উইল্ডার্সকে ইউরোপের দক্ষিণপন্থি আন্দোলনের মুখাবয়ব বলে গণ্য করা হয়ে থাকে৷ পিভিভি-র প্রোগ্রাম হলো নেদারল্যান্ডস যাতে ইইউ ছাড়ে, তার জন্য প্রচারণা; দ্বিতীয়ত, ইসলাম-বিরোধী মনোভাব৷ উইল্ডার্স পবিত্র কোরানকে একটি ‘‘ফ্যাসিবাদি পুস্তক'' বলে অভিহিত করেছেন৷ ২০১৫ সালের প্যারিস সন্ত্রাসের পর উইল্ডার্স দাবি করেন, যারা ওলন্দাজ নয়, তাদের সকলকে নেদারল্যান্ডস থেকে বহিষ্কার করতে হবে৷
অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে এবার যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন, তিনি হলেন এই স্বাধীনতা দলের নর্বার্ট হোফার, বয়স ৪৫৷ রান-অফে তিনিই জিতবেন, বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ সাম্প্রতিক জরিপে অস্ট্রিয়ান ফ্রিডম পার্টি বার বার সামাজিক গণতন্ত্রী ও রক্ষণশীলদের পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ এমনকি অস্ট্রিয়ার বহু নাগরিক মনে করেন, বর্তমান চ্যান্সেলর ও সামাজিক গণতন্ত্রী রাজনীতিক ভ্যার্নার ফাইনমান-এর চেয়ে স্বাধীনতা দলের প্রধান হাইনৎস-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাখে-ই বেশি ভালো চ্যান্সেলর হতেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোর সমালোচনা, সেই সঙ্গে ইসলাম-বিরোধী ও অভিবাসী-বিরোধী মনোভাব স্ট্রাখেকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে৷
ডেনমার্কের ডান্সক ফোল্কেপার্টি (ডিএফ)
২০০১ সালেই ডেনিশ পিপলস পার্টি ছিল কোপেনহাগেন সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল৷ তারা সংখ্যালঘিষ্ঠ দক্ষিণপন্থি-উদারপন্থি সরকারে যোগ না দিলেও, বাইরে থেকে সমর্থন করে এসেছে৷ ২০১৫ সালের জুন মাসের সংসদীয় নির্বাচনে ডিএফ দল পায় ২১ শতাংশের বেশি ভোট, ভেন্সট্রে সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকারকে পিছনে ফেলে৷ ডিএফ দল ভোট জেতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদান পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি তুলে৷
যুক্তরাজ্যের ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি (ইউকিপ)
নাইজেল ফারাজ-এ স্বাধীনতা দল ২০১৫ সালের মে মাসের সংসদীয় নির্বাচনে ১৩ শতাংশ ভোট সংগ্রহ করে, যদিও ব্রিটেনের কনস্টিটিউয়েন্সি বা ভোটার এলাকা ভিত্তিক নির্বাচনি পদ্ধতির কারণে ইউকিপ পার্লামেন্টে একটির বেশি আসন পায়নি৷ অথচ ভোটের অনুপাতে তারা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি৷ বর্তমানেও তাদের ১৩ থেকে ১৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে নানা জরিপে৷
১৯৯৩ সালে দলপ্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ইউকিপের একটি মূল লক্ষ্য ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিত্যাগ৷ এছাড়া ইউকিপ অভিবাসনের ক্ষেত্রে আরো কড়া নিয়ন্ত্রণ চায়৷
ইটালির লেগা নর্ড (এলএন)
ইটালির নর্দার্ন লিগ আশির দশক থেকেই আছে৷ তারা একাধিকবার রোম সরকারের অংশীদার হয়েছে৷ একটি দুর্নীতি কেলেঙ্কারি ও দলগত কোঁদলের পর লেগা নর্ড যখন ২০১২ সালে আবার নির্বাচনে ফেরে, তখন তারা কোনোক্রমে ন্যূনতম চার শতাংশ ভোটের বেড়া পার হতে সমর্থ হয়৷ তাদের একটি লক্ষ্য হলো ইটালির সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলকে দরিদ্র দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করা৷
গ্রিসের ক্রিসি আভজি বা গোল্ডেন ডন
চরম দক্ষিণপন্থি সোনালি সকাল দল সাম্প্রতিক নির্বাচনে সাত শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে৷ ২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের আগে গোল্ডেন ডন-এর বিশেষ গুরুত্ব ছিল না৷ পরে সরকারের কড়া সাশ্রয় প্রকল্প আর ব্যাপক বেকারত্ব গোল্ডেন ডন-এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে৷ তার সঙ্গে যোগ হয়েছে উদ্বাস্তুদের বিপুল সংখ্যায় গ্রিসে আগমন৷
হলোকস্টের চিত্রকলা
নাৎসি বন্দিশিবিরে মৃত্যুর দিন গোণার অবসরেও ছবি এঁকে গেছেন শিল্পীরা৷ ইসরায়েলের ইয়াদ ভাশেম সংগ্রহশালা থেকে আনা কিছু ছবি এখন প্রদর্শিত হচ্ছে বার্লিনে৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
রঙিন ‘ঘেটো’
‘ঘেটো’ বলতে বোঝায় শহরের সেই সংকীর্ণ অংশ, ইহুদিদের যেখানে থাকতে বাধ্য করা হতো৷ পোল্যান্ডের লুড্জ শহরের ঘেটোর এই ছবিটি এঁকেছিলেন ইয়োসেফ কোভনার, যিনি হলোকস্ট থেকে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ ‘হলোকস্টের চিত্রকলা: ইয়াদ ভাশেম সংগ্রহশালা থেকে ১০০টি চিত্র’, এই নাম দিয়ে বার্লিনে জার্মান ঐতিহাসিক সংগ্রহশালায় কোভনার ও অন্যান্য হলোকস্ট শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
উদ্বাস্তু
প্রদর্শনীতে যে ৫০ জন শিল্পীর ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে, তাদের মধ্যে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন নাৎসিদের হাতে৷ নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ফেলিক্স নুসবাউম, যিনি ১৯৪৪ সালে আউশভিৎসে প্রাণ হারান৷ তাঁর ‘উদ্বাস্তু’ ছবিটি আঁকা হয় ব্রাসেলসে, ১৯৩৯ সালে৷ নুসবাউম ছবিটিতে নির্বাসনের অবর্ণনীয় যন্ত্রণা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
আত্মপ্রতিকৃতি
শার্লট সালোমন-এর ছবি এর আগেও জার্মানিতে প্রদর্শিত হয়েছে৷ তাঁর সাতশ’র বেশি ছবির একটি সংগ্রহে দেখা যায়, ইহুদি হিসেবে শার্লট বার্লিনে কী ধরনের জীবন কাটিয়েছিলেন৷ পরে তিনি দক্ষিণ ফ্রান্সে আশ্রয় নেন, কিন্তু ১৯৪৩ সালে তাঁকে সেখান থেকে ধরে আউশভিৎসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বন্দিশিবিরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হত্যা করা হয়৷ শার্লট তখন সন্তানসম্ভবা৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
লুকনো মেয়েটির আঁকা ছবি
নেলি টল ও তাঁর মা ইহুদি হওয়া সত্ত্বেও পোল্যান্ডের লুভভ শহরে প্রাণে বাঁচেন কেননা তাঁদের খ্রিষ্টান বন্ধুরা তাঁদের লুকিয়ে রেখেছিলেন৷ একা ঘরে আটক নেলি জলরং দিয়ে ছবি এঁকে সময় কাটাতেন, যেমন ‘মাঠের মধ্যে মেয়েরা’ নাম দেওয়া এই ছবিটি৷ ৮১ বছর বয়সি নেলি টল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বার্লিনে এসেছেন প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
‘ব্যারাকের মাঝখানে রাস্তা’
লিও ব্রয়ার বন শহরের অধিবাসী ছিলেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান কাইজারের হয়ে যুদ্ধও করেছেন৷ হিটলার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৩৪ সালে তিনি প্রথমে দ্য হেগ ও পরে ব্রাসেলসে বসবাস করেন, শিল্পী হিসেবেই, তাঁর ছবিও তখন প্রদর্শিত হয়েছে৷ ১৯৪০ সালের পর ফ্রান্সের একাধিক শিবিরে অন্তরীণ হয়ে থাকেন লিও৷ সেখানকার অভিজ্ঞতা তুলিবদ্ধ করে রেখেছেন বিভিন্ন ছবিতে৷ লিও ব্রয়ার পরলোকগমন করেন ১৯৭৫ সালে, ঐ বন শহরেই৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
দুই শিল্পী
ফরাসি বন্দিশিবিরে লিও ব্রয়ার যে আলোকচিত্রশিল্পীর সঙ্গে নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলেন – যেমন মঞ্চসজ্জায় – তাঁর নাম ছিল কার্ল রবার্ট বোডেক৷ দু’জনে গ্রিটিংস কার্ড ইত্যাদিও সৃষ্টি করেছেন৷ বোডেক-কে ১৯৪১ সালে অপরাপর শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শেষমেষ আউশভিৎসে পাঠানো হয়৷ সেখানেই তিনি নিহত হন ১৯৪২ সালে৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
শিল্পীর গুপ্তজীবন
বেড্রিশ ফ্রিটা থেরেজিয়েনস্টাট বন্দিশিবিরে সরকারি প্রচারপত্র ইত্যাদি তৈরির কার্যালয়ের প্রধান ছিলেন৷ অপরদিকে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা গোপনে নাৎসি ঘেটোগুলির বিভীষিকাকে ছবিতে ধরে রেখেছেন৷ ১৯৪৪ সালে তা ফাঁস হয়ে যাবার পর ফ্রিটাকে আউশভিৎসে জীবন দিতে হয়৷ থেরেজিয়েনস্টাট বন্দিশিবির মুক্ত হবার পর সেখানকার দেয়াল ও মাটির তলা থেকে ফ্রিটার আঁকা ২০০টি ছবি পাওয়া যায়৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
মৃত্যুর পরেও বন্ধুত্ব
লিও হাস তাঁর বন্ধু ফ্রিটাকে বন্দিশিবিরের জীবন নিয়ে ছবি আঁকতে নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন৷ সাক্সেনহাউজেন বন্দিশিবিরে লিও হাস-এর ওপর নির্দেশ হয়, মিত্রশক্তিদের পাউন্ড ও ডলার নকল করার৷ যুদ্ধের পর হাস ফ্রিটার পুত্র টোমাসকে দত্তক নেন৷ এছাড়া হাস থেরেজিয়েনস্টাট বন্দিশিবিরে বেড্রিশ ফ্রিটার আরো চারশ’টি লুকনো ছবি আবিষ্কার করেছেন৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
ডাক্তারের ছদ্মবেশে শিল্পী
পাভেল ফান্টল থেরেজিয়েনস্টাটের শিল্পীমহলের সদস্য ছিলেন৷ ডাক্তার হিসেবে তিনি শিবিরের মধ্যে টাইফুস রোগীদের জন্য একটি ক্লিনিক চালাতেন৷ ফ্রিটার মতো তিনিও ধরা পড়েন, তাঁর উপর শারীরিক নিপীড়ন চালানো হয়; পরে তাঁকে আউশভিৎস বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়৷ ১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ তাঁর প্রায় ৮০টি ছবি থেরেজিয়েনস্টাট থেকে বার করে আনা সম্ভব হয়েছিল৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
কলা শিক্ষক
ইয়াকব লিপশিৎস যুদ্ধের আগে ভিলনিয়ুস-এর একটি কলা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করতেন৷ ১৯৪১ সালে তিনি কাউনুস শহরের ঘেটোয় গিয়ে বাস করতে বাধ্য হন; সেখানে তিনি অপরাপর শিল্পীদের সঙ্গে গোপনে ঘেটো জীবনের ছবি আঁকতেন৷ ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে কাউফেরিং বন্দিশিবিরে তাঁর মৃত্যু ঘটে৷ যুদ্ধের পরে তাঁর স্ত্রী ও কন্যা কাউনুস ঘেটোয় ফিরে গিয়ে একটি কবরখানায় লুকনো ছবিগুলো উদ্ধার করেন৷ লিপশিৎস নিজেই সেগুলোকে লুকিয়ে রেখেছিলেন৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem
চরম দুর্দশার মধ্যেও আত্মমর্যাদা
বার্লিনের জার্মান হিস্টোরিক্যাল মিউজিয়ামের এই প্রদর্শনী চলবে ৩রা এপ্রিল অবধি৷ ছবিগুলিতে একদিকে যেমন দেখতে পাওয়া যাবে নাৎসি বন্দিশিবিরের বিভীষিকা, অপরদিকে এই অমর শিল্পীরা যেন সেই বিভীষিকার মধ্যেই জীবনের জয়গান গেয়ে গেছেন৷ মরিৎস ম্যুলার-এর ‘শীতকালে বাড়ির ছাদে’ সেরকম একটি ছবি৷
ছবি: Collection of the Yad Vashem Art Museum, Jerusalem