1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে শীত

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে ইউরোপ৷ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ বিঘ্নিত হচ্ছে আকাশ, রেল ও সড়ক যোগাযোগ৷ গত ক’দিনের ঠান্ডায় মারা গেছেন ২৬০ জন৷ এর মধ্যে ১২২ জন ইউক্রেনের৷ সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেছিল৷

রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছেছবি: picture-alliance/dpa

মৃতদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন আশ্রয়হীন৷ ফলে রাস্তায় তাদের জমে থাকা মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷

পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে৷ সেখানে পরিবেশন করা হচ্ছে গরম চা ও খাবার৷

রাতভর প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর লন্ডনের হিথ্রো'তে প্রায় ৩০ ভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷ একই পরিস্থিতি হল্যান্ডের আমস্টারডাম বিমানবন্দরেও৷

এদিকে ইটালির রাজধানী রোম সাধারণত অপেক্ষাকৃত রৌদ্রোজ্জ্বল গরম শহর হিসেবে পরিচিত৷ কিন্তু সেখানেও গত ২৭ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি তুষার পড়েছে৷ ফলে রাস্তাঘাটে আটকা পড়েছে বাস, ট্যাক্সি৷ বিখ্যাত ভেনিস হ্রদের আংশিক বরফে জমে গেছে৷ ইটালিতে এখন পর্যন্ত ঠান্ডায় সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷

ইউক্রেনে ঠান্ডায় কাতর এক বৃদ্ধছবি: picture-alliance/dpa

ইউক্রেনের পর ঠান্ডাজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পোল্যান্ডে৷ ৪৫ জন৷ সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল মাইনাস ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

রোমানিয়ায় মারা গেছে ২৮ জন৷ এছাড়া বসনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্টোনিয়া, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া আর গ্রিসেও ঠান্ডাজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷

ফ্রান্সে উত্তরের লিল থেকে শুরু করে দক্ষিণের মার্সেই সব জায়গায় তুষারপাত হয়েছে৷ তবে বেঁচে গেছে রাজধানী প্যারিসের মানুষজন৷ পূর্বের শহর স্ট্রাসবুর্গে ১২ বছরের এক শিশু মারা গেছে৷ সে জমে যাওয়া একটি পুকুরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল৷ এমন সময় হঠাৎ করে বরফ ভেঙে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে৷ শিশুটির বন্ধু তাকে ঊদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছে৷ তাকে এখন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷

বসনিয়ায় তুষারের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জরুরি এক রোগীকে আনতে তার বাড়ি যেতে দেরি করে ফেলে একটি অ্যাম্বুলেন্স৷ ফলে বাড়িতেই মারা যায় ঐ ব্যক্তিটি৷

এদিকে ঘর গরম রাখতে ব্যবহৃত গ্যাসের জন্য ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়ার ‘গাসপ্রম'এর উপর নির্ভর করে৷ কারণ সরকারি এই সংস্থাটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলক৷ এবছর প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বেড়ে গেছে গ্যাসের চাহিদা৷ কিন্তু গ্যাজপ্রম বলছে তারা ইউরোপীয় দেশগুলোর অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়৷ কেননা রাশিয়াতেও এবার প্রচণ্ড শীত পড়ায় বেড়ে গেছে গ্যাসের চাহিদা৷ রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন গাসপ্রমকে বলেছেন, আগে দেশের মানুষ পরে ক্রেতা৷

জার্মানির জ্বালানি বিষয়ক কোম্পানি আরডব্লিউই বলছে, গাসপ্রমের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার কথা বর্তমানে তার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম পাওয়া যাচ্ছে৷ কিন্তু স্টকে বেশি গ্যাস থাকায় ক্রেতাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি৷

আরডব্লিউই'র প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইওএন তাদের ২৭ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে গ্যাজপ্রম থেকে৷ তারাও বলছে, গ্যাজপ্রম থেকে কম গ্যাস পেলেও ক্রেতাদের কোনো সমস্যা হবে না৷

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জার্মানি রাশিয়া থেকে প্রায় ৩৩ শতাংশ গ্যাস আমদানি করেছিল৷ আর নরওয়ে থেকে করেছিল ২৯ শতাংশ৷

রাশিয়ায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে অস্ট্রিয়াও গ্যাজপ্রম থেকে ৩০ শতাংশ কম গ্যাস পাচ্ছে৷ ইটালিতেও গ্যাসের সরবরাহ কমেছে প্রায় ২৪ ভাগ৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ