1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে প্রবৃদ্ধি

১৩ নভেম্বর ২০১৩

মন্দা কাটিয়ে ইউরোপে প্রবৃদ্ধি আনার পথে বড় অন্তরায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকা শক্তি জার্মানি ও ফ্রান্স – ইইউ অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনর অলি রেন-এর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷

Sparschwein (Fotolia: #38461692); © Fotolia/Guido Grochowski
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/Guido Grochowski

প্রায় ১৮ মাসের মন্দা কেটে গেলেও প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে ইউরোপের সময় লাগছে৷ এই অবস্থায় ইউরো এলাকার মধ্যে অর্থনৈতিক নীতির আরও সমন্বয়ের উপর জোর দিচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন৷ ইইউ অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনর অলি রেন মনে করেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো বড় দেশকেও নীতিমালা মেনে চলতে হবে৷

বিশেষ করে জার্মানির রপ্তানি-নির্ভর অর্থনীতির বিপুল সাফল্য অন্যান্য দেশগুলির ক্ষতি করছে বলে সমালোচনা করেছেন রেন সহ অনেকেই৷ সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানির ‘ট্রেড সারপ্লাস' বা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় ১,৮৯০ কোটি ইউরো৷ মূলত ইইউ দেশগুলিতে রপ্তানি করেই এই সাফল্য পাচ্ছে জার্মানি৷ ফলে সেই সব দেশের কোনো উপকার হচ্ছে না৷ এদিকে জার্মানির ভোক্তাদের চাহিদা তেমন না বাড়ার ফলে ইউরোপীয় দেশগুলির পণ্য ও পরিষেবা সেখানে বিক্রি হচ্ছে না৷ এই মডেলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বেড়ে চলেছে৷ অলি রেন মনে করেন, জার্মানি অর্থনীতির এই কাঠামোয় পরিবর্তন আনলে এবং ফ্রান্সে বকেয়া সংস্কার শুরু করতে পারলে তবেই ইউরোপের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে৷

জার্মানিতে এই মুহূর্তে আগামী জোট সরকার গড়ার প্রস্তুতি চলছে৷ তবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা মোটামুটি বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর সরকার মনে করে, জার্মান অর্থনীতির সাফল্যের পেছনে রয়েছে সঠিক সময়ে সংস্কার ও সরকারি ব্যয়ে লাগাম রাখার সিদ্ধান্ত, যা বাকিদেরও অনুসরণ করা উচিত৷ অর্থাৎ শুধু রপ্তানি কমিয়ে বাকিদের সমস্যার সমাধান করা যাবে না বলে মনে করে জার্মানি৷

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেড-এর প্রাক্তন প্রধান অ্যালেন গ্রিনস্প্যান সম্প্রতি ফ্রাংকফুর্টে বলেছেন, ইউরো-র দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য চাইলে ইউরোপকে রাজনৈতিক ইউনিয়নের পথে এগোতে হবে৷ শুধু একক মুদ্রা ও অর্থনৈতিক ইউনিয়ন এমন একটি কাঠামো ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়৷ উল্লেখ্য, জাতীয় স্তর থেকে ক্ষমতা ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে ইইউ-র জন্মলগ্ন থেকে তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে৷

এদিকে সোমবার ইউরোপের পুঁজিবাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল৷ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য এর অন্যতম কারণ৷ অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনার প্রবণতা বাড়তে চলেছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে সুদের হার আরও কমানোর ফলে ইউরো-র বিনিময় মূল্যও সোমবার বেড়ে গেছে৷ তবে মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে আবার কিছুটা দরপতন ঘটেছে৷

এসবি / এআই (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ