ইউরোপ আর বিশ্বের অনেক নামকরা স্থপতি আজকাল সুকুমার রায়ের কাঠবুড়োর মতো হয়ে পড়ছেন: ইট-পাথর বা ইস্পাত-কংক্রিট ছেড়ে কাঠের দিকে ঝুঁকছেন – কাঠের বাড়ি, কাঠের অফিস, কাঠের চ্যাপেল বা গির্জা৷
বিজ্ঞাপন
জুরিখ চিড়িয়াখানার এলিফান্ট হাউস বা হাতিদের বাড়ি৷ বাড়ির প্ল্যানটাই যে শুধু চমকে দেওয়ার মতো, এমন নয়; যে পদার্থ দিয়ে বাড়িটা তৈরি হয়েছে, তাও দেখবার মতো – ইস্পাত আর কংক্রিটের বদলে হাতিদের বাড়ি তৈরি হয়েছে প্রায় পুরোপুরি কাঠ দিয়ে! ৮৫ মিটার ব্যাসের ছাদটাকে ধরে রাখতে ভেতর থেকে কোনো থাম দিতে হয়নি৷ কয়েক বছর আগেও এ ধরনের একটি কাঠামো কাঠ দিয়ে তৈরি করার কথা কেউ ভাবতেও পারতো না! স্থপতি ফিলিপ হাইডেমান বাড়ি তৈরিতে কাঠ ব্যবহার সম্পর্কে সংশয়ের কথা জানেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আগুন লাগলে কী হবে, তাই নিয়ে ভয়৷ বীমা করতে বেশি খরচ পড়বে না তো? কাঠ পুরনো হলে কী হবে? কাঠ কি সত্যিই ইস্পাত কিংবা কংক্রিটের মতো অতদিন টেকে? এ সব ক্ষেত্রে চিন্তাধারা অনেকটাই বদলে গেছে৷''
ইট-পাথর-ইস্পাতের জায়গায় কাঠ
04:31
জাপানের শিগেরু বান তাঁর কাঠের স্থাপত্যগুলির জন্য বিখ্যাত৷ জুরিখের একটি অফিসবাড়ি তৈরি করতে তিনি ইস্পাতের কাঠামোর বদলে কাঠ ব্যবহার করেছেন৷ – আল্পস পর্বতমালার পাহাড়ের চুড়োয় একটি রেস্ট হাউসের পরিকল্পনা করতে গিয়ে স্টার আর্কিটেক্ট হ্যারৎসোগ এবং ডে ময়রন টেকসই কাঁচামালের ওপর নির্ভর করেছেন৷ – স্পেনের স্থপতি সান্তিয়াগো কালাত্রাভা তাঁর কাচ, ইস্পাত ও কংক্রিটের স্থাপত্যগুলির জন্যেই বিখ্যাত৷ তবে জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভবনটির অভ্যন্তরে তিনি প্রধানত কাঠ ব্যবহার করেছেন৷
কাঠের ‘কামব্যাক'
রেনেসাঁস আমলে বাড়িঘর তৈরি হতো কাঠ দিয়ে – আধুনিক স্থাপত্যেও সেই কাঠের এমন ‘কামব্যাক' আগে কল্পনাও করা যায়নি৷ ফিলিপ জোদিদিও তাঁর ‘উড বিল্ডিংস' বইটিতে এই নতুন বিকাশধারার কথা বলেছেন, ‘‘কাঠ ব্যবহার করার বহু পন্থা আছে, যে কারণে সারা বিশ্বে তার ব্যবহার৷ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়: সরকারি বা ব্যক্তিগত মালিকানার বাড়ি কিংবা ভবন; আবাসিক কিংবা অফিসবাড়ি৷''
ইতিহাস গড়া কাঠের জাহাজ
‘ফ্রাম’ নামে ওক গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি একটি জাহাজকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠের জাহাজ’ বলা হয়৷ কারণ এটা দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে যাওয়া সম্ভব হয়েছে৷ কাঠের তৈরি অন্য কোনো বাহন দিয়ে যেটা সম্ভব হয়নি৷
ছবি: DW/ M. Z. Haque
‘ফ্রাম’ বা ফরোয়ার্ড
ওক কাঠ দিয়ে তৈরি জাহাজটির নাম ‘ফ্রাম’ – যার অর্থ ফরোয়ার্ড বা অগ্রসর৷ ৩৯ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রস্থের এই জাহাজকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠের জাহাজ’ বলা হয়৷ কারণ এটা দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে যাওয়া সম্ভব হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Z. Haque
পেছনের কারিগর
ফ্রিটইওফ নানজেন নামের ছবির এই মানুষটিই ছিলেন ‘ফ্রাম’ তৈরির মূল উদ্যোক্তা৷ তাঁর ইচ্ছা ছিল এমন একটি জাহাজ তৈরির যেটা দিয়ে উত্তর মেরুর অনেক দূর যাওয়া যায় যে পর্যন্ত আগে কেউ যেতে পারেনি৷ নরওয়ের নাগরিক নানজেনের উদ্যোগে জাহাজটি তৈরি করেছিলেন কলিন আর্চার৷ নরওয়ের সরকারও এতে কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল৷
ছবি: DW/ M. Z. Haque
উত্তর মেরু অভিযান (১৮৯৩-১৮৯৬)
১৮৯৩ সালের ২৪ জুন থেকে ১৮৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর – এই তিন বছর উত্তর মেরুতে অভিযান করে ফ্রাম৷ এ সময় জাহাজটি উত্তর মেরুর ৮৫°৫৭' পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল, যেখানে আগে কোনো কাঠের জাহাজ যেতে পারেনি৷ তাই ফ্রাম যখন অভিযান শেষে ফিরে আসে তখন নরওয়ের রাজা অভিযাত্রীদের অভ্যর্থনা জানান৷ ছবিটি অভিযান শুরুর সময়কার৷ নানজেন ছাড়াও অভিযাত্রী ছিলেন ১২ জন৷
ছবি: DW/ M. Z. Haque
দক্ষিণ মেরু অভিযান (১৯১০-১৯১২)
নরওয়ের আরেক অভিযাত্রী রোয়াল্ড আমুন্ডসেন হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছিলেন৷ তিনি তাঁর অভিযানেও ব্যবহার করেছিলেন ফ্রামকে৷ সেসময় ফ্রাম দক্ষিণ মেরুর ৭৮°৪১' পর্যন্ত যেতে পেরেছিল৷ এটাও কাঠের তৈরি জাহাজের জন্য একটা রেকর্ড৷
ছবি: picture-alliance/United Archives/TopFoto
এখন স্থান জাদুঘরে
উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ফ্রাম এর এখনকার অবস্থান নরওয়ের রাজধানী অসলোর ফ্রাম মিউজিয়ামে৷
ছবি: DW/ M. Z. Haque
রান্নাঘর
এবার চলুন যাওয়া যাক সেই ঐতিহাসিক জাহাজের ভেতরে৷ এটি সেই জাহাজের রান্নাঘর৷
ঝড়, দুর্যোগ, প্রচণ্ড শীত, আইস – এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে জীবন যেন অতিষ্ট হয়ে না ওঠে সেজন্য বিনোদনেরও ব্যবস্থা ছিল ফ্রামে৷
ছবি: DW/ M. Z. Haque
8 ছবি1 | 8
জার্মানিতে ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ বাড়ি তৈরি হয় কাঠ দিয়ে৷ বড় বড় বাড়িতেও কাঠ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে, যেমন সুইজারল্যান্ডের লসান শহরের কাছের একটি স্কুলভবন তৈরিতে৷ ২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডে কাঠের স্থাপত্যের পুরস্কার পেয়েছে স্কুলবাড়িটি, লোকালআর্কিটেকচার নামের একটি সুইশ আর্কিটেক্ট ব্যুরোর সঙ্গে৷ স্থপতি আঁতোয়ান রোবের-গ্রঁপিয়ের বলেন, ‘‘আমরা নিঃসন্দেহে একটি টেকসই জগত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহারের চেষ্টা করছি৷ কাঠ একটা খুব ভালো মেটিরিয়াল বলে আমার ধারণা৷ এটা হলো হালফ্যাশনের কাঠের বাড়ি তৈরির একটা প্রচেষ্টা৷''
টেকসই, সমকালীন, চমকদার৷ কাঠের আরো অনেক সুবিধা আছে: বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের গ্রামাঞ্চলে ও চাষবাসের কাজে কাঠের ব্যবহার চিরকালই খুব প্রচলিত৷ এছাড়া প্রিফ্যাব্রিকেটেড পার্টস ব্যবহার করলে বাড়ি তৈরিতে অনেক কম সময় লাগে, যেমন এই জিমটি তৈরি করতে৷ এছাড়া কাঠকে নতুন পদ্ধতিতে ট্রিটমেন্ট করে অনেক বেশি শক্ত ও স্থিতিশীল করা যায়, যার ফলে স্থপতিরা কাঠ দিয়ে এমন সব কাঠামো তৈরি করতে পারছেন, যা শুধু কংক্রিট দিয়েই করা এ পর্যন্ত সম্ভব ছিল৷ রোবের-গ্রঁপিয়ের বলেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মক্কেল বা খদ্দেররা কাঠ দিয়ে ঘেরা পরিবেশে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন৷ তাদের মনে হয়, কংক্রিট বড় বেশি আধুনিক, ঠান্ডা, অনুভূতিহীন৷ বাজারে কংক্রিটের নাম খুব ভালো নয়!''
স্থাপত্যের শহর কলকাতা
সেই ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত বহু বিষয় এবং আঙ্গিকের স্থাপত্য বসেছে কলকাতার পথঘাটে, বাগানে৷ এগুলোর শৈল্পিক গুরুত্ব তো আছেই, অধিকাংশই আবার ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
স্বাধীনতার পরে...
একটা সময় কলকাতায় ছড়িয়ে ছিল ব্রিটিশ শাসকদের স্মারক স্থাপত্য৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই সব স্থাপত্য সরিয়ে দিয়ে বসানো হয়েছিল দেশনেতাদের মূর্তি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
অন্তরালে নির্বাসন
ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড উট্রামের এই মর্মর স্থাপত্য যেমন একসময় থাকত রাজপথে৷ এখন তাকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাগানে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বহাল আছেন রানি
ভিক্টোরিয়ার বাগানের ভিতরে থাকা একাধিক স্থাপত্যও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্যত্র৷ তবে নিজের সিংহাসনে বহাল আছেন রানি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
দেশনেতাদের গুরুত্ব
নতুন স্থাপত্য বসানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন দেশ নেতারা৷ এটি যেমন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বিখ্যাত ভাস্কর্য
তবে সেই সুবাদে কয়েকজন বিখ্যাত ভাস্করের কাজ অলংকৃত করেছে শহর কলকাতাকে৷ মহাত্মা গান্ধীর এই ভাস্কর্য যেমন বিখ্যাত শিল্পী দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরির তৈরি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বামপন্থি পছন্দ
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থি শাসনের সময় অবশ্য গুরুত্ব পেয়েছেন কমিউনিস্ট বিশ্ব নেতারা৷ এটি যেমন ভিয়েতনামের নেতা হো চি মিনের ভাস্কর্য৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
রাজনৈতিক ভাস্কর্য
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বলাই বাহুল্য, গুরুত্ব পাচ্ছে অন্য ধারার রাজনীতির প্রসঙ্গও৷ একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণে এই ভাস্কর্যটি সম্প্রতি বসেছে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
...এবং অরাজনৈতিক
সব ভাস্কর্য অবশ্যই রাজনৈতিক নয়৷ যেমন রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের এই মূর্তিটি কলকাতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে আছে বহু বছর ধরে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সমাজজীবনের প্রসঙ্গ
বাংলার মন্বন্তর নিয়ে অসামান্য ভাস্কর্য সিরিজ করেছিলেন বিখ্যাত ভাস্কর সোমনাথ হোর৷ তারই কিছু স্থান পেয়েছে সংস্কৃতির অঙ্গনেও৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বাংলার সংস্কৃতি
রামকিঙ্কর বেজের বিখ্যাত ভাস্কর্য কলের বাঁশি, যা আসলে বাংলার গ্রামজীবনের কথা বলেছে, হয়ে উঠেছে বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয়৷ মূল ভাস্কর্যের প্রতিরূপ এটি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
টেকসই – উভয় অর্থেই
অপরদিকে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কংক্রিট কাঠের চেয়ে বেশিদিন টেকে৷ কিন্তু কাঠও যে দীর্ঘজীবী হতে পারে, তা এই উপাসনার স্থানটি দেখলে বোঝা যায়৷ তৈরি হয়েছিল ২০০৮ সালে অস্থায়ী চ্যাপেল হিসেবে৷ দেড় বছর পরেই তা ভেঙে ফেলার কথা ছিল৷ কিন্তু চ্যাপেলটির অসাধারণ ডিজাইন মানুষজনকে মুগ্ধ করেছিল, আর তার কাঠের ধাঁচাও যতোদিন ভাবা গিয়েছিল, তার চেয়ে অনেকদিন বেশি টিকেছে৷ মাত্র গতবছর বাইরের অংশটা নতুন করে মেরামত করে মজবুত করা হয়েছে৷ এবার নাকি তা আরো ৩০ বছর টিকবে৷ অথচ এই চ্যাপেলের ফোল্ডিং কনস্ট্রাকশান নাকি পুরোপুরি কম্পিউটারে প্ল্যান করা৷ রোবের-গ্রঁপিয়ের বলেন, ‘‘দশ-পনেরো বছর আগেও যা করা যেত না, তা আমরা আজ করতে পারি – এই বাড়িটাই তার প্রমাণ, এর জটিল জ্যামিতি আর কাঠ কাটার জন্য ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি৷''
সেই কারণেই কাঠ নিয়ে স্থাপত্য ক্রমেই আরো বেশি দুঃসাহসী, আরো চাঞ্চল্যকর হয়ে উঠছে৷ যেমন হেলসিনকির গুগেনহাইম মিউজিয়াম৷
বিশ্বের সেরা উঁচু ভবনের তালিকা
‘কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ ২০১৪ সালের ‘বেস্ট টল বিল্ডিংস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেছে৷ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ভবন ছাড়াও আরও কয়েকটি বিল্ডিং নিয়ে সাজানো হয়েছে ছবিঘর৷
ছবি: STR/AFP/Getty Images
সেরা উঁচু ভবন
‘কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ ২০১৪ সালের ‘বেস্ট টল বিল্ডিংস ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেছে৷ এই তালিকায় সবার উপরে নাম আছে সিডনির এই ভবনটির৷ নাম ‘ওয়ান সেন্ট্রাল পার্ক’৷ ২০১৩ সালে নির্মিত এই ভবনের উচ্চতা ১১৬ মিটার৷ সূর্যের আলো প্রতিফলনের জন্য বসানো প্যানেল থেকে ভবনের রুমগুলো গরম হয়ে থাকে৷
ছবি: CC BY 2.0/Rob Deutscher
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সবুজ ভবন
‘অ্যামেরিকাস’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ডের ‘এডিথ গ্রিন-ওয়েনডেল ওয়াট ফেডারেল বিল্ডিং’ নামের এই সরকারি ভবনটি৷ ১১০ মিটার উঁচু এই ভবনটিই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী বিল্ডিং৷
ছবি: cc-by-sa-M.O. Stevens
একসঙ্গে আট ভবন!
হল্যান্ডের রটারডাম শহরে অবস্থিত ‘ডে রটারডাম’ নামের ভবনটি দেখলে মনে হতে পারে সেখানে পৃথক আটটি টাওয়ার আছে৷ কিন্তু না৷ এটি একটিই বিল্ডিং৷ ২০১৩ সালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া এই ভবনের উচ্চতা ১৫১ মিটার৷ এতে আছে রেস্তরাঁ, অ্যাপার্টমেন্ট আর হোটেল৷
ছবি: Fotolia/akspics
দুবাইয়ের বাঁকানো টাওয়ার
৩০৬ মিটার দীর্ঘ ‘কায়ান টাওয়ার’টি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বাঁকানো (টুইস্টেড) ভবন৷ এর বিশেষত্ব হলো, এই ভবনের একটি তলা তার নীচের তলা থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ১.২ ডিগ্রি বেঁকে উপরে উঠে গেছে৷ এভাবে পুরো ভবনটি উপরে উঠতে উঠতে ৯০ ডিগ্রি হেলে গেছে৷
ছবি: AFP/Getty Images/K. Sahib
জ্বালানি কম ব্যবহারের জন্য স্বীকৃতি
এটি বন শহরে অবস্থিত জার্মানির ডাক বিভাগের সদর দপ্তর ‘ডয়চে পোস্ট ডিএইচএল’৷ ২০০২ সালে নির্মিত ভবনটি বিশ্বের কম-জ্বালানি ব্যবহার করা কয়েকটি ভবনের একটি৷
ছবি: cc-Thomas Robbin-sa 3.0
দক্ষিণ অ্যামেরিকার সবচেয়ে উঁচু
চিলির রাজধানীতে ২০১৪ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয় এই ভবনটির৷ ৩০০ মিটার উঁচু বিল্ডিংটির নাম ‘গ্রান টোরে সান্টিয়াগো’৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Trueba
২০১৩ সালের বিজয়ী
‘কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিটেট’ উঁচু ভবনের যে তালিকা করে তাতে ২০১৩ সালে সেরা মনোনীত হয়েছিল ‘চায়না সেন্টাল টেলিভিশন’-এর এই সদর দপ্তরটি৷ বিল্ডিংটিতে যে দুটো স্তম্ভ দেখা যাচ্ছে তার একটিতে রয়েছে সম্প্রচার অফিস, অন্যটিতে অন্যান্য সেবা৷ আর সবার ওপরে আছে টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অফিস৷