1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থী সংকটের সুফল পাচ্ছেন পপুলিস্টরা

২১ জুন ২০১৮

২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ শরণার্থীদের ঐ ঢেউ নিজের দলের জন্য একটি উপহার বলে তখন মন্তব্য করেছিলেন এএফডি নেতা আলেক্সান্ডার গাউলান্ড৷

ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori

এএফডি, অর্থাৎ ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ দল জার্মানির একটি ডানপন্থি ও শরণার্থীবিরোধী দল৷ জার্মানিতে বিপুল সংখ্যায় শরণার্থীদের আগমনকে কাজে লাগিয়ে গত বছরের নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পায় দলটি৷ এর মধ্যে প্রথম দুটো দল মিলে জোট সরকার গঠন করায় এএফডি এখন জার্মান সংসদের প্রধান বিরোধী দল

জার্মানি ছাড়াও ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও সুইডেনে ডানপন্থি দলগুলো এখন যার যার দেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে৷ বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও গ্রিসে ডানপন্থি কয়েকটি দল সরকারের অংশ হয়ে আছে৷ আর পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র ও সবশেষ ইটালিতে ডানপন্থি দলগুলোই ক্ষমতায় আছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর খোলা মনের শরণার্থী নীতির কারণে নিজ জোটের মধ্যেই সংকটে পড়েছিলেন৷ এছাড়া সম্প্রতি ইটালি শরণার্থী বোঝাই একটি জাহাজ তাদের বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়৷ পরে স্পেন তাদের গ্রহণ করে

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি সমাধান খুঁজতে রবিবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসবেন জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, গ্রিস, অস্ট্রিয়া ও বুলগেরিয়ার নেতৃবৃন্দ৷ এরপর বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷

‘ব্যবসার মডেল’

ব্রাসেলসের কার্নেগি ফাউন্ডেশনের ইউরোপ বিশেষজ্ঞ স্টেফান লেনে ডয়চে ভেলেকে বলেন, এটা পরিষ্কার যে, শরণার্থী সংকট পপুলিস্ট দলগুলোর ব্যবসায়িক মডেলের একটি অংশ৷ ‘‘তারা (ডানপন্থি দল) এমন এক বিষয় পেয়েছে, যা আবেগকে উসকে দেয়৷ এবং তারা এই বিষয়কে শেষ হতে দেবে না৷’’

২০১৫ সালের পর শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন এসেছে এবং বিভিন্ন দেশ নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে৷ যেমন, জার্মানি ও বেলজিয়াম তাদের সীমান্তের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেছে৷ আর অনেকদিন ধরেই ফ্রান্স ও ইটালি, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম এবং জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার মধ্যকার সীমানা থেকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে৷

এসব কারণে ২০১৫ সালের পর ইউরোপে শরণার্থী আসার সংখ্যা ৭৫ শতাংশ কমেছে৷ কিন্তু তারপরও পপুলিস্ট দলগুলো এখনও তার সুবিধা পাচ্ছে কেন? ইউরোপ বিশেষজ্ঞ লেনে মনে করেন, শরণার্থী আসার সংখ্যা অনেক কমে গেলেও মানুষের মনে এখনও এই ধারণা আছে যে, অভিবাসন সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে আছে৷ ‘‘আমার মনে হয় অস্ট্রিয়া কিংবা জার্মানির অধিকাংশ মানুষই শরণার্থী কিংবা অভিবাসীদের উপস্থিতির কারণে সরাসরি সমস্যায় পড়েনি, কিন্তু গণমাধ্যমে বিষয়টি বারবার আসায় সমাজে শরণার্থীদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে৷’’

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ