1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে শুরু হল করোনার টিকাদান

২৭ ডিসেম্বর ২০২০

করোনা রুখতে ইউরোপের দেশগুলো একজোটে টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে৷ কয়েকটি দেশ শনিবার শুরু করে দিলেও রোববার থেকে সবাই এই কার্যক্রমের আওতায় এসেছে৷

ইটালির একটি হাসপাতালে টিকার বাক্স পৌঁছে দিয়েছে নিরাপত্তা কর্মীরা৷ছবি: Massimo Pinca/REUTERS

গত সপ্তাহেই বায়োনটেক-ফাইজারের করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ শুক্রবার দিনের শেষে এবং শনিবার প্রথম ভাগেই সদস্য দেশগুলোর কাছে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পৌঁছে দিয়েছে ইইউ৷ টিকা পাওয়ার পরপরই কর্মসূচি চালু করে দিয়েছে জার্মানি, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া৷ রোববার থেকে শুরু হয়েছে বাকি দেশগুলোতেও৷

ইউরোপের ২৭ দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে হাঙ্গেরি৷ শনিবার হাতে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টিকাদান শুরু করে তারা৷ এর কিছুক্ষণ পরই শুরু করে হাঙ্গেরির প্রতিবেশি দেশ স্লোভাকিয়া৷ সেখানে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মীরা শুরুতে টিকা নিয়েছেন৷ একইভাবে শনিবার সন্ধ্যায় কার্যক্রম চালু করে দিয়েছে জার্মানির স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্য৷

জার্মানিতে প্রথম পেলেন শতবর্ষী নারী

জার্মানিতে প্রথম টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন হালবারস্টাডট শহরের নার্সিং হোমে বসবাসরত ১০১ বছর বয়সী একজন নারী৷ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে সব রাজ্যে টিকা কর্মসূচি চালুর কথা থাকলেও ততক্ষণ অপেক্ষা করেনি স্যাক্সনি-আনহাল্ট৷ ‘‘আমাদের জন্য প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ’’, জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম এমডেআর এর কাছে এমন মন্তব্য করেছেন অঞ্চলটির একটি টিকা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ইমো ক্রেমার৷

জার্মানিতে প্রথম টিকাপ্রাপ্তদের একজন ১০১ বছরের এই নারী৷ছবি: Matthias Bein/dpa/picture alliance

শনিবার দেশটির ১৬টি রাজ্যের প্রতিটিতে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ডোজ করে টিকা পাঠানো হয়েছে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরুতে নার্সিং হোমের বাসিন্দা, আশি বছরের উপরের বয়স্ক নাগরিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকার আওতায় আসবেন৷ জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, ‘‘আমরা এত মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চাই যাতে জার্মানি ও ইউরোপে এই ভাইরাসের কোন অস্তিত্ব না থাকে৷’’

টিকার মাধ্যমেই মহামারিটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি৷ এই বছরের বাকি সময়ের ভিতরেই জার্মানি ১৩ লাখ টিকা হাতে পাবে৷ জানুয়ারি নাগাদ প্রতি সপ্তাহে সাত লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে৷ আর মার্চের মধ্যে বায়োনটেক-ফাইজারের কাছ থেকে মোট এক কোটি ভ্যাকসিনের আশা করছেন স্পান৷ দেশটির পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীকে যার মাধ্যমে টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে৷ তবে এক্ষেত্রে একা হাঁটা নয় বরং জার্মানি ইউরোপের সবাইকে সাথে নিয়ে এগুবে বলে জানান তিনি৷

আট কোটি ৩০ লাখ জনগোষ্ঠীর জার্মানিতে মোট ৪০০ টি টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের৷

এফএস/জেডএ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

২১ ডিসেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ