রপ্তানি হ্রাস
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩![Bangladeshi workers work in a textile factory on the outskirts of Dhaka, Bangladesh, Wednesday, Feb. 2, 2005.The European Union has decided to give Bangladesh zero tariff entry into its $ 70 billion clothing market from July this year, a move that may boost the country's export to the EU, according to media reports. Bangladesh, a nation of 140 million people, earns three-fourths of its foreign exchange from textile exports. The industry directly employs 1.8 million people and indirectly provides work for about 5 million. (AP Photo/Manish Swarup)](https://static.dw.com/image/16136414_800.webp)
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজার ইউরোপের দেশগুলো৷ কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ঐ সব দেশে রপ্তানি কমে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করার মতো৷ গেল বছরে যেখানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২০,৬৮৯.৭ কোটি টাকা, সেখানে তার আগের বছর মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২১,২৪০.২০ কোটি টাকা৷
অর্থাৎ, যেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলদেশের রপ্তানি বাড়ার কথা সেখানে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার রপ্তানি কমেছে৷ আর এর জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশিস বোস দায়ী করেন ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দাকে৷ সেখানকার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে৷ কারণ, ইউরোপে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিজাত পণ্য তৈরি পোশাক৷ সুভাশিস বোস বলেন, বিলাসবহুল গার্মেন্টস পন্য এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সত্য, তবে দৈনন্দিন তৈরি পোশাকের চাহিদা কমেনি৷
অন্যদিকে, বাংলাদেশের আরেকটি রপ্তানিপণ্য চিংড়ি আন্তর্জাতিক বাজারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে৷ কারণ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ কম খরচে নতুন ধরণের চিংড়ি উৎপাদন করায় প্রতিযোগিতায় মার খাচ্ছে বাংলাদেশের চিংড়ি৷ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে বাংলাদেশকে আবার নতুন করে ভাবতে হবে৷