এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, জার্মানদের তিন-চতুর্থাংশ প্রকাশ্যে বোরকাধারী মহিলাদের দেখতে নারাজ৷ বিষয়টি নিয়ে শুধু জার্মানি নয়, আধা ইউরোপ উত্তাল৷ ইউরোপের একাধিক দেশে প্রকাশ্যে ও সরকারি কার্যালয়ে বোরকা পরা ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি ইনফ্রাটেস্ট ডিমাপ জনমত সমীক্ষা সংস্থাকে এই জরিপের দায়িত্ব দিয়েছিল৷ সংস্থাটি গত ৭ই ও ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে ১,০০৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক জার্মানকে প্রশ্ন করে৷ দেখা যায়, ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ও স্কুলে বোরকা ধারণ নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী৷ বোরকা নিষিদ্ধ করার পুরোপুরি বিপক্ষে মাত্র ১৫ শতাংশ জার্মান৷
জরিপে উত্তরদাতাদের ২৫ শতাংশ জানান যে, তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম৷ তবে বোরকা নিষেধ করে যে জার্মানিকে অধিকতর নিরাপদ করে তোলা যাবে, এ কথা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন না৷ তা সত্ত্বেও জার্মানির রক্ষণশীল রাজনীতিকদের মধ্যে ‘‘বোরকা নিষেধ'' দাবি করার একটা ধুয়ো উঠেছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের একাধিক রাজনীতিক, যারা বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তারা সম্প্রতি স্কুল, সরকারি অফিস, আদালতকক্ষ ও গাড়ি চালানোর সময় বোরকা ও নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করতে চান৷
মুসলিম নারীরা যেসব উপায়ে ‘পর্দা’ করে
হিজাব, বোরকা বা নিকাবের মতো নারীদের জন্য বিভিন্ন ইসলামি পোশাক নিয়ে ইউরোপে এখন তুমুল বিতর্ক চলছে৷ কোনো কোনো দেশ এ সব পোশাক নিষিদ্ধের পক্ষে৷ মুসলমান নারীদের শরীর ঢাকার পোশাকগুলি কী কী – চলুন জেনে নেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হিজাব
দেশ এবং সংস্কৃতিভেদে অনেক মুসলমান নারী হিজাব পরিধান করেন৷ মূলত মাথা, চুল এবং গলা এবং ঘাড়ের খোলা অংশ ঢাকা হয় এই পোশাক দিয়ে৷ বিভিন্ন ডিজাইনের এবং রঙের হিজাব পাওয়া যায় যেগুলো পরলে চেহারা পুরোটাই দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/Seyllou
নিকাব
নিকাব পরলে নারীর পুরো শরীর ঢেকে যায়, শুধু চোখ দু’টো খোলা থাকে৷ সাধারণত পুরোপুরি রক্ষণশীল মুসলমান নারীরা নিকাব পরেন৷ নিকাব মূলত কালো রঙের হলেও অন্যান্য রঙের নিকাবও ইদানীং দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
দোপাট্টা
দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় দোপাট্টা বা ওড়না৷ নিকাব বা বোরকার মতো না হলেও এই পোশাকেও নারীর শরীর অনেকটা ঢাকা থাকে৷ তবে চুলের কিছুটা, চেহারা এবং গলা দেখা যায়৷ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য ধর্মের মেয়েরাও দোপাট্টা পরেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Jaiswal
আল-আমিরা
মূলত দুই টুকরো কাপড় দিয়ে আল-আমিরা তৈরি করা হয়৷ একটি টুকরো দিয়ে চুল পুরোপুরি ঢেকে দেয়া হয় আর অন্য টুকরোটা হিজাবের মতো জড়িয়ে দেয়া হয়৷ কম বয়সি মুসলিম নারীদের মধ্যে এই আল-আমিরা বেশ জনপ্রিয়৷
শায়লা
শায়লা হচ্ছে লম্বা, চারকোনা এক ধরনের স্কার্ফ, যা গল্ফ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়৷ এটি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং কাঁধের কাছে পিন দিয়ে আটকাতে হয় এটিকে৷ তবে হিজাবের মতো সবকিছু ঢেকে রাখে না শায়লা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A.Rochman
এশার্প
অনেকটা হিজাবের মতো হলেই এসার্প তৈরি হয় সিল্ক দিয়ে এবং বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়৷ মূলত তুরস্কের মুসলিম নারীরা এটা পরিধান করেন৷ এটি বিভিন্ন রং এবং ডিজাইনে পাওয়া যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan
কেরুডুং আর টুডুং
ইন্দোনেশিয়ার আধুনিক মেয়েরা আজকাল যে হিজাব ব্যবহার করছে, তার নাম কেরুডুং৷ আর প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়ায় নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় টুডুং৷ এই দু’টি অনেকটা চাদরের মতো হলেও, একটি অংশে সুন্দর প্যার্টার্ন থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে বিভিন্ন রঙের শেডও৷ হিজাবের মতো টুডুং বা কেরুডুং-ও চুল, গলা এবং কাঁধ পুরোপুরি ঢেকে ফেলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Khan
চাদর
ইরানের মেয়েদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় চাদর৷ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাধারণত সে দেশের নারীরা চাদর পরে নেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Mehri
বোরকা
মুসলিম নারীরা সারা চেহারা এবং সারা শরীর পুরোপুরি ঢেকে ফেলে বোরকা পরিধান করেন৷ ক্ষেত্রবিশেষে বোরকার চোখের অংশে জাল দেয়া থাকে, যাতে তারা দেখতে পারেন৷ কালো ছাড়াও বিভিন্ন রংঙের বোরকা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Arshad Arbab
জিলবুবস
সারা শরীর ঢেকে রেখেও নারীর স্তন এবং পশ্চাতদেশের আকার ফুটিয়ে তোলা যায় এই পোশাকে৷ এ জন্যই একে জিলবুবস বলা হয়৷ ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়৷ তবে এই পোশাক নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ দ্রষ্টব্য: মুসলিম নারীদের পোশাক সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছবিঘরটি তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Indahono
10 ছবি1 | 10
স্কুলে নিকাব পরা বারণ?
জার্মানির অসনাব্র্যুক শহরের সোফি শল নাইট স্কুলের এক ছাত্রীর স্কুলে নিকাব পরা নিয়ে একটি মামলা সম্প্রতি ঝড় তুলেছে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ছাত্রীটিকে গ্রহণ করার পর, পরে তাকে আবার প্রত্যাখ্যান করেন৷ ছাত্রীটি অসনাব্র্যুক প্রশাসনিক আদালতে আপিল করলে পর, তার ঠিক তিন দিন পরেই শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়, নয়তো মেয়েটির স্কুলের পড়াশুনার ক্ষতি হবে বলে৷ মামলাটি মিডিয়ায় ব্যাপক গুরুত্ব পাওয়ায় মেয়েটি শুনানির দিন আদালতে হাজির হয়নি, যার ফলে মাননীয় আদালত মামলাটি খারিজ করেছেন৷
সোফি শল স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল যে, নিকাব পরলে ছাত্রীটিকে শনাক্ত করা যাবে না, যেমন স্কুলের পরীক্ষা চলাকালীন অন্য কেউ তার জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, শিক্ষার জন্য যে ধরনের মুক্ত আদানপ্রদানের প্রয়োজন, ছাত্রী নিকাব পরে থাকলে তা সম্ভব নয়, বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের ধারণা৷
বাকি ইউরোপে
ফ্রান্সই ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে প্রকাশ্য স্থানে বোরকা বা নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়; সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরি হয় ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে৷ ফ্রান্সে মহিলাদের নিকাব পরার জন্য অর্থদণ্ড হতে পারে; কোনো মহিলাকে হুমকি বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নিকাব পরতে বাধ্য করলে, তার জন্য শুধু জরিমানা নয়, এক বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে৷ ২০১৪ সালের জুলাই-তে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত ফ্রান্সের বোরকা নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখে৷
ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বেলজিয়াম প্রকাশ্য স্থানে বোরকা ও নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করে৷ সে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরি হয় ২০১১ সালের জুলাই মাসে৷
নেদারল্যান্ডসের মন্ত্রীসভা ২০১৫ সালে যে পরিকল্পনা অনুমোদন করেন, তা অনুযায়ী সরকারি ভবন, স্কুল, হাসপাতাল ও সরকারি পরিবহণে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷
সুইজারল্যান্ডের তিচিনো অঞ্চলে প্রকাশ্য স্থানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ ২০১৬ সাল থেকে৷ তার আগেই ইটালির লম্বার্ডি অঞ্চলে হাসপাতাল ও প্রাদেশিক সরকারের ভবনসমূহে মহিলাদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয় – সেটা ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে৷
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে বোরকা ও নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ কিছু কিছু দেশে আবার পুরো মুখ ঢাকা বোরকা নিষিদ্ধ করা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা৷ প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা না থাকায় এসব অঞ্চলে কি জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে?
ছবি: CLAUDE PARIS/AP/dapd
ফ্রান্স
ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বোরকা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়৷ ফ্রান্সে ৫০ লাখ মুসলমানের বাস৷ ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়৷ বোরকা বা নেকাব পড়লে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে৷
ছবি: Getty Images
বেলজিয়াম
২০১১ সালের জুলাইয়ে বেলজিয়ামেও নেকাব নিষিদ্ধ হয়৷ অর্থাৎ কোনো নারী তার পুরো মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখতে পারবে না৷
ছবি: AP
নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসে ২০১৫ সালে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়৷ বিশেষ করে জনসমক্ষে, অর্থাৎ স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদির মতো জায়গায বোরকা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷
ছবি: AP
স্পেন
পুরো স্পেনে নয়, বার্সেলোনা শহর কর্তৃপক্ষ সেখানে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্রিটেন
ব্রিটেনে প্রচুর মুসলিমের বাস, তাই সেখানে কোনো ইসলামি পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই৷ তবে স্কুলগুলোতে নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়৷ ২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি মামলার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে, স্কুলে কেউ বোরকা বা নেকাব পরতে পারবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
সুইজারল্যান্ড
২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ইটালীয় ভাষাভাষীদের এলাকা টিসিনোতে বোরকা নিষিদ্ধের ওপর ভোট হয়৷ নিষিদ্ধ করার পক্ষে পড়ে ৬৫ শতাংশ ভোট৷ এরপর ২৬টি শহরে বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে লুগানো, লোকারনো, মাগাদিনোসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বোরকা নিষিদ্ধ হয়৷ কেউ জনসমক্ষে বোরকা পড়লে ৯ হাজার ২০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে তাঁর৷
ছবি: imago/Geisser
ইটালি
ইটালির বেশ কয়েকটি শহরে নেকাব নিষিদ্ধ৷ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নোভারা কর্তৃপক্ষ সেখানে আইন করে বোরকা নিষিদ্ধ করেছে৷ ৭০-এর দশকেই মুখ ঢেকে রাখা সব ধরনের ইসলামিক পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইটালি৷
ছবি: picture alliance/dpa/Rolf Haid
অস্ট্রিয়া
দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে৷ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে একমত হয়েছে সরকারের শরিক দলগুলোও৷ এছাড়া যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, তাঁদের মাথায় স্কার্ফ, হিজাব কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বিবেচনা করছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
জার্মানি
জার্মানির রক্ষণশীল রাজনীতিকদের মধ্যে বোরকা নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে৷ সিডিইউ দলের একাধিক রাজনীতিক স্কুল, সরকারি অফিস, আদালতকক্ষ ও গাড়ি চালানোর সময় বোরকা ও গোটা মুখ ঢাকা নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে চান৷ সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জার্মানও প্রকাশ্যে বোরকাধারী মহিলাদের দেখতে নারাজ৷ এমনকি সম্প্রতি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও পুরো মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করার পক্ষ তাঁর সায় দিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Schuh
9 ছবি1 | 9
বুর্কিনি বিতর্ক
বোরকার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা থেকে নারী স্বাধীনতা অবধি নানা যুক্তির সুযোগ আছে, কিন্তু বুর্কিনি নামধারী পরিধেয় বস্তুটি নিয়ে যে নাটক সৃষ্টি হয়েছে, তা অভাবনীয়৷ অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা মুসলিম মহিলাদের সমুদ্রসৈকতে স্নানের বেশ হিসেবে এই পরিধানটি সৃষ্টি করেন, যা হিজাব যুক্ত সালওয়ার-কামিজের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে৷ ফ্রান্সের ৩০টি শহর ও গ্রাম – সবই উপকূলবর্তী – যে এই বুর্কিনি পরিধান নিষিদ্ধ করেছে, তার পিছনে অনেকে ‘ক্ল্যাশ অফ কালচার্স' থেকে শুরু করে, সনাতনপন্থার সঙ্গে আধুনিকতার দ্বন্দ্ব ইত্যাদি অনেক কিছু দেখছেন৷ তবে সবচেয়ে মজার কথা এই যে, বুর্কিনির সপক্ষে ও বিপক্ষে উভয় পক্ষই বুর্কিনি অনুমোদন বা নিষিদ্ধ করার মধ্যে নারীস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ দেখছেন!
ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত দক্ষিণ ফ্রান্সের ভিলন্যোভ-লুবে শহরের সৈকতে বুর্কিনি পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার পর, ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বের্নার কাজন্যোভ-ও বুর্কিনি নিষেধকে ‘‘অসাংবিধানিক'' বলে অভিহিত করেছেন৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷