1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোর ভবিষ্যত

১ আগস্ট ২০১২

ইউরো থাকবে, কি থাকবে না - এ নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে৷ সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতে পারে৷

ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb

ইউরো অঞ্চলের দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ‘ইউরোপিয়ান স্টেবিলিটি ম্যানেজমেন্ট' বা ইএসএম নামের একটি বেলআউট ফান্ডের কথা বলা হচ্ছে৷ এই তহবিলের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ইউরো৷

এই তহবিলের জন্য অর্থ জোগান দেয়াটা জার্মানির সংবিধানের সঙ্গে যায় কিনা – সে বিষয়ে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত রায় দেবে সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে৷ রায় যদি নেতিবাচক হয় তাহলে ইএসএম গঠন আদৌ সম্ভব হবে কিনা – সে বিষয়ে আশঙ্কা দেখা দেবে৷ কেননা তহবিলের সবচেয়ে বেশি অংশটা আসার কথা জার্মানির কাছ থেকেই৷

আবার ঐ একই তারিখে, মানে সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে হল্যান্ডে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ বেইলআউট প্যাকেজের জন্য আরো অর্থ খরচ করার বিপক্ষে সেখানকার লোকজন৷

এদিকে, আপাতত ইউরো বাঁচানোর জন্য সবধরণের সহযোগিতার কথা বলে যাচ্ছেন নীতিনির্ধারকরা৷ যেমন, বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি'র প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাগি ইউরো বাঁচাতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করার কথা জানিয়েছেন৷ তাঁর এই বক্তব্যের পর ইউরোপের অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাও নীতিগতভাবে ইউরো বাঁচাতে সম্ভাব্য সবকিছু করার অঙ্গীকার করেছেন৷ যেমন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ, ইউরোগ্রুপের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার – এঁরা সবাই ইউরোকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন, যদিও সেটা কীভাবে করা উচিত, সেবিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে৷

সাংবিধানিক আদালতের বিচারকরাছবি: Reuters

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ইসিবি'র প্রেসিডেন্ট আসলে কী করতে পারবেন এবং সেটা করার অধিকার ইসিবি'র রয়েছে কিনা – তা নিয়ে৷ বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের যে ধারনা সেটা হচ্ছে, ইসিবি হয়তো স্পেন, ইটালি সহ সমস্যায় থাকা দেশগুলোর বন্ড কিনতে পারে৷ যেটা তারা আগেও করেছে৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে সাময়িকভাবে কিছুটা লাভ হলেও এই কৌশলটা আসলে সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান নয়৷ যে কারণে জার্মানি কখনোই এর পক্ষে ছিল না, এখনো নেই৷

তবে আরেকটা কাজ করতে পারে ইসিবি৷ সেটা হচ্ছে, ইএসএম'কে ব্যাংকে পরিণত করা৷ সেক্ষেত্রে ইএসএম ইসিবি'র কাছ থেকে যত ইচ্ছা টাকা নিয়ে দুর্বল দেশগুলোকে সাহায্য করতে পারবে৷ কেননা ইচ্ছে মতো টাকা বানানোর অধিকার রয়েছে ইসিবি'র৷ তবে ইসিবি'র প্রেসিডেন্ট দ্রাগি নিজেই এই কৌশলের বিপক্ষে৷ কারণ তাঁর মতে, কাজটা হবে ইসিবি'র নির্দিষ্ট ক্ষমতার বাইরে৷ এবং এর ফলে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে ইসিবি৷

এদিকে, ইউরো'র সমস্যা ইউরোপ ছাড়িয়ে বাইরের বিশ্বকেও প্রভাবিত করছে৷ যেমন এই সমস্যা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ কেননা সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ অথচ দেশের অর্থনীতির অবস্থা বেহাল৷ বেকারত্বের হারও কমছে না৷ আর এসবের জন্য ইউরো সমস্যাও দায়ী বলে মনে করেন তিনি৷ তাইতো এটা কাটিয়ে উঠতে প্রায়ই ইউরোপীয় নেতাদের দ্বারস্ত হন তিনি বা পাঠিয়ে থাকেন তাঁর অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইটনারকে৷ এই যেমন, গত সোমবার গাইটনার একদিনের জন্য উড়ে এসেছিলেন জার্মানিতে৷ এখানে তিনি গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে থাকা জার্মান অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ ফ্রাঙ্কফুর্টে কথা বলেছেন ইসিবি'র প্রেসিডেন্টের সঙ্গে৷ আর টেলিফোন করেছেন ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রীকে৷

জেডএইচ / ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ