1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০১২

৬ জুন ২০১২

ইউরো ২০১২ আসর শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি৷ তবে ফুটবলের এই জমজমাট আসরের ফলে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এর হাজারো পথশিশু যেন আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়ছে৷ কিন্তু তাদের যত্ন নেওয়ার কেউ নেই৷

Kids play trying to push a model of an official ball, or tango, of the Euro 2012 soccer tournament at the Olympiysky stadium in Kiev, Ukraine, Thursday, May 3, 2012. A number of top-ranking European officials have said they will not go to Ukraine during the European soccer championship in June unless there is a swift improvement in the human rights situation there. They pilled the pressure on the leadership in Kiev in support of jailed former Prime Minister Yulia Tymoshenko. (Foto:Efrem Lukatsky/AP/dapd)
ছবি: dapd

ফেডোরোভা স্ট্রিট ব্রিজের কাছেই অনেক দিন কাটাতে হয়েছে ১৩ বছর বয়সি জেনিয়াকে৷ তাকে এখন সেখান থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু কিয়েভ নগরীতে আসন্ন ইউরো আসর ২০১২ নিয়ে সে যেটুকু জানে তা হলো, এর ফলে তার জীবন আরো কঠিন হতে যাচ্ছে৷ জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ'র সাথে সাক্ষাৎকারে জেনিয়া বলেছে তার উৎকণ্ঠার কথা৷ পুলিশ এখন খুবই তৎপর ইউরো আসর চলাকালে নগরীর পথ-ঘাট থেকে ছিন্নমূল মানুষ ও পথশিশুদের সরিয়ে ফেলতে৷ যদি তারা জেনিয়ার মতো গৃহহীনদের ধরতে পারে তাহলে একেবারে নগরীর বাইরে চালান করবে৷

কিয়েভের রাজপথে জেনিয়ার মতো ছিন্নমূল কতো মানুষ বাস করে তার হিসাব নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে৷ ইউক্রেন সরকারের হিসাবে সংখ্যাটি প্রায় ১০ হাজার৷ তবে সামাজিক সংগঠনগুলোর হিসাবে, ৩০ লাখ মানুষের কিয়েভ নগরীতে ছিন্নমূল মানুষ রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার৷ এদের অধিকাংশই নগরীর পরিত্যক্ত ভবন, সড়ক ও ব্রিজের পাশে কিংবা সোভিয়েত আমলের পরিত্যক্ত শিল্প-কারখানার ভবন ও চত্বরে কোনরকমে বাস করে৷

কিন্তু ইউরো আসর উপলক্ষ্যে নগরীতে আগত পর্যটক ও অতিথিদের জন্য ঘষে মেজে ঝকঝকে করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ একইসাথে পুলিশের নথিতে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলোকে হয় স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠানো অথবা কোন এতিমখানায় পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় সমাজ কর্মীরা জানিয়েছেন৷ কিন্তু সেখানে আবার এমন অনেক মানুষ রয়েছে, সরকারের হিসাবে যাদের আদৌ কোন অস্তিত্ব নেই৷

তাদের মধ্যে অনেকে হয়তো পথেই বড় হয়েছে৷ তারা বাস্তবে বিরাজ করলেও সরকারের নথিপত্রে তাদের কোন হিসাব নেই৷ তাদের কখনও জন্মনিবন্ধন করা হয়নি৷ তাদের কোন ঠিকানা নেই৷ এমনকি তাদের অনেকে জানেও না যে, তাদের পিতা-মাতা কারা বা কোথায় থাকে৷ কিয়েভের বাস্তুহারাদের সহায়তায় কর্মরত বেসরকারি সংস্থা ‘ফাদার্স কেয়ার' এর আইনজীবী মারিনা সিনসিঙ্কো বলেন, ‘‘এসব ছিন্নমূল মানুষ হয়তো ইউরো ২০১২ আসর দেখতে আসা অতিথিদের চোখেও পড়বে না৷ আর তাদের কেউ কেউ এসময় নগরীতে থাকলেও হয়তো ভিক্ষা করবে নতুবা কোন অপরাধ কর্ম করবে৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ