1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো-এলাকার সংকট মোকাবিলায় ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

২৯ নভেম্বর ২০১১

ইউরো মুদ্রার বর্তমান সংকট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলোর জন্য তো বটেই, মার্কিন অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলবে, এমন হুমকি রয়েছে৷

---
ইউরো এলাকার সংকট ক্রমেই বর্ধিত হচ্ছেছবি: K.-U. Häßler/Fotolia/DW

স্বাভাবিকভাবেই ইউরোজোনের ক্রমবর্ধমান ঋণ সংকট নিয়ে ভীষণ চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্র৷ তাই তারা সাহায্য করতে প্রস্তুত৷ তবে অর্থ দিয়ে নয়৷ ইউরো এলাকার সংকট অ্যাটলান্টিকের দু'দিকেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই৷ এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে নতুন এক অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা জোরদার হবে৷ তাই গতকাল ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হ্যারমান ফন রম্পয়, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল বারোসো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটন-এর সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ও অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনার৷

তবে না৷ আর্থিক সাহায্য নয়৷ আলোচনার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়েছেন যে, অর্থ সাহায্য নয়, বরং ১৭ সদস্যের ইউরোজোনকে বর্তমান সংকট থেকে বের করে আনতে যে কোনো ধরনের পরামর্শ দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র৷ ভুলে গেলে চলবে না, ২০০৭ সালের আর্থিক মন্দার যে অবস্থা অ্যামেরিকায় তৈরি হয়েছিল – তার থেকে অনেকটাই উঠে আসতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তাই হোয়াইট হাউস-এর মুখপাত্র জে কার্ন-এর কথায়, ‘‘মার্কিন করদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো সাহায্য ইউরোপের প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি না৷''

মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনারছবি: picture alliance/dpa

ওদিকে, এই সংকট সমাধানের নানা পন্থা নিয়ে কথা হচ্ছে ইউরোপের মধ্যেও৷ ইউরোভুক্ত দেশগুলির জন্য এক ধরনের ‘কমন বন্ড' চালু করা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)-এর ভূমিকা কি হবে – তা নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি এবং ইইউ কমিশনের প্রধান বারোসো'র মধ্যে মতভেদ রয়েছে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তিতে কিছু জরুরিভিত্তিক পরিবর্তন আনতে চান ম্যার্কেল ও সার্কোজি৷ এর ফলে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর, মানে তাদের বাজেটের ওপর কড়া চোখ রাখতে পারবে ব্রাসেলস৷ এবং প্রয়োজনে, এই যেমন কোনো সদস্য যদি রাজস্ব সংক্রান্ত নিয়মনীতি লংঘন করে, তবে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করতে পারবে তারা৷ ৮ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ইইউ সম্মেলনে ঐ চুক্তি পরিবর্তনের প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ