1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো এলাকায় দুশ্চিন্তা

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ইটালির নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে অনিশ্চয়তা গোটা ইউরো এলাকার উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ তবে সাইপ্রাসকে ঘিরে দেখা যাচ্ছে কিছুটা আশার আলো৷

A voting official prepares the ballot papers at a polling station in Rome February 24, 2013. Italians began voting on Sunday in one of the most closely watched elections in years, with markets nervous about whether it can produce a strong government to pull Italy out of recession and help resolve the euro zone debt crisis. REUTERS/Yara Nardi (ITALY - Tags: POLITICS ELECTIONS)
ছবি: Reuters

ইটালির নির্বাচন

ঠিক যা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তাই ঘটলো৷ ইটালির নির্বাচনের ফলাফলের কারণে মঙ্গলবার বাজার অশান্ত হয়ে পড়েছিল৷ ইউরো এলাকার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ইটালি সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের পথে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে গভীর সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ ফলে বাজারে ধস নেমেছে, ইউরোর বিনিময় মূল্য পড়ে গেছে৷ বাজারে ইটালির বন্ডের মূল্যও ধাক্কা খেয়েছে৷

ইটালির ভবিষ্যৎ নিয়ে গোটা ইউরোপ অনিশ্চয়তায় ভুগছে৷ কারণ ইটালির বিশাল ঋণভার রয়েছে৷ অর্থনীতির অবস্থা বেশ খারাপ৷ অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মারিও মন্টি এতকাল কড়া হাতে ব্যয় সংকোচ ও সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ নির্বাচনের এই ফলাফলের পর আদৌ কোনো স্থিতিশীল সরকার গঠন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ তাছাড়া যে তিন শিবির উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে দুটি শক্তি সংস্কারের বিরোধী৷ নতুন করে আবার নির্বাচন হলেও সংস্কারপন্থিরা যথেষ্ট শক্তি অর্জন করতে পারবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়৷ ফলে ইটালি কোন পথে এগোবে, কীভাবে ঋণের ভার কমাবে, অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করবে, কেউ তা জানে না৷ এর প্রভাব গোটা ইউরো এলাকার উপর পড়তে বাধ্য৷

ঠিক যা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তাই ঘটলো৷ ইটালির নির্বাচনের ফলাফলের কারণে মঙ্গলবার বাজার অশান্ত হয়ে পড়েছিলছবি: Fotolia/TwilightArtPictures

এই অবস্থায় ইউরোপের নেতারা ইটালির রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্যে নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থ ভুলে গোটা ইউরোপের স্থিতিশীলতার কথা ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের স্পিকার মার্টিন শুলৎস বলেছেন, ইটালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও ইউরোজোনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ৷ ফলে ইটালিতে কিছু ঘটলে বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে বৈকি৷

সাইপ্রাসের নির্বাচনকে ঘিরে স্বস্তি

অন্যদিকে সাইপ্রাসের নির্বাচনের ফলাফলকে বাজারের জন্য ইতিবাচক বলা চলে৷ সাইপ্রাসের নতুন প্রেসিডেন্ট যত দ্রুত সম্ভব দেশের সংকট কাটাতে বেলআউট-এর আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন, পুঁজিবাজার ঠিক যেমনটা চাইছে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএমএফ সাইপ্রাসকে সহায়তার বিষয়ে কিছুটা দোটানায় ভুগছে৷ একদিকে ইউরো এলাকার স্বার্থে সে দেশকে রক্ষা করা উচিত৷ কিন্তু সাইপ্রাস-এর ঋণভার আসলে কতটা, আগে তা নিশ্চিত করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, গ্রিসের ঋণভার প্রথমদিকে ঠিকমতো স্পষ্ট না হওয়ায় সংকট সামাল দেওয়া সম্ভব হয় নি৷ এবার সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এড়াতে চায় ইউরোপ ও আইএমএফ৷

বাকি ইউরোপের পরিস্থিতি

গ্রিসের অর্থনীতি ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, যদিও চলতি বছরে তার সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম৷ ফ্রান্সের সমাজতান্ত্রিক সরকার বুঝতে পেরেছে, যে সংকট এড়াতে সরকারি কোষাগারে ব্যয় কমাতে হবে, আয় আরও বাড়াতে হবে৷ জার্মানিও ফ্রান্সকে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে বাকিদের জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছে৷

তবে ইটালির নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী পিয়ের মস্কোভিসি ইউরোপের কঠিন বাস্তবের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন৷ শীর্ষ নেতারা যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, জনগণ রুষ্ট হলে ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন ঘটতে বাধ্য৷ সে ক্ষেত্রে নেতাদের পরিকল্পনা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷ তিনি আরও বলেন, সরকারি ব্যয় সংকোচের কঠিন সিদ্ধান্তের ভারসাম্য হিসেবে নেতাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিশাও দেখাতে হবে৷ তবেই মানুষ তাঁদের সমর্থন জানাবেন৷ উল্লেখ্য, আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও ফ্রান্সের সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে কর্মসূচির পক্ষে সওয়াল করে চলেছে৷

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ