1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো এলাকায় বেকারত্বের রেকর্ড

৬ এপ্রিল ২০১৩

ইউরোস্ট্যাট সংস্থার সরকারি তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউরো এলাকায় বেকারত্বের পরিমাণ ছিল তার আগের মাসের মতোই, অর্থাৎ ১২ শতাংশ৷ আরো বড় কথা, পরিস্থিতির আসন্ন উন্নতির সম্ভাবনা কম৷

ছবি: picture-alliance/dpa

১৯৯৯ সালে ইউরো চালু হওয়া যাবৎ ইউরো এলাকায় বেকারত্বের হার কখনো এত উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছয়নি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মসংস্থান কমিশনার লাজলো আন্ডর-এর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘বেকারত্বের অ-গ্রহণযোগ্য উচ্চ হার ইউরোপের পক্ষে একটি ট্র্যাজেডি৷''

একমাত্র আশার আলোক হল, ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ ইউরো এলাকায় – কিংবা সামগ্রিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে – বেকারদের সংখ্যা, অর্থাৎ যারা বেকার ভাতা পায়, তাদের সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি: ইউরো এলাকায় বেড়েছে ৩৩ হাজার; ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশে ৭৬ হাজার৷

দেশ অনুযায়ী বেকারত্বের হার গ্রিসেই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি: সম্ভবত, কেননা ডিসেম্বরের পর গ্রিস থেকে আর কোনো নতুন পরিসংখ্যান নেই৷ তবে ডিসেম্বরে গ্রিসে বেকারত্বের হার ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ৷ ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্রিসের পরেই আসে স্পেন: তাদের বেকারত্বের হার ছিল ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ৷ স্পেনের পর পর্তুগাল, ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ৷ বেকারত্ব সবচেয়ে কম অস্ট্রিয়া (৪ দশমিক ৮ শতাংশ) এবং জার্মানিতে (৫ দশমিক ৪ শতাংশ)৷

বেকারত্বের সংখ্যা গ্রিসেই সবচেয়ে বেশিছবি: AP

চিন্তাটা আসলে যুব বেকারত্ব নিয়ে, যার পরিসংখ্যান একটা সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ট্র্যাজেডির ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ গ্রিসে গত ডিসেম্বরে যুব বেকারত্বের পরিমাণ ছিল ৫৮.৪ শতাংশ; স্পেনে ৫৫.৭ শতাংশ; পর্তুগালে ৩৮.২ শতাংশ এবং ইটালিতে ৩৭.৮ শতাংশ৷ ইইউ কর্মসংস্থান কমিশনার লাজলো আন্ডর-এর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে: ‘‘ইইউ'কে চাকুরি সৃষ্টির জন্য যাবতীয় পন্থা নিয়োগ করতে হবে৷ বিশেষ করে তরুণদের সাহায্যের প্রয়োজন৷''

মুশকিল এই, যে শিল্পোৎপাদনের ক্ষেত্রে যে সাম্প্রতিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা খুব আশাজনক নয়৷ এমনকি জার্মানিও ধীরে ধীরে সেই ঢিমে তেতালায় পড়তে চলেছে৷ বছরের প্রথম তিন মাসে শিল্পোৎপাদন কমেছে তো বটেই, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে নাকি সেই প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পাবে৷ ২০১৩ সালে ইউরো এলাকার অর্থনীতি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ কমবে বলে খোদ ইউরোপীয় কমিশন ভবিষ্যদ্বাণী করেছে৷

দুঃখ এই, সাইপ্রাস সংকটের আগে এমন লক্ষণ দেখা দিয়েছিল যে, ইউরোপের ঋণ সংকটের প্রশমন ঘটতে চলেছে৷ প্রায় ছ'মাস ধরে শেয়ার এবং সরকারি বন্ডের মূল্য বেড়েই চলেছিল৷ মনে হচ্ছিল, ইউরো দেশগুলি এবার নিজেরাই সরকারি আয়ব্যয়ের ভার নিতে পারবে৷

বাজারের অবস্থা যে কিছুটা ভালো হয়েছে, তা অনস্বীকার্য৷ কিন্তু ইউরো এলাকা আবার অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ঢলে পড়েছে, বিশেষ করে এলাকার বহু দেশের সরকার ব্যাপক ব্যয়সংকোচ ও করবৃদ্ধির পথ বেছে নেওয়ার ফলে৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ