1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো সংকট

৪ এপ্রিল ২০১২

ইউরোপীয় নেতারা সংকট সামলাতে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন বটে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউরো এলাকায় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে৷

ছবি: Fotolia/K.F.L.

ইউরোপীয় নেতাদের দৃঢ় অবস্থান

গত কয়েক মাস ধরে ইউরো এলাকার আর্থিক সংকটকে ঘিরে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ও সিদ্ধান্ত দেখা যাচ্ছিল৷ গ্রিসের জন্য অস্থায়ী তহবিলের পর ইএসএম নামের স্থায়ী তহবিল গঠন ও তহবিলের অঙ্ক সম্পর্কেও ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে৷ ইউরোপীয় মুদ্রা বিষয়ক কমিশনর অলি রেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ইউরো এলাকার দেশগুলি গোটা বিশ্বে ‘ফায়ারওয়াল' মজবুত করার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে৷ গোটা বিশ্ব, বিশেষ করে জি-টোয়েন্টি ও ব্রিক দেশগুলির দাবি অনুযায়ী আমরা সঠিক জবাব দিয়েছি৷''

আন্তর্জাতিক ভূমিকা

ইউরোজোন তহবিল বা ‘ফায়ারওয়াল' নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাবার পর এবার সবার নজর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ'এর দিকে৷ কারণ আইএমএফ'কেও এই তহবিলে অংশ নিতে হবে৷ সংস্থার প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ এই লক্ষ্যে সদস্য দেশগুলির কাছে বাড়তি ৫০,০০০ কোটি ডলার চেয়েছেন৷ কিন্তু জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠী চায়, ইউরোপও আলাদা করে এই উদ্যোগে অংশ নিক৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেকেই ইউরোজোন'এর ফায়ারওয়াল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেও জি-টোয়েন্টি শেষ পর্যন্ত কতটা আর্থিক সহায়তা দেবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ সুইডেনের অর্থমন্ত্রী আন্ডার্স বর্গ বলেন, ‘‘ইউরো এলাকায় সংকট আরও বেড়ে গেলে তার প্রভাব ল্যাটিন অ্যামেরিকায়ও টের পাওয়া যাবে৷ তাই সবার স্বার্থেই একটা সমাধানসূত্র বার করতে হবে৷ কিন্তু এবিষয়ে আলোচনায় কিছুটা সময় লাগবে৷''

মন্দার আশঙ্কা

ইউরোপের স্পষ্ট সিদ্ধান্তের ফলে এখন পরিস্থিতি অনেক শান্ত হয়েছে৷ কিন্তু তার পরেও সংকটের রূপ নানাভাবে প্রকাশ পাচ্ছে৷ যেমন সোমবার ইউরোজোন'এর ১৭টি দেশের সম্মিলিত বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি মাত্রা ছুঁয়েছে৷ ইউরোপীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী ১০.৮ শতাংশ মানুষ এই মুহূর্তে বেকার৷ পর পর ৮ মাস ধরে এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ গত ১৫ বছরে এমনটা দেখা যায় নি৷ ফলে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে, যে গোটা এলাকা অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়তে শুরু করেছে৷

ইউরোপে সম্মিলিত বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি মাত্রা ছুঁয়েছেছবি: dapd

অ্যামেরিকা যেখানে সংকট সামলে উঠে বেকারত্বের হার ৮.৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে, সেই প্রেক্ষাপটে ইউরোপের এই করুণ পরিস্থিতি দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে৷ তবে ইউরোজোন'এর সব দেশের অবস্থা এত নাটকীয় নয়৷ স্পেনে বেকারত্বের হার ২৩.৬ শতাংশ, গ্রিস, পর্তুগাল ও আয়ারল্যান্ড'এর অবস্থাও ভালো নয়৷ অন্যদিকে অস্ট্রিয়ায় বেকারত্বের হার মাত্র ৪.২ শতাংশ৷ কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে গোটা ইউরোজোন'এরই, কারণ দেশগুলির অর্থনাতি একই সূত্রে বাঁধা রয়েছে৷

ইউরোপের উভয় সংকট

এই অবস্থায় ইউরোপের অর্থনীতি কি সত্যি মন্দার দিকে এগিয়ে চলেছে, এমন আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়৷ ইউরোপ জুড়ে সরকারের ব্যয় সংকোচ নীতির কারণে অর্থনীতি এমনিতেই কিছুটা বিপর্যস্ত৷ গত বছরের শেষে প্রবৃদ্ধির বদলে অর্থনীতির সঙ্কোচন দেখা গেছে ০.৩ শতাংশ হারে৷ সেই প্রবণতা এখনো চলছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ তার উপর বেকারত্বের উচ্চ হারও এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক, কারণ এই অবস্থায় ভোক্তারাও ব্যয় করছেন কম, যার ফলে আবার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে৷

এমনটা চলতে থাকলে জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশও রেহাই পাবে না বলে অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানি ও ফ্রান্সের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ অর্ডার কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে উৎপাদনের হারও কমে চলেছে৷ এই অবস্থায় সোমবার সকালে পুঁজিবাজার কিছুটা চাঙ্গা হলেও তার পরেই আবার সূচক বেশ কিছুটা নেমে গেছে৷ অথচ গত সপ্তাহে ইউরোজোনের জন্য স্থায়ী জরুরি তহবিলের প্রশ্নে ঐকমত্যের ফলে বাজার বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন/এএফপি, এপি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ