1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০১২

৩১ মে ২০১২

কে জানে কী হবে! সত্যি কথা বলতে, ইউক্রেন আর পোল্যান্ডে ইউরোকাপের খেলার প্রস্তুতির দিকে তাকিয়ে শিউরে ওঠা ছাড়া উপায় নেই৷ তবে পরিকাঠামোয় ঘাটতি চরমে ইউক্রেনেই৷ পোল্যান্ডে ততটা নয়৷

ছবি: picture-alliance/dpa

ছবিটা এভাবে দেখা যাক৷ একদিকে ইউক্রেন আর অন্যদিকে পোল্যান্ড৷ পোল্যান্ডের বিষয়ে তবু দু'চারটে ভালো কথা বলা যায়৷ তাদের প্রস্তুতি অনেকটাই বেশ চোখে পড়ার মত৷ ইউরোকাপের খেলা হবে যে নতুন স্টেডিয়ামে, সেটা তৈরি করা হয়েছে ঝাঁ চকচকে করে৷ দারুণ তার চেহারা৷ খরচ করা হয়েছে ৪.৩ বিলিয়ন পোলিশ মুদ্রা স্লটি৷ ডলারের হিসেবে ১.২ বিলিয়ন ডলার৷ রাজধানী ওয়ারশ-এর সেন্ট্রাল ট্রেন স্টেশন, যেটা আগে ছিল মাতাল আর ভবঘুরেদের আড্ডা, আর রাজ্যের আজেবাজে সস্তা দোকানের আখড়া, সেটাকেও একেবারে নতুন চেহারা দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ আর ভলান্টিয়াররা প্রাণপণে ইংরেজি ভাষা শিখছে সারাক্ষণ, কারণ বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে তো কথা বলতে হবে তাদের! ইত্যাদি প্রভৃতি৷

পোল্যান্ডের একটি স্টেডিয়ামছবি: dapd

কিন্তু তুলনায় ইউরোকাপের আরেক আয়োজক দেশ ইউক্রেনের অবস্থা যাকে বলে নাকের জলে চোখের জলে৷ ইউরো ২০১২-র আয়োজক প্রধান বরিস কোলেসনিকভ সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাক পিটিয়ে বলেছেন, আমরা পুরোপুরি তৈরি৷ স্টেডিয়ামের কাজ শেষ, হোটেলগুলো তৈরি, রাস্তাঘাট সহ যাবতীয় পরিকাঠামো চমৎকার, ইত্যাদি৷

কিন্তু আসল ছবি? সেটাই হল প্রশ্ন৷ আধ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা প্রধান  স্টেডিয়ামের খাঁচাখানা দাঁড়িয়েছে বটে, কিন্তু বাকি পরিকাঠামোর কোথাও কোন চিহ্ন নেই৷ হোটেলগুলো তৈরি করার কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু সেখানে বালি, চুন আর ডেব্রিসের ডাঁই৷ আরও বিপদে কথা হল পথঘাট৷ স্টেডিয়াম থেকে রাজধানী কিয়েভের ফ্যান জোনের দূরত্ব গাড়িতে আধঘণ্টা৷ কিন্তু বেজায় ট্র্যাফিকের কল্যাণে সেখানে পৌঁছতে সময় লাগবে ঝাড়া দেড় ঘণ্টা৷ ফলে ফ্যানেদের পক্ষে সেই ফ্যানজোনে গেলে আর স্টেডিয়ামে ফেরাটা সমস্যাসংকুল৷  আর যেটা সবচেয়ে মজার বিষয় তাহল ইংরেজি ভাষা৷ পুলিশ থেকে শুরু করে ভলান্টিয়ার, দোকানদার, হোটেলওয়ালা সকলেই ইংরেজি শিখছে বটে, কিন্তু কাউকে ইংরেজিতে এয়ারপোর্টের রাস্তা কোনদিকে এ প্রশ্ন করলে উত্তর আসছে ডাক্তারখানার ঠিকানা৷ তাছাড়া পুলিশকে ইংরেজি বলায় সহায়তা করতেও কিছু স্বেচ্ছাসেবক লাগানো হয়েছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি তেমন সুবিধের যে, একথা বলা যায় না৷

পরিস্থিতি যে ঘোরতর অসুবিধের, এ অভিযোগ অবশ্যি বিরোধীরাও করে চলেছে৷ পোল্যান্ডের বিরোধী দলগুলো তো উঠেপড়ে লেগেছে গোটা দুনিয়াকে জানাতে যে ইউরোকাপের পরিকাঠামোর কী গভীর দুর্দশা৷ তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্কের সরকার আসল সময়ে লোক হাসাবে৷ চরম অসুবিধেতে পড়বেন ফুটবল ফ্যানেরা৷ ট্রেন চলাচল থেকে রাস্তাঘাট, কিছুই নাকি ঠিকঠাক হয়ে ওঠেনি৷ আর ইউক্রেনের অবস্থা এতটাই গভীর গাড্ডায় যে আগাম যেসব সাংবাদিকরা সেদেশে ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গেছেন, তাঁরা নিজেরাই প্রায় দিশেহারা৷

দিন বেশি বাকি নেই৷ আগামী ৮ জুন থেকে শুরু হবে ইউরোকাপের খেলা৷ ইউক্রেন আর পোল্যান্ড, এই দুই দেশের সামনেই তাই এখন অগ্নিপরীক্ষা বললে ভুল হবে না৷

প্রতিবেদন: ডিপিএ / সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা:  সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ