1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কঠোর বিধি

২ মার্চ ২০১২

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলন শেষ হলো শুক্রবার৷ এবার স্বাক্ষরিত হয়েছে নতুন একটি আর্থিক কাঠামো চুক্তি৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ছিলেন এই চুক্তির অন্যতম কারিগর৷

ছবি: Fotolia/Klaus Eppele

সাতাশটি ইইউ দেশের মধ্যে ২৫টি দেশ নতুন এই চুক্তিতে সই করেছে৷ এর ফলে এখন থেকে নিজ নিজ দেশের বাজেট প্রণয়নে সরকারগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে৷ গ্রিসের মতো পরিস্থিতি যেন আর তৈরি না হয়, সেজন্য আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বনের এই চুক্তি করা হয়েছে৷

ইইউ'র সদস্য হওয়ায় গ্রিসের সমস্যা পুরো ইউরোজোনের উপরই প্রভাব ফেলেছে৷ ফলে নতুন চুক্তিতে কোনো দেশের বাজেট ঘাটতি যদি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে৷ ব্রিটেন আর চেক প্রজাতন্ত্র এই কঠোর বিধির মধ্যে যেতে চায়নি৷ তাই তারা চুক্তি স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছে৷

এদিকে চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউরোজোনের অনেক শীর্ষ নেতা৷ যেমন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি মনে করছেন, এর ফলে ইউরো সংকট মোকাবিলায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: dapd

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান হোসে মানুয়েল বারোসো বলছেন, অনেকদিন পর এমন একটা শীর্ষ সম্মেলন হলো যেটাকে শুধুই, ইউরো সংকটময় সম্মেলন বলা হচ্ছে না৷ কেননা এবার ইউরোপের প্রবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷

ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কথাতেও বারোসোর মন্তব্যের সুর শোনা গেছে৷

তবে নতুন চুক্তির অন্যতম কারিগর ও ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলছেন, ‘‘আমরা এখনও ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে আছি৷ আমরা কিছুটা এগিয়েছি, কিন্তু সব সমস্যা মিটে গেছে -- এমনটা বলার সময় এখনো আসেনি৷''

ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমরা যে সমস্যা থেকে শিক্ষা নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে, রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ একটি ইউরোপের স্বপ্ন দেখছি, নতুন চুক্তি স্বাক্ষর তারই একটা উদাহরণ৷''

চুক্তিতে সই করেনি ব্রিটেনছবি: Reuters

জার্মান চ্যান্সেলরের মতো সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি'র প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি৷ ইটালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই প্রধান বলেছেন তৃপ্ত হওয়ার সময় এখনো আসেনি৷ শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া তাঁর বক্তব্যে দ্রাঘি, ম্যার্কেলের মতোই বলেন যে, পরিস্থিতি এখনো ভঙ্গুর৷

তবে ইইউ প্রেসিডেন্ট হ্যার্মান ফন রম্পয় মনে করছেন, নতুন চুক্তি ইউরোপের প্রতি সারা বিশ্বের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনবে৷

কিন্তু ইইউ নেতাদের এই স্বস্তি বোধ হয় ক্ষনিকের জন্য৷ কেননা হল্যান্ড আর স্পেনের অর্থনীতি নিয়ে যে পরিসংখ্যান বেরিয়েছে তাতে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ কেননা যে দুটি দেশ গ্রিসের কট্টর সমালোচক ছিল, তাদের অর্থনীতিতেই গ্রিসের ছায়া দেখা যাচ্ছে৷ হল্যান্ডের এ বছরের বাজেট ঘাটতি ধারনার চেয়েও বেশি হারে বাড়বে বলে জানানো হয়েছে৷ তাই সঙ্গে সঙ্গেই এর সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় কমিশন৷

এদিকে স্পেন বলে দিয়েছে, এবছর ইইউ'র সিদ্ধান্ত মানা সম্ভব নয়৷ সিদ্ধান্তটা হচ্ছে, একটা দেশের সর্বোচ্চ বাজেট ঘাটতি তার জিডিপি'র ৪.৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, এর বেশি নয়৷ কিন্তু স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী এ বছরের জন্য যে বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করেছেন সেটা হচ্ছে ৫.৮৷ অর্থাৎ ইইউ'র লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি৷ স্পেন বলছে, ২০১১ সালে বাজেট ঘাটতি ছিল ৮.৫১ শতাংশ৷ সেখান থেকে এক লাফে ৪.৪ শতাংশে নেমে যাওয়াটা সম্ভব নয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ