২০১৫ সালে জার্মানিতে নোট জাল করার অপরাধের সংখ্যা বাড়ে ৪২ শতাংশ৷ কর্তৃপক্ষ বলছেন, একদিকে যেমন জাল নোটের মান আরো ভালো হয়েছে, অন্যদিকে তেমন অনলাইন বিক্রিবাটা বেড়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ফেডারাল ক্রিমিনাল পুলিশ বা বিকেএ তাদের সর্বাধুনিক রিপোর্টে জানিয়েছে যে, ২০১৫ সালে টাকা জাল করা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা ছিল ৮৬,৫০০ - যা কিনা ২০১৪ সালের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি৷ বলতে কি, ২০১১ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ডবলের বেশি৷
২০১৫ সালে মোট এক লাখ বারো হাজার ভুয়ো নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়: এই সব নোটের আপাত মূল্য ছিল ৫৫ লাখ ইউরো৷ ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ধরা পড়া জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ৪৮ শতাংশ৷ এর প্রায় অর্ধেকই ছিল ৫০ ইউরোর নোট – জার্মানিতে; ইউরোপীয় ইউনিয়নে জাল ২০ নোটের সংখ্যাই বেশি৷ জার্মানিতেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০ ইউরোর জাল নোট – ৩৭ শতাংশ৷ বিকেএ-র একমাত্র ভালো খবর হলো, এক ইউরো কিংবা তার বেশি মূল্যের কয়েন বা মুদ্রা জাল করা কমেছে, অন্তত ধরা পড়েছে – প্রায় ২৫ শতাংশ কম৷
Customs: Tracking down counterfeit goods
04:58
বিকেএ-র মতে জাল ইউরো নোটের পরিমাণ বাড়ার একটি কারণ হলো ‘‘ডার্ক নেট'' বা গোপন ইন্টারনেট-এর বাজার৷ এই ডার্ক নেটে শুধু জাল নোটই নয়, সেই সঙ্গে নোট জাল করার মালমশলা, পদ্ধতি, এমনকি হলোগ্রাম, সবই কিনতে পাওয়া যায়৷ জালিয়াতরা মাইক্রো-প্রিন্টিং বা কাগজের ‘ট্যাকটাইল' অনুভূতিও জাল করতে সক্ষম৷ অধিকাংশ উচ্চমানের জাল নোট দৃশ্যত তৈরি হয় পূর্ব ও দক্ষিণ ইউরোপে, বিশেষ করে ইটালিতে৷
২০১৫ সালে অধিকাংশ জাল নোট আবিষ্কৃত হয় ব্যাংক অথবা ক্যাশ-ইন-ট্র্যানজিট সংস্থাগুলিতে৷ কাজেই সাধারণ মানুষ এই জাল নোটগুলি চিনতে পারেন না, বলে বিকেএ-র ধারণা৷ অথচ দৃশ্যত এই সব জাল নোটের অধিকাংশ খালি চোখেই ধরতে পারা যায়৷
এসি/ডিজি (এএফপি, ডপিএ, রয়টার্স)
বাংলাদেশের মতো জার্মানিতেও জাল নোট? ভাবা যায়? লিখুন আপনার মন্তব্য, নীচের ঘরে৷
তথ্য গোপন রাখার সাতটি সহজ উপায়
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা৷ ফোর্বস জানাচ্ছে কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷ আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে৷ এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷ এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷ বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন৷
ছবি: Sergey Nivens - Fotolia.com
নামে ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
ছবি: AFP/Getty Images
ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেয়া
অচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
ছবি: AP
ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Bozoglu
‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুন
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি ‘অ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন৷