1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০১২

১২ মে ২০১২

স্পেন আজ ফুটবলের ক্লান্ত রাজা৷ ইটালির হাতেও অতীতের দেল পিয়েরো, তত্তি কি নেস্তা’র মতো তারকা নেই৷ অথচ দুই দেশ একই গ্রুপে৷ নক-আউট পর্যায়ে আবার জার্মানি কি নেদারল্যান্ডস’এর ধাক্কা সামলাতে হবে৷

12/11/2011 Friendly football match - England v Spain Spanish midfielder Xavi (Xavier Henrnandez). Photo: Mark Leech.
ছবি: picture alliance/Mark Leech/Offside

স্পেন কিন্তু এবার ইতিহাস গড়ার সুযোগ পাচ্ছে৷ তারা ইউরো ২০০৮ জিতেছে, এবং তার পরেই জিতেছে ২০১০'এর বিশ্বকাপ৷ এবার যদি তারা ইউরো ২০১২'র মতো একটি মুখ্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জিততে পারে, অর্থাৎ পর পর তিনটি এই পর্যায়ের খেতাব, তাহলে সেটা হবে ফুটবলের ইতিহাসে একটা রেকর্ড৷ সাবেক পশ্চিম জার্মানি ১৯৭২'এ ইউরো এবং ১৯৭৪'এ বিশ্বকাপ জেতার পর সেরকমই একটা সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু ১৯৭৬'এ চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে হেরে ত্রিমুকুট জেতার সম্ভাবনা খোয়ায়৷

স্পেনের কোচ ভিনসেন্ট দেল বস্কে'র দল এবারও ফাইনাল অবধি যাবার আশা করতে পারে৷ তার সহজ কারণ হল এই যে, দলের মুখ্য খেলোয়াড়রা পরস্পরের নাড়ি-নক্ষত্র চেনে৷ এবং তাদের অভিজ্ঞতার কোনো কমতি নেই৷ তবুও ‘লা রখা' বা ‘লাল'দের' মূল সমস্যা হবে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি৷ কারণ বিগত কয়েক বছরের সাফল্যের জন্য তাদের পরিশ্রম করতে হয়েছে, স্নায়বিক চাপ সহ্য করতে হয়েছে৷

গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেনছবি: AP

বার্সেলোনার সাবি হের্নান্দেজ'কেই ধরা যাক, দলের প্রাণপুরুষ৷ গত চার বছর ধরে মরশুমে প্রায় ৭০টা গেম খেলছেন সাবি৷ সঙ্গে আছে টেন্ডনের সমস্যা৷ এ'ক্ষেত্রে সাবি একাই নন, দলের অনেকেই অতিরিক্ত মাইলেজে ভুগছেন৷ আর আছে চোট৷ দল যে ক্যাপ্টেনের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে থাকে, সেই কার্লোস পুইয়ল হাঁটুর সমস্যা নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ৷ জাতীয় দলের চিরকালের গোল-গেটার দাভিদ ভিয়া ডিসেম্বরে পা ভাঙার পর থেকে আর খেলেননি৷

কাজেই কি ধরণের দল তৈরী করবেন দেল বস্কে? ফরোয়ার্ডে ফের্নান্দো টরেস ফর্মে নেই, কাজেই রবের্তো সোলদাদো আর ফের্নান্দো লোরেন্তে'কে দিয়ে কাজ চালাতে হবে৷ ডিফেন্সে সের্জিও রামোস সম্ভবত পুইয়ল'এর জায়গা নেবেন৷ গ্রুপ ‘সি'-তে ইটালি ছাড়া শুধু আয়ারল্যান্ড আর ক্রোয়েশিয়ার মহড়া নিতে হবে, সেটাই যা বাঁচোয়া৷

ছয় বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ের পর ইটালির আর কোন সাফল্য নেইছবি: AP

ইটালি'কে কখনোই খরচার খাতায় ফেলা যায় না

ইটালিতে আবার ম্যাচ-ফিক্সিং কেলেঙ্কারি চলেছে৷ সে তো ছ'বছর আগেও চলেছিল৷ ইটালির জাতীয় দল ‘আজুরি'-রা তখন জার্মানি যাচ্ছে বিশ্বকাপ খেলতে৷ সে বিশ্বকাপে পেনাল্টি শুটআউটে ফ্রান্সকে হারিয়ে ঠিকই জেতে ইটালি৷ লোকে বলে, ফুটবলে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি মাথা চাড়া দিলেই নাকি ইটালির জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আরো সংহতিবদ্ধ হয়ে ওঠে৷

মুশকিলটা অন্য জায়গায়: আলেস্সান্দ্রো দেল পিয়েরো, ফ্রান্চেস্কো তত্তি কি আলেস্সান্দ্রো নেস্তা'র মত প্লেয়াররা বিদায় নেওয়ার পর ইটালিতে ওয়ার্ল্ড ক্লাস বলার মতো আর খুব বেশি খেলোয়াড় নেই৷ কোচ পিরান্দেল্লি'র হাতে হালের প্রতিভা বলতে আন্তোনিও কাসানে আর মারিও বালোতেল্লি আছে৷ গোলে স্বভাবতই জিয়ানলুইজি বুফন, যাকে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের মধ্যে ফেলা যায়৷ বুফন'এর সামনে ব্যাকে হয়তো য়ুভেস্তুস'এর আন্দ্রেয়া বার্জাগ্লি, লিওনার্দো বোনুচ্চি ও জর্জো চিয়েল্লিনি'র মধ্যে কোনো দু'জন৷ মাঝমাঠে আবার ‘য়ুভে' থেকে আন্দ্রেয়া পির্লো, আর তার পাশে ক্লাউদিও মার্চিসিও৷

ইটালির গোলরক্ষক বুফনছবি: dapd

স্পেন যে গ্রুপে আছে সেখানে অন্য কোনো দলকে ফেবারিট বলাটা বাতুলতা৷ শুধু ইটালিকে খরচের খাতায় ফেলার মতো ভুল না করলেই হল৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি)
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ