1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০২৪: ইনজুরি টাইমের গোলে ড্র করলো জার্মানি

২৪ জুন ২০২৪

সুইজারল্যান্ডকে হারাতে পারলো না জার্মানি। তবে ইনজুরি টাইমে গোলে ড্র করে গ্রুপ শীর্ষে পৌঁছে গেলো তারা।

গোল করার পর ফুলক্রুগের হাসি।
ইউরো কাপ ২০২৪-এ তার দ্বিতীয় গোলটি করলেন ফুলক্রুগ। ছবি: Markus Ulmer/Pressebildagentur ULMER/picture alliance

খেলার শুরু থেকে জার্মানির দাপট ছিল। একের পর এক আক্রমণ উঠে আসছিল সুইজারল্যান্ডের বক্সে। তিন মিনিটেই অসাধারণ পাস দিয়েছিলেন মুসিয়ালা। কিন্তু সুইস ডিফেন্ডাররা সেই বলের দখল নিয়ে নেন। মুসিয়ালা ও উইর্ৎজ জায়গা বদল করে বিভ্রান্ত করছিলেন সুইজারল্যান্ডকে।

তা সত্ত্বেও প্রথমার্ধের গোলে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ফ্রিউলারের ক্রস থেকে গোল করেন এনডোয়ে।  এরপরই তার একটি শট বাইরে যায়।

এরপর সুইজারল্যান্ড বেশ কয়েকবার আক্রমণে ওঠে। কোনোক্রমে তা সামাল দেন জার্মান ডিফেন্ডারেরা। জার্মানিও সমানে আক্রমণ করছিল। তবে সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্স তখন দুর্ভেদ্য। জার্মানির আক্রমণ বক্সে গিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। অবশ্য একবার আন্দ্রিচের একটি দূরপাল্লার শট গোলরক্ষকের সামনে পড়ে গোলে ঢুকে যায়। কিন্তু ভিডিও দেখার পর রেফারি জানান, ওটা গোল নয়, তার আগেই ফাউল হয়েছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়ে। তবে ৭০ মিনিটে সুইজারল্যান্ড আবার জার্মানির গোলে বল ঢুকিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। পরপর কয়েকটি আক্রমণ করে সুইজারল্যান্ড।

প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ছবি: Thilo Schmuelgen/REUTERS

৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর যখন ইনজুরি টাইমের খেলা চলছে, তার তিন মিনিটের মাথায় হেডে গোল করেন ফুলক্রুগ। বলা যেতে পারে, ইউরো ২৪-এর এখনো পর্যন্ত মোমেন্ট অফ দ্য টুর্নামেন্ট। জার্মানির সমর্থকরা এই গোলটা মনে রাখবেন। জার্মানির হেড কোচ নাগেলসম্যান বলেছেন, ;;আমার মনে হয়, এটা ঠিক ফলই হয়েছে। আমরা যোগ্য দল হিসাবেই গ্রুপের শীর্ষে আছি।''

গোটা ম্যাচে জার্মানি গোলে ১৮টা শট মেরেছে, সুইজারল্যান্ড মেরেছে চারটি। ৬০ শতাংশ সময় জার্মানির দখলে বল ছিল।

২০১৬-র পর

২০১৬ সালে শেষবার জার্মানি কোনো প্রধান টুর্নামেন্টে গ্রুপের শীর্ষ থাকলো। শেষ ম্যাচে তারা জিততে পারেনি ঠিকই, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা অপরাজিত আছে।

এটা ঠিক, জার্মানি গ্রুপ পর্যায়ে তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েছে। কিন্তু সাত মাস আগে তারা তুরস্ক ও অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছে, তখন ফল অন্যরকম হয়েছিল।

এদিন ম্যাচের শেষে জার্মানির হয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকরা যেভাবে গলা ফাটিয়েছেন, তা দেখে মনে হয়েছে, তারা এই টিমের উপর ভরসা রেখেছেন।

ফুলক্রুগ জার্মানিকে 'মোমেন্ট অফ  টুর্নামেন্ট; উপহার দিয়েছেন, এবার নক আউট স্টেজে জার্মানি কতটা এগোতে পারবে সেটাই দেখার।

জোনাথন হার্ডিং/জিএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ