1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইঞ্জিনের গোলযোগেই ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান

২ জুলাই ২০২৫

সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের দিয়ে একটি তদন্ত করানো হয়। সেই রিপোর্টে ইঞ্জিন গোলযোগের কথাই বলা হয়েছে।

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাছবি: Ajit Solanki/AP/dpa/picture alliance

সপ্তাহখানেক আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার জন্য টেক অফ করেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ড্রিম লাইনার বিমান। ২৪২ জন যাত্রী এবং কর্মীর মধ্যে মাত্র একজন ওই বিমান থেকে বেঁচে ফিরেছেন। টেক অফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রানওয়ের অদূরে একটি প্রতিষ্ঠানে ভেঙে পড়ে বিমানটি। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ব্যুরো (এএআইবি) ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে একটি তদন্ত শুরু করেছে। যার রিপোর্ট এখনো সামনে আসেনি। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের দিয়ে আরেকটি সমান্তরাল তদন্ত সংগঠিত করা হয়েছিল। যেখানে একটি ফ্লাইট সিমিউলেটরে ওই ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও তার বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। 

জানা গেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ এর যে বিমানটি ভেঙে পড়ে, হুবুহু সেই বিমানটির অনুকরণেই সাজানো হয়েছিল একটি ফ্লাইট সিমিউলেটর। ভেঙে পড়া বিমানটির প্রতিটি বিষয় ধরা হয়েছিল ওই সিমিউলেটরে। যে পাইলটেরা এই তদন্তটি করেছেন, তারা জানিয়েছেন, টেক অফের মুহূর্তে বিমানটির দু'টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গেছিল। যে পাইলটেরা ওই বিমানটি চালাচ্ছিলেন, তারা তা বুঝতে পেরেই সময় নষ্ট না করে 'মে ডে' কল দেন। শুধু তা-ই নয়, বিমানের ইঞ্জিন বিকল হলে যে বিশেষ আপৎকালীন টার্বাইন ব্যবহারের কথা, তা-ও তারা ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই টার্বাইন বিমানটিকে ওড়াতে পারেনি। সামান্য উড়ান নিয়েই তা ভেঙে পড়ে রানওয়ের ঠিক বাইরে। 

যে পাইলটেরা এই তদন্ত করেছেন, তারা জানিয়েছেন, ওই দুর্ঘটনায় পাইলটদের দোষ ছিল, এমন কোনো তথ্য তাদের হাতে আসেনি। ভেঙে পড়ার মুহূর্তে ল্যান্ডিং গিয়ার যে অবস্থায় ছিল, ডানার ফ্ল্যাপ যে জায়গায় ছিল, তা থেকে স্পষ্ট, বিমানের ইঞ্জিন কাজ করছিল না। ফলে টেক অফের সময় পাইলটেরা যে কম্যান্ডগুলি দিচ্ছিলেন, তা কাজ করছিল না। 

জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির ইঞ্জিন
১২ জুন বোয়িংয়ের যে বিমানটি আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ে, তার ইঞ্জিন তৈরি করেছে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি। কেন টেক অফের সময় বিমানের দু'টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সাধারণত এমনটা ঘটে না। একই সঙ্গে বিমানের দু'টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল, তা-ও টেক অফের মুহূর্তে, এমন ঘটনা বিরল। এবিষয়ে বোয়িংকে জিজ্ঞাসা করা হলেও, তারা কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। সরকারিভাবে এএআইবি যে তদন্ত করছে, সেখানেও বোয়িং যথেষ্ট সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উল্লেখ্য, ওই বিমান দুর্ঘটনার পরেই বোয়িংয়ের একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। বোয়িংয়ের এক কর্মী বছর দশেক আগে বেশ কয়েকটি ড্রিমলাইনার বিমানের বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওই প্রতিটি বিমানই ত্রুটিপূর্ণ। বছর দশেকের মধ্যে ওই বিমানগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। যদিও সে সময় ওই রিপোর্ট ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বস্তুত, ওই রিপোর্টের দশ বছরের মাথাতেই আমদাবাদের দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কী সেই রিপোর্টে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কথাই বলা ছিল? বিশেষজ্ঞ মহলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

আমদাবাদের দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ সে সময় পাইলটদের ভুলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সিমিউলেটরে যে পাইলটেরা ওই ঘটনার তদন্ত করেছেন, তাদের রিপোর্টে স্পষ্ট, পাইলটদের পক্ষে যায়া ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব ছিল, তারা তার সবটাই নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সিমিউলেটরে করা এই তদন্ত সামগ্রিক তদন্তে গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ