বিশ্বের অনেক প্রান্তে মানুষ বহুকাল ধরে গুহার মধ্যে বসবাস করেছে৷ ইটালির একটি অঞ্চলে এমন পরিত্যক্ত গুহাগুলিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে৷ গুহার মূল রূপ ও সরঞ্জাম যতটা সম্ভব অক্ষত রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ইটালির দক্ষিণে পাহাড়ের উপর মাটেরা শহর তথাকথিত ‘সাসি' বা গুহার মধ্যে বসতির জন্য বিশ্ববিখ্যাত হয়ে উঠেছে৷ অতীতে গরিব চাষিরা সপরিবারে সেখানে বসবাস করতেন৷ এখন এমন গুহা সারা বিশ্বের পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে৷
এমন বসতি সংরক্ষণ করতে ডানিয়েলে কিলগ্রেন ১৮টি গুহার সমন্বয়ে বিলাসবহুল এক হোটেল গড়ে তুলেছেন৷ হোটেলের প্রাতরাশের ঘরটি এককালে গুহার নিজস্ব গির্জা ছিল৷ কিলগ্রেন বলেন, ‘‘সংরক্ষণের কাজ আমাদের জন্য ছিল অত্যন্ত জরুরি৷ সবকিছু অক্ষত রাখাই ছিল উদ্দেশ্য৷ এমনকি মেঝে না থাকলে আমরা মৌলিক উপাদান দিয়ে তা মেরামত করেছি৷’’
আধুনিক যুগেও গুহায় বসবাস!
02:58
দরজা ও ছোট জানালা দিয়ে ভিতরে আলো প্রবেশ করে৷ দেওয়াল, ছাদ ও মেঝে নরম বেলেপাথর ও চুনাপাথর দিয়ে তৈরি৷ হাতে গোনা আসবাবপত্রগুলিও অতীতের বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া৷ প্রতিটি ঘরে ডিজাইনার বাথটবই একমাত্র ব্যতিক্রম৷ কিলগ্রেন বলেন, ‘‘এখানকার বাথরুমই আমাদের অন্যতম বড় কুকর্ম৷ গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত গুহার মধ্যে পানির সরবরাহ ছিল না৷ কিন্তু হোটেলে পানি ও বাথরুমের প্রয়োজন তো থাকেই৷ যেখানে সম্ভব আমরা গুহার মধ্যে ছড়ানো পুরানো আমলের আধারগুলিকে বেসিন হিসেবে ব্যবহার করেছি৷’’
পাশের গুহাগুলিরও সংস্কার করতে চান ডানিয়েলে৷ তবে সব গুহাকে হোটেলের ঘর হিসেবে কাজে লাগাতে চান না তিনি৷ সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে সেগুলি সুরক্ষিত রাখাই তাঁর উদ্দেশ্য৷ কিলগ্রেন বলেন, ‘‘আমার আশা, অদূর ভবিষ্যতে সুন্দর সব প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগীরা আসরে নামবে৷ তারা হয়তো আমাদের থেকেও ভালো কাজ করবে৷ কারণ ইটালিতে প্রায় ২,০০০ পরিত্যক্ত গ্রাম রয়েছে৷ সেখানে পর্যটনের ব্যবস্থা করে অর্থনীতি চাঙ্গা করে তোলা সম্ভব৷ তরুণ প্রজন্ম, এমনকি বয়স্করাও সেই সব বিচ্ছিন্ন জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছে৷’’
গুহার মধ্যে থাকার অভিনব অভিজ্ঞতার আকর্ষণে এমনকি শীতকালেও পর্যটকরা মাটেরায় আসেন৷ তখন শহরের আদি রূপ আরও স্পষ্ট হয়ে যায়৷
মিশায়েল/গেসনার/এসবি
পাহাড়-পর্বতকে নিয়ে তোলা বছরের সেরা আলোকচিত্র
আগ্নেয়গিরি, গুহা, বরফে ঢাকা পাহাড়ের চুড়া: এ বছরের ‘ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেইন সামিট ফটো কনটেস্ট’ বা আন্তর্জাতিক পর্বতশৃঙ্গ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার ছবিগুলো দেখলে তক্ষুণি ট্রেকিংয়ে যেতে ইচ্ছে করে৷
ছবি: Sergio Tapiro Velasco/IMSPC17
মাউন্টেইন ফটো অফ দ্য ইয়ার
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মেক্সিকোর কলিমা আগ্নেয়গিরিতে যখন বিস্ফোরণ ঘটে, সের্গিও তাপিরো ভেলাস্কো সেখান থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে ছিলেন৷ প্রচণ্ড একটা আওয়াজ, আকাশে ছাইয়ের মেঘ আর আগ্নেয়গিরির ঢাল বেয়ে লাভার স্রোত: ভেলাস্কো দৃশ্যটিকে তাঁর ক্যামেরায় ধরে রেখে এবার বছরের সেরা পাহাড়ের ছবির পুরস্কার পেয়েছেন৷
ছবি: Sergio Tapiro Velasco/IMSPC17
মাউন্টেইন অ্যাকশন
ভোরের আলো ফোটার আগে উঠে, অস্ট্রিয়ার আর্লব্যার্গে পাহাড়ের ঢালে স্নোবোর্ডারদের কেরামতির এই ছবিটি তোলেন প্যাট্রিক স্টাইনার৷
ছবি: Patrick Steiner/IMSPC17
মানুষটা কে?
ইটালির ডলোমাইট পর্বতমালায় পাহাড়, মেঘ আর কুয়াশার এই ফটোটি তোলেন ইওনা সালকার৷ কথা হলো, অতল খাদের মুখে দাঁড়িয়ে কি এক মানুষ, না একটি স্তম্ভ? সালকার ‘পর্বত প্রকৃতি বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ‘প্রকৃতির খেলায় নিত্য নতুন আঙ্গিক’ তুলে ধরার জন্য৷
ছবি: Jona Salcher/IMSPC17
বাদুড় ঝোলা
ভিয়েনা থেকে আসা স্ল্যাকলাইনাররা অস্ট্রিয়ার পাইলস্টাইনে বাদুড়ঝোলা হয়ে আছেন: ছবিটি ‘টিম স্পিরিট’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে৷ আলোকচিত্রী সেবাস্টিয়ান ভালহ্যুটার বলেছেন, দেখে নাকি তাঁর তিব্বতে শালু ঝোলানোর কথা মনে পড়েছে৷
ছবি: Sebastian Wahlhuetter/IMSPC17
স্টকনেসের রাত্রি
মাউরিৎসিও কাসুলা আইসল্যান্ডে তাঁর প্রথম সফরে স্টকনেসের মাউন্ট ক্লিফাটিন্ডুরে এই ছবিটি তোলেন৷ এ ছবিই ‘পাহাড় ও পানি’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার জয় করেছে৷
ছবি: Maurizio Casula/IMSPC17
মাউন্টেইন মোবাইল
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা পাহাড়ের ছবি ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেইন সামিট প্রতিযোগিতায় একটি নতুন বিভাগ৷ ক্রিস্টিনে ট্রেবো ইটালির ডলোমাইট পর্বতমালায় তাঁর স্মার্টফোন দিয়ে এই ছবিটি তুলে নতুন বিভাগে প্রথম বিজয়ী হয়েছেন৷
ছবি: Chistine Trebo/IMSPC17
পাহাড়ের মুখ
বিভাগটির নাম ‘মাউন্টেইন ফেসেস’৷ নেপালে ট্রেকিং করতে গিয়ে এক নেপালি কিশোরের ছবিটি তোলেন আন্টন ইয়ানকোভি৷
ছবি: Anton Yankovoy/IMSPC17
মাউন্টেইন অ্যাকশন বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার
পাহাড়ে তারের ওপর ব্যালান্স করার ছবিটি তুলেছেন স্টেফান শ্লুম্ফ৷
ছবি: Stefan Schlumpf/IMSPC17
টিম স্পিরিট বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার
মাউরো গাম্বিকর্তির ছবিতে একদল পর্বতারোহী বরফ সরিয়ে পথ করছেন৷
ছবি: Mauro Gambicorti/IMSPC17
মাউন্টেইন নেচার বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার
পর্বতের দিনরাত্রির স্বপ্নময় ছবিটি তুলেছেন মিশেল চিমিনি৷
ছবি: Michele Cimini/IMSPC17
মাউন্টেইন মোবাইল বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার
পাহাড় নয়, পাহাড়ে বাস করা কোনো উপজাতিক মানুষের ছবি৷ ছবিটি তোলেন কার্লোস নরিয়েগা৷
ছবি: Carlos Noriega/IMSPC17
মাউন্টেইন ওয়াটার বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার
বরফে ঢাকা পাহাড়ের ছবিটি তোলেন ফের্নান্দো মারেল্লি৷