1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালির গার্ডা হ্রদের নানা আকর্ষণ

শ্যারন ব্যারকাল/এসবি১৯ আগস্ট ২০১৬

ইটালির উত্তরে পাহাড়ে ঘেরা গার্ডা হ্রদ দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ৷ অথচ চিরকাল এমনটা ছিল না৷ তার উপর বিশেষ জিনের কারণে সেখানকার অনেক মানুষ দীর্ঘজীবী হয়৷

ইটালির গার্ডা হ্রদ
ছবি: DW

গার্ডা হ্রদ: যেখানে মানুষ বেশিদিন বাঁচে

03:58

This browser does not support the video element.

ইটালির উত্তরে গার্ডা লেকের আয়তন প্রায় ৩৭০ বর্গ কিলোমিটার৷ আলপ্স পর্বতের সীমানার পাহাড়ে ঘেরা হ্রদের উত্তর পাড়ের সৌন্দর্য রুক্ষ প্রকৃতি ও ছবির মতো গ্রামগুলির এক অসাধারণ মিশ্রণ৷ অন্যতম পরিচিত শহরের নাম লিমোনে সুল গার্ডা৷ গত শতাব্দীর বিশের দশক পর্যন্ত শুধু নৌকায় চেপে জেলেদের এই গ্রামে যাওয়া যেত৷

প্রাক্তন আইসক্রিম বিক্রেতা ফ্রাংকো উসারডি সারা জীবনই লিমোনে শহরে কাটিয়েছেন৷ ৭৬ বছর বয়স্ক এই মানুষটি পর্যটকদের প্রথম ঢলের কথা এখনো মনে করতে পারেন৷ ‘‘১৯৩২ সালে মুসোলিনি যখন গার্ডেসেনা নামের পাড়ের রাস্তা তৈরি করিয়েছিলেন, তখনই পর্যটনের উন্নতি শুরু হলো৷ আগে যেখানে লেবুর বাগান ছিল, পঞ্চাশের দশকে সেখানে হোটেল তৈরি শুরু হলো৷''

লিমোনে সুল গার্ডা নাকি পৃথিবীর উত্তরতম প্রান্ত, যেখানে লেবু গজায়৷ কিছু প্রাচীন লেবুর ঝোপ এখনো দেখা যায়৷ লেবু ছাড়াও সেখানকার আকর্ষণ হ্রদের মাছ৷ ভোরেই নানা রকমের মাছ ধরা হয়৷ গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিশেষ এক জিন শনাক্ত করা হয়, যা তাদের দীর্ঘ আয়ুর কারণ৷ খাদ্যাভ্যাস কি তার অন্যতম কারণ? ফ্রাংকো উসারডি-র ছেলে মারিও বলেন, ‘‘তাঁর রক্তে আরও একটি জিন খুঁজে পাওয়া গেছে, যা রক্ত থেকে ফ্যাট তুলে নেয়৷ ফলে ধমনী ও শিরায় রক্ত সহজেই চলাচল করতে পারে৷ এতে করে আল্সহাইমার বা হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যায়৷ এখন গোটা লিমোনে শহরে এবং সম্ভবত গোটা বিশ্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে এই জিন-বিকৃতি দেখা যায়৷''

গার্ডা লেকের উত্তর প্রান্তে অতিথিরা আজ আর শুধু তরুণ ইটালীয়দের টানে আসেন না৷ বিশেষ ধরনের বাতাসের কারণে হ্রদটি সার্ফার ও নৌকাচালকদের স্বর্গ হয়ে উঠেছে৷ কেবেল কার-এ চেপে লেকের অপর প্রান্তে মন্টে বালডো পাহাড়ে চলে যাওয়া যায়৷ বছরে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রিজ বা ঢাল দেখতে আসেন৷ অথবা বাতাস কাজে লাগিয়ে প্যারাগ্লাইডিং করেন৷

কেবেল কার কোম্পানির কর্মী পাওলো ফরমাজোনি বলেন, ‘‘এই কেবেল কার ইউরোপের অন্যতম সুন্দর গার্ডা লেক থেকে প্রায় ১,৮০০ মিটার উঁচুতে মন্টে বাল্ডো-য় যায়৷ শূন্য থেকে ১,৮০০ মিটার, মন্টে বাল্ডোর ইউরোপীয় বাগানে৷''

মন্টে বাল্ডো পাহাড়ের পাদদেশে মালচেসিনে শহর৷ লিমোনে সুল গার্ডা-র পরেই উত্তর পাড়ের অন্যতম পরিচিত শহর৷ মধ্যযুগীয় ছোট্ট শহরটিকে ‘গার্ডা লেকের মুক্তো' বলা হয়৷ বিখ্যাত জার্মান কবি-সাহিত্যিক ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটে অষ্টাদশ শতাব্দীতেই তাঁর ‘ইটালি ভ্রমণ' বইয়ে শহরটিকে অমর করে দিয়েছেন৷

মালচেসিনে শহরের মাঝে চতুর্দশ শতাব্দীর স্কালিগার কেল্লায় গোটা এলাকার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়৷ প্রথম জার্মান পর্যটক হিসেবে সেখানে গ্যোটে-র জন্য আলাদা ফলক শোভা পাচ্ছে৷ ভিটোরিও ডাপ্রেটো বলেন, ‘‘তখন তো ক্যামেরা ছিল না৷ তাই তিনি একেঁছেন, স্কেচ তৈরি করেছেন৷ লোকে ভেবেছিল, তিনি একজন গুপ্তচর এবং তাঁকে কেল্লার কারাগারে পুরে দিতে চেয়েছিল৷ মালচেসিনে শহরের একজন মানুষ ফ্রাংকফুর্ট শহরে এক রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছিলেন৷ তিনিই জানালেন, যে গ্যোটে অত্যন্ত বিখ্যাত এক কবি৷ তখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ তখন বন্দরে থাকতেন তিনি৷''

মালচেসিনে শহরে সন্ধ্যা নামলে এক জাদুময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ এর টানেই শত শত বছর ধরে মানুষ এখানে আসছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ