জার্মানির বার্লিনালে
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২প্রায় ৫০ বছর ধরে ছবি করছেন৷ ছবির সংখ্যা ২০-এর বেশি৷ মহান ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের ‘জুলিয়াস সিজার' নাটকটি একটি কারাগারে মঞ্চস্থ হচ্ছে: এই হল তাভিয়ানি'দের আধা-তথ্যচিত্রের উপজীব্য৷
পুরস্কার এর আগেও পেয়েছেন তারা৷ ১৯৭৭ সালে তাদের ‘‘পাদ্রে পাদ্রোনে'' ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন পাম জেতে৷ তার প্রায় এক দশক পরে তাভিয়ানি'রা ভেনিসে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে গোল্ডেন লায়ন পান৷
‘সিজারকে মরতে হবে' ছবিতেও কখনো পাওলো, কখনো ভিত্তোরিও পরিচালনা করেছেন: অন্য সতীর্থের তখন কথা বলার অধিকার নেই৷ ‘তবে টাকাটা আমরা ভাগাভাগি করে নিই,' ঠাট্টা করে বলেছেন ভিত্তোরিও৷
কারাগারের পরিবেশ নাকি তাদের শেক্সপীয়ারের নাটকের শক্তি সম্পর্কে নতুন করে সচেতন করে তুলেছে৷ নাটকের অভিনেতারা সবাই ছিল রোম'এর সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগার রেবিব্বিয়া'র বন্দি৷ নাটকেও তারা সবাই যে যার নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছে৷ তাভিয়ানি ভাইরা ছ'মাস ধরে তাদের রিহার্সাল দিতে দেখেছেন৷ দাগী আসামীদের সঙ্গে প্রায় বন্ধু হয়ে পড়েছেন৷
পাওলো'কে সবচেয়ে নাড়া দিয়েছে ব্রুটাস'এর চরিত্রের অভিনেতাটি৷ সে যেন সত্যিই তার খুনি চরিত্রের যন্ত্রণাটা অনুভব করতে পেরেছে, যা কোনো সাধারণ অভিনেতার পক্ষে করা সম্ভব নয়৷ ‘ব্রুটাস' নাকি তার নিজের অতীতটাকেই অনুভব করতে পারছিল৷ এই কারাগারের অভিনেতাদের সংলাপ দেওয়ার ভঙ্গিটাই নাকি অনেক বেশি আবেগপূর্ণ৷
এইভাবেই শেক্সপীয়ার, রোমের কারাগার আর বার্লিনের চলচ্চিত্র উৎসব এক সূত্রে বাঁধা পড়েছে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম