1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইটালি

ইটালির প্রধানমন্ত্রী দ্রাঘির ইস্তফা খারিজ প্রেসিডেন্টের

১৫ জুলাই ২০২২

আস্থা ভোটে জিতেও ইস্তফা দিলেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। গ্রহণ করলেন না প্রেসিডেন্ট।

২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে দ্রাঘি ইটালির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে দ্রাঘি ইটালির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।ছবি: Jean-Francois Badias/AP Photo/picture alliance

বৃহস্পতিবার ছিল ইটালির ইতিহাসে ঘটনাবহুল দিন। প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে জেতার পরেও ইস্তফা দেন। কারণ, তার শরিক দল ফাইভ স্টার মুভমেন্ট সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এরপরই দ্রাঘি জানান, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। কিন্তু দ্রাঘির ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট সের্গিও মাতারেলা জানিয়ে দেন, তিনি দ্রাঘির ইস্তফা গ্রহণ করবেন না।

প্রেসিডেন্ট কী বলেছেন?

প্রেসিডেন্ট একটি লিখিত বিবৃতি পড়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, দ্রাঘির ইস্তফা তিনি গ্রহণ করছেন না। দ্রাঘি যেন পার্লামেন্টে এসে একটি বিবৃতি দেন।

দ্রাঘি বৃহস্পতিবার সকালেই আস্থাভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু সরকারের শরিক ফাইভ স্টার মুভমেন্ট সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়।

পার্লামেন্টে ভোটের পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের দ্রাঘি বলেন, ''আপনাদের জানাতে চাই, আমি প্রেসিডেন্টের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিচ্ছি।'' ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রধান দ্রাঘি গত ১০ বছরের মধ্যে ইটালির ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

ফাইভ স্টার মুভমেন্টের মূল আপত্তি ছিল, দ্রাঘির দুই হাজার ছয়শ কোটি ডলারের প্যাকেজ নিয়ে। তাদের দাবি, এরপর বিদ্যুতের দাম প্রচণ্ড বেড়ে যাবে। তারা ভোটাভুটি বয়কট করে। দ্রাঘি ১৭২-৩৯ ভোটে জেতেন। কিন্তু ফাইভ স্টার মুভমেন্ট পরে সরকারের বিরোধিতা চালিয়ে গেলে এবং বিরুদ্ধে ভোট দিলে তখন পরিস্থিতি জটিল হতে বাধ্য।

দ্রাঘি জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় ঐক্য সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ফাইভ স্টার মুভমেন্ট সেই সরকারের শরিক ছিল। এখন তাদের ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকতে চান না।

প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত

প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে সাময়িকভাবে হলেও সংকট কাটলো। ইটালির ঋণের বোঝা মারাত্মক জায়গায় পৌঁছেছে, তার উপর এবার খরা হয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ফলে বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বেড়েই চলেছে।

দ্রাঘিকে এখন পার্লামেন্টে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বলতে হবে। তিনি যদি এমপি-দের বোঝাতে পারেন এবং আবার একটি আস্থাভোটে জিততে পারেন, তাহলে সরকার চলবে।

ফাইভ স্টার মুভমেন্ট সমর্থন তুলে নেয়ার পরেও দ্রাঘি আস্থাভোটে জিতেছেন। দেখা য়াচ্ছে, তার সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সমর্থন আছে। এই সমর্থন পেলে তার পক্ষে সরকার চালানোর কাজ সম্ভব। তার জন্য জোটের বাকি সব শরিককে পাশে পেতে হবে তাকে।

দ্রাঘি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ও ইটালি অ্যালাইভ পার্টির সমর্থন পেতে পারেন। আগের মতোই দ্রাঘির বিরোধিতা করবে ব্রাদার্স অফ ইটালি পার্টি। কিন্তু অতি-দক্ষিণপন্থি লিগ পার্টি কী করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ফাইভ স্টার মুভমেন্টের ভবিষ্যৎ কী হবে, তাও বোঝা যাচ্ছে না। কিছু পর্যবেক্ষক মনে করছেন, এখন ইইউ ও ইটালির কঠিন সময় চলছে। সেই সময় এমন একটা পদক্ষেপ নিয়ে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট বড় ঝুঁকি নিয়েছে। বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তের পর থেকে তারা ইটালিতে প্রবলভাবে সমালোচিত হচ্ছে। মুভমেন্ট ছেড়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাদা দল গঠন করেছেন। গত নির্বাচনে মুভমেন্ট ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, এখন ভোট হলে তারা ১১ শতাংশ ভোট পাবে।

জিএইচ/এসজিল(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ