ইটালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ডানপন্থি দল ব্রাদার্স অব ইটালির জর্জিয়া মেলোনি৷ শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ইটালিতে একটি কট্টর ডানপন্থি দল ক্ষমতায় এলো৷ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটির ৬৮তম সরকার প্রধান হলেন মেলোনি৷
তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্ত্রীসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন তিনি৷
এদিকে ইটালির নতুন এই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ তার সাথে গঠনমূলক সহযোগিতার আশা প্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আমরা এই মুহূর্তে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি তা মোকাবিলায় ইটালির নতুন সরকারের সাথে গঠনমূলক সহযোগিতা প্রত্যাশ্যা করছি৷’’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির ফরচা ইটালিয়া ও মাত্তেও সালভিনির লিগের সঙ্গে জোট বেঁধে গত মাসের জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় মেলোনির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী দল ব্রাদার্স অব ইটালি৷
শনিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইটালির প্রতি আস্থাশীল থাকার এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মেলোনি৷
তবে চলমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে কঠিন সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মন্দার হুমকি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে তৈরি হওয়া আন্তর্জাতিক রাজনীতির মোকাবিলা৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইটালির ক্ষমতায় আসা ডানপন্থি এই দলটি রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেক বেশি রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের৷ এর মধ্যে ভূমধ্যসাগার পাড়ি দিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং দেশটিতে থাকা অভিবাসীদের বিষয়টিও রয়েছে৷ নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন মেলোনি৷
আরআর/এফএস (এপি)
যে সুন্দরী প্রেসিডেন্টের জন্য অনেকেই ‘পাগল’
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট তিনি৷ তবে প্রেসিডেন্ট হবার আগে থেকেই কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বাড়তি মনযোগে৷ তাঁর যৌন আবেদনময় সুন্দর চেহারার জন্য এখনো অনেকেই ‘পাগল’৷
ছবি: Reuters/H. Romero
ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি এখন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ অবশ্য শুধু এইটুকু বললে তাঁর কৃতিত্ব আসলে বোঝানো হয় না৷ দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তিনি!
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার
২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক মন্ত্রী ছিলেন কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ তারপর ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ ২০১১ থেকে ২০১৪ – এই তিন বছর প্রথম নারী হিসেবে ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সি কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Samad
দেশের ক্ষমতার শীর্ষে
২০১৫ সালের ডিসেম্বরেই ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ তখনকার বিরোধী দলীয় ‘প্যাট্রিয়টিক কোয়ালিশন’, অর্থাৎ ‘দেশপ্রেমিক জোট’-এর সদস্যরা নির্বাচনে জয় লাভের পর তাঁকেই বেছে নেয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে৷ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/O. Andersen
দুর্নিবার আকর্ষণ
এক মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশেষ কিছু করে সবার মন জয় করা প্রায় অসম্ভব৷ তবে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তাঁর মোহনীয় রূপ এবং আকর্ষণীয় দেহবল্লরির সুবাদে দেশের সীমানার বাইরেও কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন৷ তাঁর রূপে মুগ্ধ হয়ে নাকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ক্রোয়েশিয়ার নাগরিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন!
ছবি: Getty Images/AFP/STR
পর্ন তারকা এবং ভুল
কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া জাগিয়েছিল কয়েকটি ছবি৷ বিকিনি পরা অনিন্দ্য সুন্দরীর ছবি দেখে সবাই ‘শেয়ার’ করা শুরু করলেন৷ পত্র-পত্রিকায় লেখা শুরু হয়ে গেল, ‘‘প্রেসিডেন্ট হয়েও বিকিনি পরে সমুদ্র অবগাহন করেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট!’’ অনেক পরে জানা গেল, ছবির সুন্দরীকে হুবহু কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচের দেখালেও তিনি আসলে একজন পর্ন তারকা! ওপরের ছবিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে কোলিন্ডা৷