তার নাম মারিয়া সোলে ফেরিয়েরি কাপুতি৷ ইটালির রেফারি এসোসিয়েশন বুধবার এই তথ্য দিয়েছে৷ ৩১ বছর বয়সি কাপুতিকে তার মেধার কারণে নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানান রেফারি এসোসিয়েশনের প্রধান আলফ্রেডো ত্রেনতালাঙ্গে৷ ‘‘আমরা কাউকে বিশেষ সুযোগ করে দেইনি৷ মারিয়া সোলে এটা অর্জন করেছেন,'' বলেন তিনি৷
গত মৌসুমে তৃতীয় বিভাগের ম্যাচ পরিচালনা করেছিলেন কাপুতি৷ এরপর এই জুলাই মাসে তাকে শীর্ষ রেফারিদের তালিকায় নিয়ে আসা হয়৷
পুরুষদের খেলায় নারী রেফারির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে৷ কাতার বিশ্বকাপে তিনজন নারী রেফারি ম্যাচ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন৷
নারী রেফারিদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্রাপার৷ তিনি ইতিমধ্যে পুরুষদের চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ, ফ্রান্সের লিগ ওয়ান ও বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ পরিচালনা করেছেন৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি)
এক সময় পুজোর ঢাক বাজাতেন কেবল পুরুষরা। এখন নারীরাও তাতে অংশ নিচ্ছেন। তেমনই কিছু নারীর কথা আমাদের ক্যামেরায়।
ছবি: Satyajit Shaw/DWকলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে এবার কাঁধে ঢাক নিয়ে নেমে পড়েছেন নারী ঢাকিরা। বছরকয়েক আগেও যা কল্পনা করা যেত না।
ছবি: Satyajit Shaw/DWতারা শুধু ঢাক বাজান না, ঢাকের তালে নাচেনও। বাংলা ঢাকের ঐতিহ্য মেনেই তারা কাঁধে ঢাক নিয়ে তৈরি করছেন নানা কোরিওগ্রাফ।
ছবি: Satyajit Shaw/DWগোকুলচন্দ্র দাস বাংলার নাম করা ঢাকি। ২০১০ সাল পর্যন্ত তারা ভাবতেই পারতেন না মেয়েরাও ঢাক বাজাতে পারে। ঢাক ছিল পুরুষদের যন্ত্র। কিন্তু বিদেশে গিয়ে তিনি দেখেন, দোকানে বসে ড্রাম বাজাচ্ছেন মেয়েরা। ওই নারীকে দেখে গ্রামের মেয়েদের কথা মনে পড়ে তার। ফিরে এসে মেয়েদের নিয়ে ঢাকের দল তৈরি করেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DWগ্রাম এবং পরিবারের মেয়েদের নিয়ে সেই যে দল তৈরি করেছিলেন গোকুল, এখন তা ভুবন বিখ্যাত।
ছবি: Satyajit Shaw/DWনারী ঢাকিরাও খুশি বাদ্যশিল্পে যুক্ত হতে পেরে। জীবনে যে কখনো তারা একাজ করতে পারবেন, ভাবেননি তারা।
ছবি: Satyajit Shaw/DWগোকুলের দলে এখন ছয়জন নারী ঢাকি আছে। তাদের অনেকেই এখনো পড়াশোনা করেন। কিন্তু সারা বছরই গোকুলের কাছে তারা ঢাক বাজানো শেখেন। শেখেন নানা বোল।
ছবি: Satyajit Shaw/DWশুধু গোকুল নন, কলকাতায় এখন বহু নারী ঢাকি ঢাক বাজাতে আসেন। বিভিন্ন গ্রামে তৈরি হচ্ছে নারী ঢাকিদের দল।
ছবি: Satyajit Shaw/DWএকসময় ঢাকিদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল। রোজগারের প্রয়োজনে ঢাকিরা অন্য কাজ বেছে নিচ্ছিলেন। এখনো অনেকেই সারাবছর অন্য কাজ করেন। কিন্তু পুজোর সময় ঢাক কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আগে ঢাকিরা খুব বেশি টাকা পেতেন না। ইদানীং টাকার অঙ্ক আগের চেয়ে বেড়েছে বলেই তারা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন।
ছবি: Satyajit Shaw/DWমেয়েদের প্রথম ঢাক বাজাতে দেখে অনেকেই মুখ ঘুরিয়েছিলেন। বহু পুজো মণ্ডপে তাদের বায়না দেওয়া হতো না। এখন নারী ঢাকিরা কলকাতার পুজোর অন্যতম থিম।
ছবি: Satyajit Shaw/DW