1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালি চায় না পারমাণবিক কেন্দ্র, গণভোটে শোচনীয় হার বার্লুসকোনির

১৪ জুন ২০১১

বার্লুসকোনির জন্য আবারও দুঃসংবাদ৷ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি নতুন করে চালু করার জন্য আয়োজিত গণভোটে তিনি জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন৷ এই ফলাফলের পর তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা৷

বার্লুসকোনিকে হারাতে প্রচার ছিল তুঙ্গেছবি: picture-alliance/dpa

গণভোটে বার্লুসকোনির বিরুদ্ধে ইটালি

আবার ব্যর্থতা ইটালির নানা সমস্যায় জেরবার প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির৷ গত শতকের আটের দশকে ইটালির বন্ধ করে দেওয়া পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিকে নতুন করে চালু করতে চেয়ে তিনি গণভোটের রাস্তায় হেঁটেছিলেন৷ নতুন করে বিদ্যুৎ সমস্যা মেটাতে তাঁর এই পরিকল্পনায় কিন্তু বিন্দুমাত্র সায় নেই ইটালির মানুষের৷ এবারের গণভোটে ৫৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন৷ সোমবার রাতে গণনা প্রায় শেষ হয়ে গেছে যখন তার আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, বার্লুসকোনির পালে হাওয়া নেই৷ কারণ, শতকরা প্রায় ৯৬ শতাংশ ভোটার মত দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধেই৷ অর্থাৎ ইটালি চায় না পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি ফের চালু হোক৷

কিছুটা ফুকুশিমার প্রভাব,বাকিটা বার্লুসকোনির ইমেজ

বিশেষজ্ঞদের একাংশ সেরকমই বলছেন৷ স্বভাবতই জাপানের সুনামি আর ভূমিকম্প পরবর্তী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির ভয়াবহ পরিণামের টাটকা ক্ষত স্পষ্টতই এই গণভোটে প্রভাব ফেলেছে৷ তবে ইটালির প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা এমনিতেই বেশ সমস্যায় রয়েছে তরুণী যৌনকর্মীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে ঘিরে৷ এর ওপর যোগ হয়েছে একাধিক বিষয়ে তাঁর ব্যর্থতা এবং অপরিণামদর্শী আচরণ৷

গণভোটের ফলাফল তখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তার আগেই সাধারণ মানুষের উচ্ছাস তুঙ্গে, কারণ বার্লুসকোনি পরাজিত হতে চলেছেন৷ছবি: dapd

বার্লুসকোনি : ব্যর্থতার পর

বার্লুসকোনি ইটালির মানুষের এই প্রত্যাখ্যানকে গ্রহণ করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, ইটালির সাধারণ মানুষ কী চায় তা তারা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের সেই প্রত্যাশাকে কোনভাবেই অবহেলা করা যাবেনা৷ আসলে শুধুই পারমাণবিক কেন্দ্র নয়, গণভোটে আরও ছিল বার্লুসকোনি সরকারের মন্ত্রীদের আইনের উর্ধ্বে নিয়ে যাওয়ার একটি প্রয়াসও৷ বলা বাহুল্য, সেই অযৌক্তিক ইচ্ছেতেও বাদ সেধেছেন ইটালির মানুষ৷ তাছাড়া এই গণভোটে বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণের ফলে এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে ইটালির মানুষ বার্লুসকোনিকে পছন্দ করছে না আর৷

বিরোধীরা চায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

বিরোধীরা এরকম সুযোগ অবশ্যই ছেড়ে দেবে না৷ এমনিতেই বার্লুসকোনির জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে তাঁর একাধিক মুখরোচক কেচ্ছার জন্য৷ তাঁর ব্যক্তিজীবন তার মধ্যে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে৷ তারপরে এই গণভোটের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যাওয়ার পর বিরোধী মহল বেশ নড়েচড়ে বসেছে৷ গত বেশ কয়েক বছরে অন্তত ১৬ টি গণভোটের সময়ে দেখা গিয়েছিল সেভাবে ইটালির মানুষ সাড়া দেয়নি সেগুলিতে৷ কিন্তু এই গণভোটের আগে থেকে বিরোধীরা এটিকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চেয়ে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য ব্যাপকহারে প্রচার শুরু করে৷ বিশেষ করে বিরোধী মধ্য বামপন্থী দলটি উঠেপড়ে লেগেছিল এই সুযোগ কাজে লাগাতে৷ ফলাফল দেখে সেই দলের নেতা পিয়েরলুইগি বার্সেনি অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন৷ যদিও তেমন কোন ইচ্ছে যে বার্লুসকোনির নেই, তাতে কোন সন্দেহ নেই কোন মহলেরই৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ