করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার কমছে ইউরোপে৷ ফলে লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল হচ্ছে৷ ধীরে ধীরে খুলছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং উপাসনালয়৷
ইতালি এবং ভ্যাটিকান লকডাউনের নিয়ম শিথিল করার অংশ হিসেবে গির্জা খুলে দিয়েছে৷ উচ্চ মৃত্যুহারের জন্য ইউরোপের মধ্যে সবার আগে লকডাউন করা দেশটিতে দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, বার খুলেছে৷ তবে পাশাপাশি নতুন সংক্রমনের খবরও আসছে৷ তাই জনসাধারণকে সব জায়গায় যে নিয়মগুলো মানতে হবে তা বিস্তারিতভবে জানিয়ে ১২০ পৃষ্ঠার এক পুস্তিকা প্রকাশ করেছে ইতালি সরকার৷
অন্যদিকে গত দুই মাসে প্রথমবারের মতো একদিনে একশ'রও কম মানুষ সংক্রমিত হয়েছে স্পেনে৷ ফলে ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় মারা যাওয়া দেশটিতেও দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, বার, স্কুল, উপাসনালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেওয়া হচ্ছে৷
এছাড়া মাঠে ফুটবলও গড়াতে শুরু করেছে৷ সোমবার থেকে ১০ জনের ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে স্প্যানিশ ক্লাবগুলো৷
এসিবি/কেএম (এসপি, রয়টার্স)
৬ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...
করোনা সংকটের মধ্যে কড়াকড়ি শিথিল হওয়ায় খুব ধীরে ধীরে ইউরোপের শহরগুলো জীবনের ছন্দে ফিরছে৷ রাস্তায় মানুষের দেখা মিলছে, খুলেছে স্কুল, অফিস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Karadjiasসাইপ্রাসের কেন্দ্রে এই পোশাকের দোকানটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার খুলেছে৷ মার্চের শেষ থেকে এখানে লকডাউন ছিলো৷ চলতি মাসের ৪ তারিখে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছোট ছোট দোকানগুলো খোলার অনুমোদন দেন৷ এছাড়া ২১ তারিখ থেকে সবাই আগের মত রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Karadjias১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল৷ আর এটা উঠিয়ে নিতেই মুক্তির আনন্দে সবাই জড়ো হয়েছেন সমুদ্র সৈকতে৷ মাস্ক পরে সবাই দোকান, সেলুন, এমনকি রেস্তোরাঁতেও যেতে পারছেন৷
ছবি: picture-alliance/Zuma/SOPA Images/Diogo Baptista ৪ঠা মে থেকে গ্রিসে সেলুনগুলো খুলে দেয়া হয়েছে৷ বইয়ের দোকানসহ ছোট ছোট দোকান খুলেছে ছয় সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর৷ তবে রেস্তোরাঁ আর পাবগুলো খোলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এই মাসের শেষ পর্যন্ত৷ দেশের মানুষ যেকোন জায়গায় যেতে পারবে, তবে অবশ্যই মাস্ক পরে, বিশেষ করে গণপরিবহনে চলার সময়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Stavrakisএই দেশের রাজধানীতে অন্যান্য শহরের তুলনায় বেশি কড়াকড়ি৷ অন্যান্য শহরে গণপরিবহন, জাদুঘর, ছোট দোকান খুললেও বুদাপেস্টে কিছু অফিস খুলেছে, গণপরিবহন চলছে, তবে কম৷ আর অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরে যেতে হচ্ছে অফিসে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Z. Baloghগত ৪৮ দিন ধরে স্পেনের প্রতিটি শহর ছিলো জনশূন্য৷ খাবার, ওষুধ, কুকুরকে নিয়ে বের হওয়া ছাড়া বের হওয়া ছিলো একেবারে নিষিদ্ধ৷ এখন সামাজিক দূরত্বসহ অনেক বিধিনিষেধ বহাল থাকলেও রাস্তায় বের হতে পারছে মানুষ৷
ছবি: Reuters/J. Medinaইউরোপের মধ্যে এই দেশটির পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ৷ লকডাউনে সবচেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল এখানে৷ তবে ৪ মে থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Stinellisএমনকি এখন থেকে মৃতদেহ সৎকারে হাজির হতে পারবেন সর্বোচ্চ ১৫ জন, তবে সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে৷ লক ডাউন চলাকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা প্রিয়জনদের শেষ বিদায় জানাতে পারেননি৷
ছবি: Reuters/A. Parrinelloস্কুলের ফাইনাল ইয়ারের পর্রীক্ষায় অন্তত এক লাখ শিক্ষার্থী যাতে অংশ নিতে পারে সেই লক্ষ্যে খুলে দেয়া হয়েছে অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু স্কুল৷ তবে ক্লাসে যেতে হবে মাস্ক পরে৷ এপ্রিলের ১৪ তারিখ থেকে ছোট ছোট দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে৷ এছাড়া অসুস্থ স্বজনদের কেয়ার হোমে দেখতে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Punzসামনে বুন্দেসলিগার খেলা৷ জার্মানির পেশাদার ফুটবলাররা তাই শরীর চর্চা ও প্রশিক্ষণে ব্যস্ত৷ যেমন এখানে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়রা ছোট ছোট দলে প্র্যাকটিস করছেন৷ ১৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে বুন্দেসলিগা৷ তবে সেসব ম্যাচে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷
ছবি: Reuters/A. Gebert