1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইতিহাসের পাতায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন

৬ নভেম্বর ২০১৮

স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২টি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে বাংলাদেশে৷ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছে বর্তমান কমিশন৷ এই কমিশনগুলোর দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক৷ 

Bangladesch Gebäude der Wahlkommission in Dhaka
ছবি: DW/M. M. Rahman

ইদ্রিস কমিশন
প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এম ইদ্রিস৷ তাঁর কমিশনের মেয়াদ ছিল ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই৷ ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে এই কমিশন৷ 

নুরুল ইসলাম কমিশন
বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালন করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার৷ তিনি ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই দায়িত্ব নেন৷ অব্যাহতি নেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি৷ আট বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি৷ 

মাসুদ কমিশন
বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মাসুদ দায়িত্ব নেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি৷ তিনি পূর্ণ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করেন ১৯৯০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি৷ এরশাদের আমলে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এই কমিশনের অধীনে৷ 

বিচারপতি এম এ আজিজছবি: DW/Muhammad Mostafigur Rahman

সুলতান কমিশন
বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ তবে মাত্র দশ মাস দায়িত্ব পালন করেন৷ ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ 

রউফ কমিশন
বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের পর বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ সিইসি হিসেবে নিযু্ক্ত হন৷ গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে তাঁর কমিশন৷ তিনি ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন৷ 

সাদেক কমিশন
বিচারপতি একেএম সাদেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত হন ১৯৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল৷ তাঁর কমিশনের অধীনেই হয় ১৯৯৬ সালের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন৷ তাঁর মেয়াদ ছিল ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত৷ 

হেনা কমিশন
এই প্রথম কোনো আমলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়া হয়৷ ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সাবেক আমলা মোহাম্মদ আবু হেনা ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ তাঁর অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনি ২০০০ সালের ৮ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন৷ 

সায়ীদ কমিশন
অষ্টম সিইসি হিসেবে এমএ সায়ীদ দায়িত্ব নেন ২০০০ সালের ২৩ মে৷ তিনি ২০০৫ সালের ২২ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন৷ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তাঁর কমিশনের অধীনে৷ 

আজিজ কমিশন
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত কমিশন আজিজ কমিশন৷ বিচারপতি এমএ আজিজ ২০০৫ সালের ২২ মে সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ ব্যাপক রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সময় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন৷ পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দীন আহমদ তফসিল বাতিল করেন৷ ২১ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন এম এ আজিজ৷ 

এ টি এম শামসুল হুদাছবি: DW/Muhammad Mostafigur Rahman

শামসুল হুদা কমিশন
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এমএ আজিজের উত্তরসূরী হন এটিএম শামসুল হুদা৷ তাঁর কমিশন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে৷ তাঁর মেয়াদ ছিল ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ 

রকিবুদ্দিন কমিশন
২০১২ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় রকিবুদ্দিন কমিশন৷ সাবেক এই সচিবকে নিয়োগ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান৷ আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদেই সংসদে বাতিল হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা৷ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই এই কমিশন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পরিচালনা করে, যেখানে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷ পূর্ণ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবার পর ২০১৭ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান রকিবুদ্দিন৷ 

নুরুল হুদা কমিশন
বর্তমান কমিশন হলো নুরুল হুদা’র কমিশন৷ সিইসি পদে সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা নিয়োগ পান ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি৷ তাঁর অধীনেই হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ