২০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল নিয়ে ‘ফ্রিডম এক্সপ্রেস’ যাত্রা শেষ করলো বার্লিনে৷ ১৯৮৯ সালের শরৎ বিপ্লবের সন্ধান করতেই এই বাস ট্রিপ৷ এই যাত্রায় তরুণ-তরুণীরা বুঝতে পারেন, স্বাধীনতার জন্য পরিশ্রম করতে হয়, বারবার সংগ্রাম করতে হয়৷
বিজ্ঞাপন
সময়টা প্রায় মধ্য রাত৷ কিয়েভের ২৮ বছরের ছাত্রী হানা রাবার্শকার চোখ ঘুমে জড়িয়ে আসছে৷ খুব ভোরে বাসে করে প্রাগ থেকে বার্লিনে এসে পৌঁছান তিনি৷ সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে৷ সাইকেলে চেপে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখেছেন, ১৯৮৯ সালের বিপ্লব নিয়ে একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেছেন৷ ‘‘বিপ্লবকে অনেকটা প্রেমে পড়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়৷ প্রথম দিকে নেশার মতো মনে হয়৷ মানুষের আশা-আকাঙ্খা তুঙ্গে থাকে, তারপরই হয় মোহমুক্তি৷ আজকালের মধ্যেই সব কিছু ভালো হয়ে যায় না৷ পরিবর্তন কোনো আলৌকিক বিষয় নয়৷ এটা একটা কর্ম, একটা প্রক্রিয়া৷'' বলেন ইউক্রেনি তরুণী হানা৷
সাগরে শিক্ষা ট্যুর
এটা একটি বিশেষ ধরনের বিদেশ ভ্রমণ৷ সারা জার্মানি থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা অ্যাটলান্টিকের বুকে কাটায় দীর্ঘ ছয় মাস৷ সেখানে তারা বিদেশি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে৷ জাহাজেই চলে এই ক্লাস৷ এমনকি জাহাজটিও চালায় তারা নিজেরাই৷
ছবি: KUS-Projekt
‘টোর হায়ারডাল’
গত প্রায় ২৫ বছর যবত তিন-তিনটি মাস্তুল বিশিষ্ট ‘টোর হায়ারডাল’ নামের এই জাহাজ যুব শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সাগরের ওপর দিয়ে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা দেশে৷ ২০০৮ সাল থেকে এই জাহাজটি অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ‘সাগরে ক্লাসরুম’ নামের এই প্রজেক্টটির জন্য ‘রিজার্ভ’ করা থাকে৷
ছবি: KUS-Projekt
দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য প্যাকিং
মোট ১৯০ দিন সাগরে বসবাস, কাজেই সবকিছু সাথে নিতে হয়৷ বলা বাহুল্য তার মধ্যে খাবার-দাবার অন্যতম৷ ভ্রমণের চারদিন আগে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নতুন ‘বাড়ি’, মানে এই জাহাজে সব জিনিস-পত্র তোলার ব্যাপারে একে-অন্যকে সাহায্য করে থাকে৷
ছবি: KUS-Projekt
আনন্দদায়ক এক জাহাজ
জার্মানির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ইটালির বিশিষ্ট নাবিক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস এবং বিশ্বখ্যাত আবিষ্কারক আলেক্সান্ডার ফন হুমবোল্ড-এর পথ অনুসরণ করছে৷ ছবিতে দেখুন, কেমন করে তারা জার্মানির কিল শহর থেকে বিভিন্ন চ্যানেলের ভেতর দিয়ে ঢুকে পড়ছে নতুন জগতে৷
ছবি: KUS-Projekt
প্রথম দিন
সুন্দর আবহাওয়া, সাগরের জল শান্ত – ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি এমন একটি দিনে শিক্ষার্থীরা সমুদ্র পথে যাত্রা শুরু করে৷ তারা উত্তর সাগরের একটি চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে থেকে ইংলিশ চ্যানেল এবং স্পেনের বিস্কায়া হয়ে টেনেরিফা পর্যন্ত পাড়ি দেয়৷
ছবি: KUS-Projekt
পাহাড়ের ছায়ায় ক্লাস
টেনেরিফার সেন্ট ক্রুজে জাহাজটি প্রথম এসে নাঙর ফেলে৷ সেখানে অতিথি বা ‘হোস্ট’ পরিবারে রাত কাটানোর পর শিক্ষার্থীরা স্পেনের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় ‘পিকো ডেল টেইডে’-র চূড়ায় ওঠতে থাকে৷ পথেই ওদের জীববিদ্যার ক্লাস হয়৷
ছবি: KUS-Projekt
সাগরের অনুভূতি
অ্যাটলান্টিক মহাসাগর বা অতলান্ত সাহর পার হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের অনেকটা নাবিকদের মতোই লাগে৷ জাহাজ ক্রু’র নির্দেশনায় জাহাজের সমস্ত কাজ ছাত্র-ছাত্রীরাই করে৷ এমন কি রান্না এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজও৷
ছবি: KUS-Projekt
যথেষ্ট হয়েছে রোদ আর পামগাছ দেখা
ক্যারিবিকে পৌঁছানোর পর আনন্দ যেন আর ধরে না তাদের! দীর্ঘ ২৪ দিন সাগরে কাটানোর পর এই সবুজ দ্বীপে নাঙর ফেলে এবং এত সুন্দর একটা সমুদ্রসৈকত দেখে শিক্ষার্থীদের মন ভরে যায়৷ এমনটাই তো আশা করেছিল তারা! স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে আলহামরা-খ্যাত গ্রানাডা শহরেও হোস্ট পরিবার বাড়িতে ওরা রাত কাটায়৷
ছবি: KUS-Projekt
ইন্ডিয়ানাদের সাথে বাস
শিক্ষার্থীরা পানামাতে কয়েকদিন হোস্ট পরিবারে থাকা এবং কফি বাগানে কাজ করার সুবাদে কুনা-ইন্ডিয়ানাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা ও দেখার সুযোগ পেয়ে যায়৷
ছবি: KUS-Projekt
সাইকেলে কিউবা ঘুরে বেড়ানো
সাইকেল চালিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই কিউবার বিখ্যাত তামাক উৎপাদনকারী এলাকায় চলে যায়৷ সেখানে তারা কিউবার শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করে, গল্প করে, আর আড্ডা মারতে মারতে ঘুরে দেখে রাজধানী হাভানা৷
ছবি: KUS-Projekt
দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ঘরে ফেরা
সব শেষে বারমুডা এবং আৎসোরেন দ্বীপে ছোট্ট একটা বিরতির পর শিক্ষার্থীরা ফিরে আসে নিজ দেশে৷ সাগরে দীর্ঘদিনের এই শিক্ষা ভ্রমণ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় তো কাজে লাগবেই, একজন সম্পূর্ণ মানুষ হতেও হয়ত সাহায্য করবে অনেকটাই৷
ছবি: KUS-Projekt
10 ছবি1 | 10
২৫ বছর পর সাবেক পূর্ব ব্লকের তরুণ সমাজ শরৎ বিপ্লব সম্পর্কে কী জানে? বাস্তব জীবনে এর প্রভাবই বা কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ‘ইউরোপিয়ান নেটওয়ার্ক ফর রিমেমব্রান্স অ্যান্ড সলিডারিটি' ‘ফ্রিডম এক্সপ্রেস' নামে একটি বাসট্রিপের আয়োজন করে৷ ২০১৪ সালের ২৯শে আগস্ট ১০ দেশের ২০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে ফ্রিডম এক্সপ্রেস৷ গেডানস্ক থেকে ওয়ারশ হয়ে বুদাপেস্ট পর্যন্ত, টিমিসোরার ওপর দিয়ে সোপরোন পর্যন্ত, ব্রাতিসলাভা ও প্রাগ হয়ে অবশেষে বার্লিনে শেষ হয় এই যাত্রা৷
সব জায়গাতেই শিক্ষার্থীরা শরত ৮৯-এর অ্যাকটিভিস্টদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেছেন৷ সেই সময়ের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলি যেমন সীমান্ত পারাপার, কারাগার ইত্যাদি পরিদর্শন করেছেন৷ প্রত্যেকদিনই তারা ফটো তুলেছেন, মুভিতে ধারণ করেছেন কিংবা তাঁদের অভিজ্ঞতা ব্লগে তুলে ধরেছেন৷ বার্লিনেও তাদের কর্মমুখর দিন কাটে৷ বার্লিন প্রাচীর ও জিডিআর-মিউজিয়াম দর্শন, ‘পূর্ব জার্মানির তৃতীয় প্রজন্মে'-র সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ, ফটো ওয়ার্কশপ ইত্যাদি ছিল তাঁদের কর্মসূচিতে৷
‘‘এক্ষেত্রে আমরা একদম নির্মম৷ তাঁদের অনেক কাজই সম্পন্ন করতে হয়েছে৷'' ঠাট্টা করে বলেন ওয়ারশ কেন্দ্রিক নেটওয়ার্কের পরিচালক রাফাল রগুলস্কি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা চাই তরুণ সমাজ বিভিন্ন দেশের ইতিহাসকে মর্যাদা দিতে শিখুক৷ তাদের বিশেষত্ব ভালোভাবে বুঝতে শিখুক৷ আমাদের পরিচিতি ও তথাকথিত পশ্চিমা দেশের পরিচিতি যে একই ভিতের ওপর গড়ে উঠেছে তা অনুভব করুক৷'' তবে সবকিছু যে মসৃণভাবে হয়েছে তা বলা যায় না৷ জানান হানা৷ হাঙ্গেরির সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রেসের স্বাধীনতা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়ে যায়৷
বিদেশিদের কাছে জার্মানির জনপ্রিয় ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম পছন্দের দেশ জার্মানি, বিশেষ করে সেসব দেশের মধ্যে যে দেশগুলোতে মূল ব্যবহৃত ভাষা ইংরেজি নয়৷ এই ছবিঘরে সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তুলে ধরা হলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কোলন বিশ্ববিদ্যালয়
কোলন: যে শহরে জার্মানির সবচেয়ে বড় বড়া পার্টি, বড় বড় উৎসবগুলো হয়ে থাকে৷ এই শহরটিকে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দশম অবস্থান দেয়া হয়েছে৷ স্থানীয়দের খোলামেলা মনোভাব এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেকটা স্বস্তি দেয়৷ তাছাড়া এখান থেকে আমস্টারডাম, প্যারিস ও ব্রাসেলস যাওয়াও খুব সহজ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফ্রাংকফুর্টের গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়
বিখ্যাত জার্মান লেখক ইয়োহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটের নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে৷ এর অবস্থান নবম৷ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহ্যাটের নামানুসারে ফ্রাংকফুর্ট আম মাইন শহরের অপর নাম ‘মাইনহ্যাটেন’৷ জার্মানির আর্থিক কাঠামোর মূল শক্তি ফ্রাংকফুর্টে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ব্যাংকিং সেক্টরে কাজ করার সুযোগ৷
ছবি: Goethe Universität Frankfurt
ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়
জার্মানির অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি এটি৷ এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উক্ত তালিকায় অষ্টম৷
ছবি: Klaus Lemke/SSC
হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জার্মানির সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়৷ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যেও তাই এটি অনেকটা তীর্থস্থানের মতো, বিশেষ করে যাঁরা দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে জানতে বা দক্ষিণ এশিয়ার কোনো ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করতে চান৷ এর অবস্থান সপ্তম৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনের হুমবল্ট বিশ্ববিদ্যালয়
জার্মানির পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আর একটি বার্লিনের হুমবল্ট বিশ্ববিদ্যালয়৷ অটো ফন বিসমার্ক, হাইনরিশ হাইনে, রবার্ট কখ এবং আফ্রো-অ্যামেরিকান সমাজকর্মী ডাব্লিউইবি ডুবোয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনের টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যটকদের কাছে হয়ত জার্মানির রাজধানী বার্লিন ততটা জনপ্রিয় নয়৷ কিন্তু এখানে জীবন-যাপন, মানে থাকা-খাওয়ার ব্যয় কম হওয়ায় টেকনিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে আসেন৷
ছবি: TU Berlin/Dahl
আরডাব্লিউটিএইচ আখেন বিশ্ববিদ্যালয়
বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে জার্মানির যে শহরটির সীমান্ত রয়েছে, তার নাম আখেন৷ আর শহরের নামেই আরডাব্লিউটিএইচ আখেন – এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ৷ এটি জার্মানির সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়৷
ছবি: Peter Winandy
মিউনিখ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জার্মানির দক্ষিণ দিকে অবস্থিত বাভারিয়ার রাজধানী মিউনিখে বিশ্বের সেরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ মিউনিখ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তার মধ্যে অন্যতম৷ ২০১৩ সালের জরিপে দেখা গেছে যে, সেখানকার প্রতি পাঁচজনের একজন শিক্ষার্থী বিদেশি৷
ছবি: Albert Scharger
লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
এলএমইউ নামে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিও মিউনিখ শহরে অবস্থিত৷ এটি জার্মানির অন্যতম প্রাচীন এবং সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয়৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বার্লিনের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৮ সালে বার্লিন ফ্রি ইউনিভার্সিটি বা বার্লিনের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ সোভিয়েত আমলে তৎকালীন পূর্ব বার্লিনের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে পশ্চিম বার্লিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্মিত হয়, যা অনেকটা মুক্ত বিশ্বের চেতনায় গড়া৷ এ কারণেই এর নাম রাখা হয়েছে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়৷
ছবি: Peter Himsel
10 ছবি1 | 10
হানার কথায়, ‘‘হাঙ্গেরিতে মিডিয়ার ওপর সেন্সরের খড়গহস্ত রয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশে এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য৷''
অন্যদিকে হাঙ্গেরির আনা রুবি মনে করেন, ইতিহাসকে নতুন করে অনুসন্ধান করা উচিত৷ আনা নিজে অনেক দিন ধরে জুরিখে বসবাস করছেন এবং হাঙ্গেরির রাজনীতির সঙ্গে মোটেও একমত নন৷ কিন্তু স্বদেশের মানুষকে দায়ী করতে চান না তিনি৷ ‘‘প্রায়ই বলা হয় তরুণ সমাজ এগিয়ে আসছে না৷ কিংবা কোনো কার্যকর সুশীল সমাজ নেই দেশটিতে৷ কিন্তু এ সবের জন্য সময়ের প্রয়োজন৷ ১৯৮৯ সালের পর অনেক মানুষই দিশাহারা হয়ে পড়েছেন৷ আমি এমন অনেককে চিনি, যারা বিদেশে চলে গেলেও আবার দেশে ফিরে কিছু পরিবর্তন করতে চান৷''
নানা মত পার্থক্য সত্ত্বেও দৈনন্দিন কর্মতৎপরতা ‘ফ্রিডম এক্সপ্রেসে'-র যাত্রীদের একাত্ম করেছে৷ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মর্ম বুঝতে সহায়তা করেছে৷