শেষ ষোলোর ম্যাচে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড৷ এর আগে ১৯৯০, ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে টাইব্রেকারের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড৷ তিনবারই হেরেছিল তারা৷
বিজ্ঞাপন
ফলে ইতিহাস গড়েই কোয়ার্টারে চলে গেল ইংল্যান্ড৷ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড কলম্বিয়ার বাক্কার নেয়া চতুর্থ পেনাল্টিটি ঠেকিয়ে দেন৷ এর আগে তৃতীয় পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন কলম্বিয়ার উরিবে৷ ফলে শেষ পেনাল্টি থেকে ইংল্যান্ডের ডায়ার গোল করায় জিতে যায় তিন সিংহরা৷ তবে ইংল্যান্ডের হেন্ডারসনের নেয়া তিন নম্বর পেনাল্টিটি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কলম্বিয়ার ডেভিড অস্পিনা৷
ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকার তথ্য বলছে, এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড তাঁর ক্যারিয়ারে ৩০টির মধ্যে পাঁচটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন৷ আর কলম্বিয়ার ডেভিড অস্পিনা ৩৮টি পেনাল্টির মধ্যে ঠেকাতে পেরেছেন তিনটি৷
বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের বাজে রেকর্ডের কারণে দলের কোচ সাউথগেট খেলোয়াড়দের পেনাল্টি অনুশীলনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, পেনাল্টি নেয়াটাও শেখার বিষয়৷
ম্যাচের ৫৭ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়েছিলেন হ্যারি কেন৷ কলম্বিয়ার সানচেজ ডি-বক্সের ভেতর হ্যারি কেনকে ট্যাকেল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি মাইক গাইগার৷ কলম্বিয়ার খেলোয়াড়রা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ভিডিও প্রযুক্তির সহায়তা নেয়ার জন্য রেফারিকে অনুরোধ জানান৷ কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ পরে পেনাল্টি থেকে গোল করেন হ্যারি কেন৷ আর ফাউল করার জন্য সানচেজকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি৷
তবে খেলা শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে কোয়াদ্রাদোর কর্নার থেকে করা মিনার গোলে ম্যাচে ফিরেছিল কলম্বিয়া৷ ওটিই ছিল ম্যাচে কলম্বিয়ার পাওয়া প্রথম কর্নার৷
মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় তারকা ফুটবলার খামেস রদ্রিগেজকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয়েছে কলম্বিয়াকে৷ ইনজুরির কারণে তাঁকে স্টেডিয়ামে বসে দলের পরাজয় দেখতে হয়েছে৷ ইনজুরির কারণে তিনি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সেনেগালের বিরুদ্ধে মাত্র ৩০ মিনিট খেলতে পেরেছিলেন৷
আজকের ম্যাচটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ৬৬তম ম্যাচ ছিল৷ আর তারা ১৯৬৬ সালে তাদের একমাত্র বিশ্বকাপটি জিতেছিল৷ শেষবার ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ইংলিশরা৷
শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সুইডেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি, ডিপিএ)
যে ৫টি গান হঠাৎ ফুটবল সংগীত হয়ে গেছে
সাধারণত ভক্তরাই ফুটবলের সংগীত বা অ্যানথেম ঠিক করেন৷ এখানে এমন পাঁচটি গানের কথা বলা হলো যেগুলো আপনি বিশ্বের প্রায় সব ফুটবল স্টেডিয়ামে শুনতে পাবেন৷ যদিও গানগুলোর সঙ্গে ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.v.Maydell
ইয়েলো সাবমেরিন: দ্য বিটলস
রিঙ্গো স্টারের বিখ্যাত মেলোডিটি খুবই সাধারণ, কেননা, গান গাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কখনোই খুব একটা ভালো ছিলেন না৷ কিন্তু ফুটবল ভক্তদের কাছে সেটা কোনো ব্যাপারই নয়৷ ইয়েলো সাবমেরিনের কোরাস অংশটুকু স্টেডিয়ামে গাওয়ার জন্য একেবারেই যথার্থ এবং গানের কথাগুলো যেকোনো ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Naden
গুয়ানতানামেরা: খোসেইতো ফার্নান্দেজ
এই গানটি প্রায় ৯০ বছরের পুরনো, কিন্তু ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে হঠাৎ করেই ভক্তদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি৷ ব্যান্ড রোকা’র এই গানটি মূলত কিউবার ক্লাসিক ‘হিট সং’৷ যদিও বেশিরভাগ মানুষ একটা লাইনই মনে রেখেছে এটার, সেটা হলো: ‘দেয়ার’জ ওনলি ওয়ান রুডি ফ্যোলার’, জার্মান ফুটবল কিংবদন্তিকে স্মরণ করে গাওয়া৷
রোমের নীল আকাশ নিয়ে লেখা এই গানটি ইটালির অন্যতম জনপ্রিয় গান৷ ফুটবলের সাথে এর কোনো সংগতি নেই৷ কিন্তু কোরাসের সময় ‘ভোলারে’ শব্দটি এমনভাবে গাওয়া হয় শুনলে মনে হয় ‘ফিনালে’ অর্থাৎ ‘ফাইনাল’ গাওয়া হচ্ছে৷ তাই বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে যায়, তাদের জন্য ভক্তরা এই গান গেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Publifoto
গো ওয়েস্ট: ভিলেজ পিপল
স্টেডিয়ামের এই সংগীতটি ব্যাপক সফল৷ এ কারণে বিভিন্ন ক্লাব এবং দেশে এটা গাওয়া হয়৷ কেননা, যেকোনো পরিস্থিতি ও দেশের সাথে এটা খাপ খেয়ে যায়৷ যখন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড সমর্থকরা গেয়ে ওঠেন ‘ওলে ইয়েটস্ট কমট ডেয়ার বেভেবে’ অর্থাৎ ‘ওরে বিভিবি আসছে’ , তখন লন্ডনে আর্সেনাল ভক্তরা গাইছেন ‘ওয়ান-নিল টু দ্য আর্সেনাল’৷ এসব দল একে অপরের শত্রু হলেও ‘গো ওয়েস্ট’ সব দলের জন্যই প্রযোজ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/E.v.Maydell
ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন: জেরি অ্যান্ড দ্য পেসমেকার্স
‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’ যেটি মূলত রজার্স অ্যান্ড হ্যামারস্টাইন মিউজিকের একটি গান৷ এই গানটি কিছুটা ‘দুখ জাগানিয়া’, তাই ফুটবলের সাথে তেমন একটা যায় না৷ আর এ কারণে এটি বেশ দীর্ঘ৷ অন্য ফুটবল সংগীত থেকে ভিন্ন হলেও গানের কথাগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ ষাটের দশকে লিভারপুলের ভক্তরা প্রথম এই গান গাওয়া শুরু করে৷ আর বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব স্টেডিয়ামে এই গান গাওয়া হয়৷