ইথিওপিয়ার আরো দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের দাবি সরকারের। বিদ্রোহী টিপিএলএফের দাবি, তারাই শহর ছেড়ে চলে গেছে।
বিজ্ঞাপন
ইথিওপিয়া সরকার দাবি করেছে, তারা দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স(টিপিএলএফ)-এর কাছ থেকে আবার দখল করে নিয়েছে। ডেসি ও কমবোলচা শহর সেনা মুক্ত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
কিন্তু টিপিএলএফ মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা তাদের পরিকল্পনামাফিক এই দুইটি শহর ছেড়ে চলে গেছেন।
এই দুইটি শহর রাজদানী আদ্দিস আবাবা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ও প্রধান সড়কের উপরে অবস্থিত। মাসদুয়েক আগে টিপিএলএফ এই দুই শহর দখল করেছিল।
সরকারের দাবি
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, টিপিএলএফ এখন বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সেনার প্রত্যাঘাত চলবে। তার দাবি, টিপিএলএফ এখন সেনার মোকাবিলা করতে পারছে না। তিনি বলেছেন, ''শত্রুদের আঘাত করা হবে এবং আমাদের জয় নিশ্চিত।''
সংকটের মুখে ইথিওপিয়া
ভয়ংকর অবস্থা ইথিওপিয়ায়। বিদ্রোহী টিপিএলএফ যোদ্ধারা এবার রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে এগোচ্ছে। সাবেক সেনা কর্মীদের হাতে অস্ত্র নিতে বলছে সরকার।
ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP/Getty Images
আদ্দিস আবাবার কাছে
রাজধানী থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরের শহর দখল করে নিয়েছে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স (টিপিএলএফ)। তারপর তারা রাজধানীর দিকে এগোচ্ছে। এর আগে তারা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে টিগ্রের দখল নিয়েছিল। উপরের ছবিটি টিগ্রের রাজধানী দখলের পর টিপিএলএফের সদস্যদের।
ছবি: YASUYOSHI CHIBA/AFP
সরকারের সমর্থনে
রাজধানী আদ্দিস আবাবায় সরকার ও সেনার সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিশাল জমায়েতে তারা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ছবি: Tiksa Negeri/REUTERS
গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা
পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিদ্রোহী টিপিএলএফ-কে ঠেকাতে না পারলে তারা রাজধানীর দখল নিয়ে নেবে। তখন রক্তগঙ্গা বইতে পারে। গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাও বাড়বে।
ছবি: Eduardo Soteras/AFP
সরকারের আবেদন
সরকার ইতিমধ্যেই সাবেক সেনা অফিসার ও জওয়ানদের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করার অনুরোধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, সাধারণ মানুষও যেন হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং দেশরক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। কার কাছে কী অস্ত্র আছে, তাও নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
ছবি: Ben Curtis/AP Photo/picture alliance
সাবেক সেনাকর্তা এগিয়ে এলেন
সাবেক সেনাকর্তা বর্তমান সেনার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তিনি ও বর্তমান সেনাপ্রধান সংঘর্ষে নিহত সেনার উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করছেন।
ছবি: AP/picture alliance
মোমবাতি মিছিল
টিপিএলএফের হাতে যেসব সেনার মৃত্যু হয়েছে, তাদের স্মরণে মোমবাতি মিছিল আদ্দিস আবাবায়। প্রচুর মানুষ এভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন।
ছবি: AP/picture alliance
সামিল সেনারাও
বর্তমান ও সাবেক সেনারাও মৃত সৈনিকদের উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করেছেন।
ছবি: AP/picture alliance
বিদ্রোহীদের দখলে
আমহারা অঞ্চলে বিদ্রোহীরা একটি শহর দখল করে নিয়েছে। অক্টোবরে এই শহর সেনার হাতছাড়া হয়।
ছবি: Tiksa Negeri/REUTERS
টিগ্রের রাজধানীতে
টিগ্রের রাজধানীতে এভাবেই উড়ছে টিপিএলএফের পতাকা। এই শহর পুরোপুরি টিপিএলএফের দখলে।
ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP
গভীর সংকট
যেভাবে এখন টিপিএলএফ এবং আমহারা ফোর্স সেনাকে পরাস্ত করে এগিয়ে আসছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রশ্ন এখন রাজধানীর দখল কে নিজের কাছে রাখতে পারবে তা নিয়ে। ফলে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে ইথিওপিয়া।
ছবি: Ben Curtis/AP Photo/picture alliance
10 ছবি1 | 10
গত অক্টোবরে টিপিএলএফ এই দুইটি শহর দখল করেছিল। তারপর থেকে সেনা পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছে। গত সপ্তাহে তারা টিপিএলএফের কাছ থেকে কয়েকটি এলাকা দখল করে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইথিওপিয়া বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম ডেভিসন ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''এখন প্রশ্ন হলো, বাকি এলাকাগুলি টিপিএলএফ তাদের দখলে রাখতে পারে কিনা। নাকি তাদের আবার টিগ্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে?'' ডেভিসন মনে করেন, ''টিপিএলএফের এই হার সাময়িক নাকি তারা আবার পাল্টা আক্রমণে যাবে, সেটা দেখার জন্য কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।''