রাজধানীর কাছে একটি শহর টিপিএলএফের কাছ থেকে আবার দখল করার দাবি সরকারের।
বিজ্ঞাপন
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অফিস দাবি করেছে, বুধবার টিগ্রে বাহিনীর কাছ থেকে রাজধানী আদ্দিস আবাবার উত্তরের একটি শহর দখল করে নিয়েছে সেনা। সরকারের দাবি, রাজধানী থেকে ২২০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের শহর এবং বেশ কিছু গ্রাম ও গঞ্জ সেনা আবার টিগ্রে বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে।
পরে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট লালিবেলাও দখল করেছে। গত অগাস্টে টিগ্রে বাহিনী এই জায়গাগুলি দখল করে নিয়েছিল।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেনা বনাম টিগ্রে বাহিনীর লড়াই তীব্র হয়েছে। টিগ্রে বাহিনী এবার রাজধানীর দিকে অগ্রসর হবে বলে জানায়। সরকারও নাগরিকদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলে।
সংকটের মুখে ইথিওপিয়া
ভয়ংকর অবস্থা ইথিওপিয়ায়। বিদ্রোহী টিপিএলএফ যোদ্ধারা এবার রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে এগোচ্ছে। সাবেক সেনা কর্মীদের হাতে অস্ত্র নিতে বলছে সরকার।
ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP/Getty Images
আদ্দিস আবাবার কাছে
রাজধানী থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরের শহর দখল করে নিয়েছে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স (টিপিএলএফ)। তারপর তারা রাজধানীর দিকে এগোচ্ছে। এর আগে তারা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে টিগ্রের দখল নিয়েছিল। উপরের ছবিটি টিগ্রের রাজধানী দখলের পর টিপিএলএফের সদস্যদের।
ছবি: YASUYOSHI CHIBA/AFP
সরকারের সমর্থনে
রাজধানী আদ্দিস আবাবায় সরকার ও সেনার সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। বিশাল জমায়েতে তারা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ছবি: Tiksa Negeri/REUTERS
গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা
পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিদ্রোহী টিপিএলএফ-কে ঠেকাতে না পারলে তারা রাজধানীর দখল নিয়ে নেবে। তখন রক্তগঙ্গা বইতে পারে। গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাও বাড়বে।
ছবি: Eduardo Soteras/AFP
সরকারের আবেদন
সরকার ইতিমধ্যেই সাবেক সেনা অফিসার ও জওয়ানদের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করার অনুরোধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, সাধারণ মানুষও যেন হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং দেশরক্ষার জন্য এগিয়ে আসে। কার কাছে কী অস্ত্র আছে, তাও নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
ছবি: Ben Curtis/AP Photo/picture alliance
সাবেক সেনাকর্তা এগিয়ে এলেন
সাবেক সেনাকর্তা বর্তমান সেনার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তিনি ও বর্তমান সেনাপ্রধান সংঘর্ষে নিহত সেনার উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করছেন।
ছবি: AP/picture alliance
মোমবাতি মিছিল
টিপিএলএফের হাতে যেসব সেনার মৃত্যু হয়েছে, তাদের স্মরণে মোমবাতি মিছিল আদ্দিস আবাবায়। প্রচুর মানুষ এভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন।
ছবি: AP/picture alliance
সামিল সেনারাও
বর্তমান ও সাবেক সেনারাও মৃত সৈনিকদের উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করেছেন।
ছবি: AP/picture alliance
বিদ্রোহীদের দখলে
আমহারা অঞ্চলে বিদ্রোহীরা একটি শহর দখল করে নিয়েছে। অক্টোবরে এই শহর সেনার হাতছাড়া হয়।
ছবি: Tiksa Negeri/REUTERS
টিগ্রের রাজধানীতে
টিগ্রের রাজধানীতে এভাবেই উড়ছে টিপিএলএফের পতাকা। এই শহর পুরোপুরি টিপিএলএফের দখলে।
ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP
গভীর সংকট
যেভাবে এখন টিপিএলএফ এবং আমহারা ফোর্স সেনাকে পরাস্ত করে এগিয়ে আসছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্রশ্ন এখন রাজধানীর দখল কে নিজের কাছে রাখতে পারবে তা নিয়ে। ফলে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে ইথিওপিয়া।
ছবি: Ben Curtis/AP Photo/picture alliance
10 ছবি1 | 10
অ্যামেরিকা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের ইথিওপিয়া ছেড়ে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ জানিয়েছিলেন, তিনি সামনে থেকে সেনাকে নেতৃত্ব দেবেন। সম্প্রতি সরকারি মিডিয়া প্রধানমন্ত্রীর সেনা ইউনিফর্ম পরা একটি ছবিও প্রকাশ করে। রোববার সরকরি মিডিয়া দাবি করে, সেনা শিফা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রীও বলেন, আমহারা অঞ্চলের দখলও এবার সেনা নিয়ে নেবে। স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, টিগ্রে বাহিনী মঙ্গলবার শহর ছেড়েছে।