দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানির হাটটি বসে ঢাকার গাবতলীতে৷ ঈদের মাত্র চারদিন বাকি থাকলেও ক্রেতা সমাগম অন্যবারের চেয়ে কম৷ সংখ্যায় কম এসেছে পশুও৷

করোনা ভাইরাসের কারণে শিশু ও বৃদ্ধ হাটে আসতে বারণ করা হয়েছে৷ তবে অনেকেই তা মানছেন না৷

এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড়ের স্বীকৃতি পেয়েছে৷ মালিক আজমত আলি বাংলার বসের দাম হেঁকেছেন ৩০ লাখ টাকা৷ গরুটিতে ৩৭ মণ মাংস আছে বলে দাবি তার৷

হাটগুলোতে মোবাইল কোর্ট আছে৷ তারপরও সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই৷ এজন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি৷ ইজাদারদের পক্ষ থেকে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সরবরাহ করা হয়নি৷

আজমত আলি তার এই গরুটির নাম দিয়েছেন বাংলার সম্রাট৷ ৩৫ মণ ওজনের গরুরটির দাম চেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত অর্ধেক দামেও ক্রেতা পাচ্ছেন না৷

কিছু বেসরকারি সংগঠন হাটে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছে৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকে ঘোষণাও চলছে৷

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হাটের ভিতরে প্রবেশমুখে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ব্যানার টানিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে সিটি কর্পোরেশন৷

ঢাকায় এবার মোট ১৯টি গরুর হাট বসেছে৷ এরমধ্যে দক্ষিণ সিটিতে ১২টি এবং উত্তরে নয়টি। ব্যাপারিরা জানান, গতবারের তুলনায় এবার ৫০ ভাগ গরু কম এসেছে৷

বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু রয়েছে৷ গত বছর এক কোটির কিছু বেশি পশু কোরবানি হয়েছিল৷ মহামারির কারণে এ বছর তা আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷